স্মরণঃ মাওলানা মুহাম্মদ শামসুদ্দিন
ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, অনেক আলেমের
ওস্তাদ, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের স্বপ্নদ্রষ্টা ও
রূপকার, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও
উপদেষ্টা মরহুম মাওলানা মুহাম্মদ শামসুদ্দিনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ২৬
জানুয়ারি।
তিনি ১৯৩১ সালের ১ মার্চ চট্টগ্রাম জেলার
মিরসরাই উপজেলার উত্তর হাইদকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামে
প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর চট্টগ্রাম শহরের কাজেম আলী হাইস্কুলে দশম শ্রেণী
পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মাদরাসায়
শিক্ষা গ্রহণ করে কামিল পাস করেন ১৯৫৫ সালে। তিনি ১৯৫৬ ও ১৯৫৭ সালে
চট্টগ্রাম নগরীর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা এবং ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৮
সাল পর্যন্ত সোবহানিয়া আলিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা ছাড়াও ভারপ্রাপ্ত
অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। দেশে ও বিদেশে তার অসংখ্য ছাত্র বিভিন্ন
ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।
মাওলানা শামসুদ্দিন ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্য হলেও জীবনের পুরো সময় ইসলামি সমাজ কায়েমের আন্দোলন এবং জনগণের সেবায় অতিবাহিত করে গেছেন। তিনি ১৯৫৬ সালে ইসলামি আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন এবং ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামে নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন আমৃত্যু। তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম শহর সেক্রেটারি, ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৮ সাল বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা আমির এবং ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। তখন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম বদিউল আলম ও অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আবু তাহের মহানগরী সংগঠনের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে তার ভূমিকা অনেক বড়। ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে তিনি সুদীর্ঘ ৩৩ বছর মানবজাতির হেদায়াতের বাণী আল কুরআনের তাফসির মাহফিল, গরিব-দুঃখীদের সেবা এবং সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনোন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। পরিষদের উদ্যোগে স্কুল, মাদরাসা প্রতিষ্ঠা ছাড়াও বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা তার অবিস্মরণীয় অবদান। তিনি চট্টগ্রাম মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি ও কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির আজীবন সদস্য ছিলেন। ১৯৭২ সালে প্রথম পরিচিত হওয়ার পর ১৯৭৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত আমি মাওলানা শামসুদ্দিনের সাহচর্য লাভ করেছি। তিনি অমায়িক, মিষ্টভাষী, নিরহঙ্কার এবং সবার শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন। সময়ানুবর্তিতা ছিল তার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। তিনি ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেছেন। তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। জীবনের সব নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন, এটাই মহান প্রভুর দরবারে বিনীত প্রার্থনা।
হ অধ্যাপক লিয়াকত আখতার ছিদ্দিকী
মাওলানা শামসুদ্দিন ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্য হলেও জীবনের পুরো সময় ইসলামি সমাজ কায়েমের আন্দোলন এবং জনগণের সেবায় অতিবাহিত করে গেছেন। তিনি ১৯৫৬ সালে ইসলামি আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন এবং ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামে নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন আমৃত্যু। তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম শহর সেক্রেটারি, ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৮ সাল বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা আমির এবং ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। তখন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম বদিউল আলম ও অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আবু তাহের মহানগরী সংগঠনের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে তার ভূমিকা অনেক বড়। ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে তিনি সুদীর্ঘ ৩৩ বছর মানবজাতির হেদায়াতের বাণী আল কুরআনের তাফসির মাহফিল, গরিব-দুঃখীদের সেবা এবং সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনোন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। পরিষদের উদ্যোগে স্কুল, মাদরাসা প্রতিষ্ঠা ছাড়াও বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা তার অবিস্মরণীয় অবদান। তিনি চট্টগ্রাম মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি ও কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির আজীবন সদস্য ছিলেন। ১৯৭২ সালে প্রথম পরিচিত হওয়ার পর ১৯৭৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত আমি মাওলানা শামসুদ্দিনের সাহচর্য লাভ করেছি। তিনি অমায়িক, মিষ্টভাষী, নিরহঙ্কার এবং সবার শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন। সময়ানুবর্তিতা ছিল তার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। তিনি ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেছেন। তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। জীবনের সব নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন, এটাই মহান প্রভুর দরবারে বিনীত প্রার্থনা।
হ অধ্যাপক লিয়াকত আখতার ছিদ্দিকী
No comments