পদ্মা সেতু প্রকল্পে আগ্রহী আরো দুই সংস্থা : অর্থমন্ত্রী-গোল্ডস্টেইনকে রাজনীতি করার পরামর্শ
চীন ও মালয়েশিয়া ছাড়া আরো দুটি ঋণদাতা সংস্থার পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করলেও বিকল্প অর্থায়নের উৎস পেতে খুব একটা সমস্যা হবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী পদ্মা সেতু প্রকল্প ও বিশ্বব্যাংকের অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন। বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যালেন গোল্ডস্টেইনের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
মুহিত বলেন, বিশ্বব্যাংক ছাড়াও পদ্মা সেতু প্রকল্পে আরো তিনটি সংস্থা (এডিবি, জাইকা ও আইডিবি) জড়িত। আরো দুটি সংস্থা এ সেতু নির্মাণে অর্থায়নে আগ্রহী। তবে আগ্রহী দুই সংস্থার অংশগ্রহণের বিষয়টি ওই তিন সংস্থা কিভাবে নেবে, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মালয়েশিয়ার আগের প্রস্তাবটি ছিল অসম্পূর্ণ। তারা আবারও একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক না থাকলে চীন এ সেতুতে বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে বারবার।
মন্ত্রী বলেন, 'এসব প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে বর্তমানে থাকা এডিবি, জাইকা ও আইডিবি থাকবে কি না তা নিয়েও আলোচনা চলছে। তাই চলতি জানুয়ারির মধ্যে না হলেও আমাদের মনে মনে একটা সময়সীমা আছে। ওই সময়ের কথা বিশ্বব্যাংককে জানিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত চাওয়া হবে। আর বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করলে বিকল্প অর্থায়নের পথ বেছে নেওয়া হবে।'
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কবে নাগাদ তারা কাজ শুরু করবে, তা আমাদের বোঝার উপায় নেই। আমাদের সময় কম। সে জন্যই আমরা মনে মনে একটি ডেডলাইন (সময়সীমা) নির্ধারণ করে রেখেছি। ওই সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাংক সেতু নির্মাণের কাজ শুরু না করলে আমরা বিকল্প অর্থায়নে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করব।'
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে 'বলি' দিলেই পদ্মা সেতু হবে- এমন বক্তব্য সঠিক নয় বলে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কী হচ্ছে, তা অনেক মন্ত্রীই জানেন না। বিষয়গুলো খুবই গোপনীয় হওয়ায় অনেক মন্ত্রীরই এসব ফাইল দেখার সুযোগ হয়নি। তাই তাঁরা অনুমান করে বক্তব্য দিচ্ছেন। এমনকি আমি নিজেও সব কিছু সম্পর্কে অবহিত নই। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে যেসব ফাইল পাঠায়, তার বেশির ভাগই আমি দেখতে চাই না।'
গোল্ডস্টেইন বাংলাদেশে রাজনীতি শুরু করুন : পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে সংস্থাটির বিদায়ী কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যালেন গোল্ডস্টেইনের ভূমিকায় যে সরকার ক্ষুব্ধ, তা ফুটে উঠেছে অর্থমন্ত্রীর কথায়। মন্ত্রী বলেন, 'গোল্ডস্টেইন দাবি করেছেন, তিনি এ দেশে খুবই জনপ্রিয়। কারণ তিনি নাকি অনেক দুর্নীতি প্রতিরোধ করেছেন। তাঁর এতই যখন জনপ্রিয়তা তখন আমার পরামর্শ হলো, তিনি বিশ্বব্যাংকের চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে এসে রাজনীতি শুরু করুন।'
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'বিশ্বব্যাংক থাকতেই তাদের নির্মাণ প্রকৌশলের অনুমোদন হয়েছে। পাঁচটি কম্পানি এর অনুমোদন পেয়েছে। তাই যেকোনো মুহূর্তে তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব চাইতে পারি।' তিনি বলেন, যে পাঁচটি কম্পানি অনুমোদন পেয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণের মতো যোগ্যতা তাদের ছাড়া পৃথিবীতে সম্ভবত আর কারো নেই।
কোনো দুর্নীতি হয়নি : বরাবরের মতো অর্থমন্ত্রী জোরগলায় বললেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি, হওয়ার আশঙ্কাও নেই। তবে দুর্নীতির চক্রান্ত হয়েছিল। তিনি বলেন, 'বিশ্বব্যাংক প্রমাণ দিতে না পারায় সংস্থাটির দাবি মেনে আমরা সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে চাইনি। তারপর সংস্থাটি আমাদের অনুরোধ করল, যেহেতু আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, উনি সরকারে থাকলে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়াই ভালো। বিশ্বব্যাংকের এ অনুরোধেই তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয়েছে।'
কোনো রকম দুর্নীতি না হলে সাবেক সেতুসচিব মোশাররফ হোসেনকে কেন দুদক কারাগারে পাঠাল জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি দুদক বলতে পারবে।
মুহিত বলেন, বিশ্বব্যাংক ছাড়াও পদ্মা সেতু প্রকল্পে আরো তিনটি সংস্থা (এডিবি, জাইকা ও আইডিবি) জড়িত। আরো দুটি সংস্থা এ সেতু নির্মাণে অর্থায়নে আগ্রহী। তবে আগ্রহী দুই সংস্থার অংশগ্রহণের বিষয়টি ওই তিন সংস্থা কিভাবে নেবে, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মালয়েশিয়ার আগের প্রস্তাবটি ছিল অসম্পূর্ণ। তারা আবারও একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক না থাকলে চীন এ সেতুতে বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে বারবার।
মন্ত্রী বলেন, 'এসব প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে বর্তমানে থাকা এডিবি, জাইকা ও আইডিবি থাকবে কি না তা নিয়েও আলোচনা চলছে। তাই চলতি জানুয়ারির মধ্যে না হলেও আমাদের মনে মনে একটা সময়সীমা আছে। ওই সময়ের কথা বিশ্বব্যাংককে জানিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত চাওয়া হবে। আর বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করলে বিকল্প অর্থায়নের পথ বেছে নেওয়া হবে।'
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কবে নাগাদ তারা কাজ শুরু করবে, তা আমাদের বোঝার উপায় নেই। আমাদের সময় কম। সে জন্যই আমরা মনে মনে একটি ডেডলাইন (সময়সীমা) নির্ধারণ করে রেখেছি। ওই সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাংক সেতু নির্মাণের কাজ শুরু না করলে আমরা বিকল্প অর্থায়নে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করব।'
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে 'বলি' দিলেই পদ্মা সেতু হবে- এমন বক্তব্য সঠিক নয় বলে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কী হচ্ছে, তা অনেক মন্ত্রীই জানেন না। বিষয়গুলো খুবই গোপনীয় হওয়ায় অনেক মন্ত্রীরই এসব ফাইল দেখার সুযোগ হয়নি। তাই তাঁরা অনুমান করে বক্তব্য দিচ্ছেন। এমনকি আমি নিজেও সব কিছু সম্পর্কে অবহিত নই। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে যেসব ফাইল পাঠায়, তার বেশির ভাগই আমি দেখতে চাই না।'
গোল্ডস্টেইন বাংলাদেশে রাজনীতি শুরু করুন : পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে সংস্থাটির বিদায়ী কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যালেন গোল্ডস্টেইনের ভূমিকায় যে সরকার ক্ষুব্ধ, তা ফুটে উঠেছে অর্থমন্ত্রীর কথায়। মন্ত্রী বলেন, 'গোল্ডস্টেইন দাবি করেছেন, তিনি এ দেশে খুবই জনপ্রিয়। কারণ তিনি নাকি অনেক দুর্নীতি প্রতিরোধ করেছেন। তাঁর এতই যখন জনপ্রিয়তা তখন আমার পরামর্শ হলো, তিনি বিশ্বব্যাংকের চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে এসে রাজনীতি শুরু করুন।'
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'বিশ্বব্যাংক থাকতেই তাদের নির্মাণ প্রকৌশলের অনুমোদন হয়েছে। পাঁচটি কম্পানি এর অনুমোদন পেয়েছে। তাই যেকোনো মুহূর্তে তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব চাইতে পারি।' তিনি বলেন, যে পাঁচটি কম্পানি অনুমোদন পেয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণের মতো যোগ্যতা তাদের ছাড়া পৃথিবীতে সম্ভবত আর কারো নেই।
কোনো দুর্নীতি হয়নি : বরাবরের মতো অর্থমন্ত্রী জোরগলায় বললেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি, হওয়ার আশঙ্কাও নেই। তবে দুর্নীতির চক্রান্ত হয়েছিল। তিনি বলেন, 'বিশ্বব্যাংক প্রমাণ দিতে না পারায় সংস্থাটির দাবি মেনে আমরা সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে চাইনি। তারপর সংস্থাটি আমাদের অনুরোধ করল, যেহেতু আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, উনি সরকারে থাকলে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়াই ভালো। বিশ্বব্যাংকের এ অনুরোধেই তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয়েছে।'
কোনো রকম দুর্নীতি না হলে সাবেক সেতুসচিব মোশাররফ হোসেনকে কেন দুদক কারাগারে পাঠাল জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি দুদক বলতে পারবে।
No comments