মিলনমেলা বসবে যখন by মাহফুজুর রহমান মানিক
গত বছরের কথা মনে আছে? বাংলা একাডেমীর বইমেলায় প্রবেশ করলেই একটা গান শোনা যেত, 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা, লেখক-পাঠকের মিলনমেলা'। সেই মিলনমেলা ১১ মাস পর আবার দরজায় কড়া নাড়ছে।
অনেকের কাছে আসি আসি করছে, অনেকের কাছে আবার এসেও গেছে; হয়তো মেলা জমার কাজটা বাকি। লেখক-প্রকাশকরা বোধ হয় জানুয়ারিকে মেলার অন্তর্ভুক্তই ধরেন। মূল মেলায় বই প্রকাশের যে তাড়া আর ব্যস্ততার মাঝে তারা থাকেন, তাতে মেলা আসা পর্যন্ত অন্য কিছুর দিকে তাকানোর ফুরসত কোথায়, মেলার প্রস্তুতি তো মেলাই বটে। কিন্তু মেলাটা যাদের জন্য জমে সেই পাঠককুলের কাছে আসেনি_ তাও তো নয়। তাদের মানসিক প্রস্তুতিটা ফেলনা নয়। তবে আজকের শুক্রবারে বাংলা একাডেমী চত্বরে যে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, আগামী শুক্রবারের চিত্র কিন্তু ভিন্ন দেখা যাবে; সেদিনই বসবে মিলনমেলা। এ বছর ১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার শুরু হবে মেলা। বাঙালির কাছে শুক্রবারের আমেজটা একটু ভিন্নই, 'ঈদের ওপর শুক্রবার'টা হবে 'মেলার ওপর শুক্রবার'।
বইমেলার নামটা মনে রাখা দরকার, অমর একুশে গ্রন্থমেলা; নামের মাধ্যমেই আমরা ফেব্রুয়ারিজুড়ে হওয়ার এর কার্যকারিতা দেখি। দুনিয়ার কোথাও এতদিনের বইমেলা হয় না। ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার কথা আমরা জানি, সেটা পাঁচদিনের কিংবা কলকাতার বইমেলার কথাও আসতে পারে, সেটাও ১১-১২ দিনের। আসলে আমাদের ভাষার জন্য যে লড়াই, আত্মত্যাগ_ সে রকম ইতিহাস তো অন্যদের নেই। এই ইতিহাসকে স্মরণ করার জন্যই আমরা পুরো মাসটিতে বইমেলা করি। অবশ্য অনেকে বলেন_ বাঙালি একটু দেখে-শুনে-ঘুরে বই কিনবে। অন্যদের মতো হুটহাট করে সব করা যায় না।
এবারের বইমেলা বিশেষ কোনো চমক নিয়ে হাজির হবে কি? বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, এবারের বইমেলা শুধু প্রকাশকদের। প্রকাশকদের বলতে তারা নিশ্চয়ই স্টলের দিক থেকে বলেছেন। আগে যেখানে নানা সংগঠন, সংস্থার স্টল দেখা যেত, এ বছর হয়তো সেগুলো দেখা যাবে না। দেখা যাবে না রাস্তার দু'ধারের স্টলগুলোও। কর্তৃপক্ষের ভালো উদ্যোগ নিশ্চয়ই। এতে স্টলসংখ্যা কম দেখা যাবে হয়তো, কিন্তু মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরার জন্য মেলার জায়গা বাড়ছে না নিশ্চয়ই। তবে চমকের কথা বললে বিপরীতটাই বলতে হবে বোধ হয়। এবারের মেলায় হুমায়ূন আহমেদ নেই। তিনি আর আসবেন না। নন্দিত এই লেখকের অসংখ্য পাঠক তার অনুপস্থিতি টের পাবেন নিশ্চয়ই। এ জন্যই এবারের বইমেলাকে তার নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।
