চলন্ত বাসে ধর্ষণঃ থানায় রাত কাটলো তরুণীর
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানা হাজতে রাত কাটালেন চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার তরুণী (১৮)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে তাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার দুপুরে আটক বাসচালক দীপু মিয়া ও হেলপার আবুল কাশেমকে থানা থেকে বিশেষ আদালতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, তরুণীর বোনজামাই মাসুদ রানা (২৮) বাংলানিউজকে জানান, দরিদ্রতার কারণে খুব বেশি পড়াশুনা করতে পারেনি সে। তাই অর্থের অভাবে আশুলিয়ায় বড় বোনের বাসায় থেকে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। সামান্য এ চাকরি ছিল তার জীবনের একমাত্র স্বপ্ন। কিন্তু চাকরির মাত্র পাঁচ মাস না যেতেই এটাই তার সারা জীবনের কান্না হয়ে দাঁড়ালো।
তিনি আরও বলেন, “শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়া থেকে নিজ বাড়ি রাজবাড়ীর উদ্দেশে রওয়ানা হয় মেয়েটি। এরপর বিকেলে আমাকে মুঠোফোনে সংবাদ দেওয়া হয় সে মানিকগঞ্জে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।”
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ভ্রাম্যমাণ বাদামবিক্রেতা হান্নান মিয়া (৪০) বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি শুভযাত্রা গাড়ির পেছনের সিটে ঘটনাটি দেখতে পান। এসময় তিনি আরেকটি বাসে ছিলেন। ড্রাইভার ও হেলপার এক পর্যায়ে আহত মেয়েটিকে মহসড়কের মানরা নামক স্থানে রাস্তায় ফেলে যায়। তারপর হান্নান মিয়া স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল সরকার বাংলানিউজকে বলেন, “হান্নান মিয়া তরুণীকে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আসার পর মেয়েটি ধর্ষণের ঘটনা বর্ণনা করলে তাৎক্ষণিক থানা পুলিশে খবর দেই। সেই সঙ্গে গাড়ি চালক দীপুকে বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করি।”
মানিকগঞ্জ সার্কেল এএসপি কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বাসচালক দীপুকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও হেলপার কাশেমকে নবীনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের ঘটনাটি স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ভিকটিম থানা হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে, তরুণীর বোনজামাই মাসুদ রানা (২৮) বাংলানিউজকে জানান, দরিদ্রতার কারণে খুব বেশি পড়াশুনা করতে পারেনি সে। তাই অর্থের অভাবে আশুলিয়ায় বড় বোনের বাসায় থেকে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। সামান্য এ চাকরি ছিল তার জীবনের একমাত্র স্বপ্ন। কিন্তু চাকরির মাত্র পাঁচ মাস না যেতেই এটাই তার সারা জীবনের কান্না হয়ে দাঁড়ালো।
তিনি আরও বলেন, “শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়া থেকে নিজ বাড়ি রাজবাড়ীর উদ্দেশে রওয়ানা হয় মেয়েটি। এরপর বিকেলে আমাকে মুঠোফোনে সংবাদ দেওয়া হয় সে মানিকগঞ্জে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।”
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ভ্রাম্যমাণ বাদামবিক্রেতা হান্নান মিয়া (৪০) বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি শুভযাত্রা গাড়ির পেছনের সিটে ঘটনাটি দেখতে পান। এসময় তিনি আরেকটি বাসে ছিলেন। ড্রাইভার ও হেলপার এক পর্যায়ে আহত মেয়েটিকে মহসড়কের মানরা নামক স্থানে রাস্তায় ফেলে যায়। তারপর হান্নান মিয়া স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল সরকার বাংলানিউজকে বলেন, “হান্নান মিয়া তরুণীকে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আসার পর মেয়েটি ধর্ষণের ঘটনা বর্ণনা করলে তাৎক্ষণিক থানা পুলিশে খবর দেই। সেই সঙ্গে গাড়ি চালক দীপুকে বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করি।”
মানিকগঞ্জ সার্কেল এএসপি কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বাসচালক দীপুকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও হেলপার কাশেমকে নবীনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের ঘটনাটি স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ভিকটিম থানা হেফাজতে রয়েছে।
No comments