তারপরও বইমেলা তার স্বীয় স্বকীয়তায় এগিয়ে যাবে। ১৯৫৫ সালে বাংলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠা আর ১৯৭০ সালে মুক্তধারা প্রকাশনীর চিত্তরঞ্জন সাহার হাত ধরে যে মেলা শুরু হয়েছে, সে মেলা বাঙালির সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। যে মেলা প্রতি বছর হাজারো বই, লেখক, পাঠক এমনকি প্রকাশকও উপহার দিচ্ছে, যে মেলা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে, সে মেলা তার আপন গতিতেই চলবে। আমরাও স্মরণ করব সেই বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনকে।
অপেক্ষার প্রহর যারা গুনছেন, হাতে বাকি মাত্র ক'টা দিন। এরপরই মেলা বসবে। মিলনমেলা। এক মাস পর সেটা আবার ভাঙবেও। তবে তার আগেই ঠিক করে নিই, মেলা থেকে কে কী নেব।
বইমেলার নামটা মনে রাখা দরকার, অমর একুশে গ্রন্থমেলা; নামের মাধ্যমেই আমরা ফেব্রুয়ারিজুড়ে হওয়ার এর কার্যকারিতা দেখি। দুনিয়ার কোথাও এতদিনের বইমেলা হয় না। ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার কথা আমরা জানি, সেটা পাঁচদিনের কিংবা কলকাতার বইমেলার কথাও আসতে পারে, সেটাও ১১-১২ দিনের। আসলে আমাদের ভাষার জন্য যে লড়াই, আত্মত্যাগ_ সে রকম ইতিহাস তো অন্যদের নেই। এই ইতিহাসকে স্মরণ করার জন্যই আমরা পুরো মাসটিতে বইমেলা করি। অবশ্য অনেকে বলেন_ বাঙালি একটু দেখে-শুনে-ঘুরে বই কিনবে। অন্যদের মতো হুটহাট করে সব করা যায় না।
এবারের বইমেলা বিশেষ কোনো চমক নিয়ে হাজির হবে কি? বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, এবারের বইমেলা শুধু প্রকাশকদের। প্রকাশকদের বলতে তারা নিশ্চয়ই স্টলের দিক থেকে বলেছেন। আগে যেখানে নানা সংগঠন, সংস্থার স্টল দেখা যেত, এ বছর হয়তো সেগুলো দেখা যাবে না। দেখা যাবে না রাস্তার দু'ধারের স্টলগুলোও। কর্তৃপক্ষের ভালো উদ্যোগ নিশ্চয়ই। এতে স্টলসংখ্যা কম দেখা যাবে হয়তো, কিন্তু মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরার জন্য মেলার জায়গা বাড়ছে না নিশ্চয়ই। তবে চমকের কথা বললে বিপরীতটাই বলতে হবে বোধ হয়। এবারের মেলায় হুমায়ূন আহমেদ নেই। তিনি আর আসবেন না। নন্দিত এই লেখকের অসংখ্য পাঠক তার অনুপস্থিতি টের পাবেন নিশ্চয়ই। এ জন্যই এবারের বইমেলাকে তার নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।
তারপরও বইমেলা তার স্বীয় স্বকীয়তায় এগিয়ে যাবে। ১৯৫৫ সালে বাংলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠা আর ১৯৭০ সালে মুক্তধারা প্রকাশনীর চিত্তরঞ্জন সাহার হাত ধরে যে মেলা শুরু হয়েছে, সে মেলা বাঙালির সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। যে মেলা প্রতি বছর হাজারো বই, লেখক, পাঠক এমনকি প্রকাশকও উপহার দিচ্ছে, যে মেলা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে, সে মেলা তার আপন গতিতেই চলবে। আমরাও স্মরণ করব সেই বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনকে।
অপেক্ষার প্রহর যারা গুনছেন, হাতে বাকি মাত্র ক'টা দিন। এরপরই মেলা বসবে। মিলনমেলা। এক মাস পর সেটা আবার ভাঙবেও। তবে তার আগেই ঠিক করে নিই, মেলা থেকে কে কী নেব।
No comments