রাসূল সা:-এর জন্ম ও ওফাত দিবস আজ- শান্তি-স্বস্তি আনতে পারে তাঁর আদর্শের অনুসরণ
আজ ১২ রবিউল আউয়াল মানবজাতির জন্য আল্লাহর পাঠানো মহান শিক্ষক হজরত
মোহাম্মদের (আল্লাহর করুণা ও শান্তি বর্ষিত হোক তাঁর ওপর) জন্ম ও তিরোধান
দিবস।
৫৭০ সালের এই দিনে তিনি কোরাইশের শাসক বংশে পিতৃহীন
এক সংসারে জন্মগ্রহণ করেন। ছয় বছরে হারান স্নেহময়ী মাকে। আর ৬৩২ সালের
এই দিনে তিনি যখন পৃথিবী থেকে বিদায় নেন, তখন মানবজাতির জন্য রেখে যান
একটি শ্রেষ্ঠ আদর্শ এবং পরবর্তী জীবনের জন্য অনুসরণীয় আল্লাহর মনোনীত ধর্ম
। আর একই সাথে রেখে যান এক বিশাল ইসলামি সাম্রাজ্যÑ যেখানে মানুষের ওপর
প্রভুত্ব ও শোষণের কোনো অবকাশ আর ছিল না। রাসূল সা:-এর ৬৩ বছরের জীবন খুব
সুদীর্ঘ নয়। এর মধ্যে রাসূল হিসেবে তাঁর জীবন ছিল ২৩ বছরের। এই স্বল্প
সময়ের মধ্যে তিনি ইসলামের প্রচার-প্রসার, রাষ্ট্র ও ন্যায়বিচার
প্রতিষ্ঠা, যুদ্ধ জয়, আদর্শ সমাজ গড়ার পুরো কাজ সম্পন্ন করেন। এ দায়িত্ব
শেষ করে তিনি যখন জনতার সমাবেশে অর্পিত দায়িত্ব সম্পন্ন করতে পেরেছেন কি
না জানতে চাইলেন, তখন জনতা সমস্বরে স্বাক্ষ্য দেনÑ হ্যাঁ পেরেছেন। এরপর পরম
করুণাময় শেষ প্রত্যাদেশ নাজিল করে জানান, ‘আজ তোমাদের জন্য আমার দ্বীনকে
পূর্ণতা দান করলাম এবং সব ধরনের নেয়ামত তোমাদের ওপর বর্ষণ করলাম আর
ইসলামকে করলাম মনোনীত দ্বীন।’
রাজনৈতিকভাবে মহানবীর সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল তিনি বিবদমান আরব গোত্রগুলোকে এক করে এমন এক আদর্শের বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন, যাতে তারা অতি অল্প সময়ে এক বিশাল ইসলামি সাম্রাজ্যের পত্তন ঘটাতে পেরেছিলেন। অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও জনকল্যাণমুখী এমন এক রাষ্ট্র ও সমাজ তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যার কল্যাণকর বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উল্লেখযোগ্য কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করেন না। মহানবী সা:-এর বিদায়ী ভাষণটি ছিল তার প্রবর্তিত সমাজের আদর্শগত প্রতিফলন। এতে তিনি বলেছিলেন, এক দেশের মানুষের ওপর অন্য দেশের মানুষের প্রাধান্যের কোনো কারণ নেই। সব মানুষ আদম আ: হতে এবং আদম মাটি হতে সৃষ্ট। মানুষের প্রাধান্য হবে যোগ্যতার জন্য। কোনো দুর্বল মানুষের ওপর অত্যাচার করা যাবে না, অত্যাচার নয় গরিবের ওপর। অসম্মতিতে কারো জিনিস গ্রহণ করা যাবে না। মজুরের শরীরের ঘাম শুকাবার আগেই তার মজুরি মিটিয়ে দিতে হবে। স্ত্রীদের ওপর যেমন স্বামীর অধিকার রয়েছে, তেমনি অধিকার রয়েছে স্বামীর ওপর স্ত্রীর। নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহারে পরস্পর পরস্পরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মুসলিমরা পরস্পর ভাই। একজনের অপরাধের জন্য অন্যকে কোনোভাবেই শাস্তি দেয়া যাবে না। পিতার অপরাধে ছেলেকে এবং ছেলের অপরাধে পিতাকে শাস্তি দেয়া যাবে না।
রাসূল সা:-এর জীবনের এক বড় বৈশিষ্ট্য ছিল তিনি কাউকে জয় করতে চাইতেন। ভেতরে পরিবর্তন এনে তার জীবনটাকে পাল্টে দিতেন। শত্রুতার প্রতিশোধের চেয়ে কাছে টেনে তাকে কল্যাণের পথ চিনিয়ে দিতেন। এভাবে তিনি শত্রুতাকে ধৈর্য, মমত্ব ও কল্যাণ কামনা দিয়ে জয় করে পৃথিবীকে এমন এক সমাজ উপহার দিয়েছিলেন যা পৃথিবীর অনন্ত সময়ের জন্য আদর্শ হয়ে রয়েছে। সে আদর্শ থেকে মুসলিম দুনিয়া বেশখানিকটা দূরে রয়েছে বলেই আজ পুরো জাহানে শান্তির পরিবর্তে অশান্তি ও হানাহানি বেশি দৃশ্যমান। পবিত্র মক্কায় বিদায়বাণীতে তিনি দু’টি জিনিসকে আঁকড়ে ধরলে অনুসারীরা পথভ্রষ্ট হবে না বলে উল্লেখ করেছিলেন। মহানবীর তিরোধানের পর দীর্ঘ সময়ব্যাপী সেটি আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু যখনই মুসলমানেরা আল্লাহর বাণী পবিত্র কুরআন ও রাসূলের সুন্নাহ থেকে কাজেকর্মে অনুসরণে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তখনই শুরু হয়েছে বিপত্তি। সেই বিপত্তি থেকে রক্ষার জন্য রাসূলের আদর্শের দিকে ফিরে যেতে হবে সচেতন ও বুদ্ধিমত্তার সাথে। বিভ্রান্তিকর ধারণার সাথে আবেগ যুক্ত হলে তা অনেক সময় ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। এ জন্য ইসলামের সত্যজ্ঞানের সাথে ধৈর্য, ঐকান্তিকতা ও যথার্থভাবে মহানবীর অনুসরণ করতে হবে সবাইকে। তাহলেই শান্তি, স্বস্তি এবং শোষণ ও বঞ্চনাহীন সুখময় জীবন প্রতিষ্ঠিত হবে সমাজ ও রাষ্ট্রে।
রাজনৈতিকভাবে মহানবীর সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল তিনি বিবদমান আরব গোত্রগুলোকে এক করে এমন এক আদর্শের বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন, যাতে তারা অতি অল্প সময়ে এক বিশাল ইসলামি সাম্রাজ্যের পত্তন ঘটাতে পেরেছিলেন। অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও জনকল্যাণমুখী এমন এক রাষ্ট্র ও সমাজ তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যার কল্যাণকর বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উল্লেখযোগ্য কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করেন না। মহানবী সা:-এর বিদায়ী ভাষণটি ছিল তার প্রবর্তিত সমাজের আদর্শগত প্রতিফলন। এতে তিনি বলেছিলেন, এক দেশের মানুষের ওপর অন্য দেশের মানুষের প্রাধান্যের কোনো কারণ নেই। সব মানুষ আদম আ: হতে এবং আদম মাটি হতে সৃষ্ট। মানুষের প্রাধান্য হবে যোগ্যতার জন্য। কোনো দুর্বল মানুষের ওপর অত্যাচার করা যাবে না, অত্যাচার নয় গরিবের ওপর। অসম্মতিতে কারো জিনিস গ্রহণ করা যাবে না। মজুরের শরীরের ঘাম শুকাবার আগেই তার মজুরি মিটিয়ে দিতে হবে। স্ত্রীদের ওপর যেমন স্বামীর অধিকার রয়েছে, তেমনি অধিকার রয়েছে স্বামীর ওপর স্ত্রীর। নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহারে পরস্পর পরস্পরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মুসলিমরা পরস্পর ভাই। একজনের অপরাধের জন্য অন্যকে কোনোভাবেই শাস্তি দেয়া যাবে না। পিতার অপরাধে ছেলেকে এবং ছেলের অপরাধে পিতাকে শাস্তি দেয়া যাবে না।
রাসূল সা:-এর জীবনের এক বড় বৈশিষ্ট্য ছিল তিনি কাউকে জয় করতে চাইতেন। ভেতরে পরিবর্তন এনে তার জীবনটাকে পাল্টে দিতেন। শত্রুতার প্রতিশোধের চেয়ে কাছে টেনে তাকে কল্যাণের পথ চিনিয়ে দিতেন। এভাবে তিনি শত্রুতাকে ধৈর্য, মমত্ব ও কল্যাণ কামনা দিয়ে জয় করে পৃথিবীকে এমন এক সমাজ উপহার দিয়েছিলেন যা পৃথিবীর অনন্ত সময়ের জন্য আদর্শ হয়ে রয়েছে। সে আদর্শ থেকে মুসলিম দুনিয়া বেশখানিকটা দূরে রয়েছে বলেই আজ পুরো জাহানে শান্তির পরিবর্তে অশান্তি ও হানাহানি বেশি দৃশ্যমান। পবিত্র মক্কায় বিদায়বাণীতে তিনি দু’টি জিনিসকে আঁকড়ে ধরলে অনুসারীরা পথভ্রষ্ট হবে না বলে উল্লেখ করেছিলেন। মহানবীর তিরোধানের পর দীর্ঘ সময়ব্যাপী সেটি আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু যখনই মুসলমানেরা আল্লাহর বাণী পবিত্র কুরআন ও রাসূলের সুন্নাহ থেকে কাজেকর্মে অনুসরণে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তখনই শুরু হয়েছে বিপত্তি। সেই বিপত্তি থেকে রক্ষার জন্য রাসূলের আদর্শের দিকে ফিরে যেতে হবে সচেতন ও বুদ্ধিমত্তার সাথে। বিভ্রান্তিকর ধারণার সাথে আবেগ যুক্ত হলে তা অনেক সময় ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। এ জন্য ইসলামের সত্যজ্ঞানের সাথে ধৈর্য, ঐকান্তিকতা ও যথার্থভাবে মহানবীর অনুসরণ করতে হবে সবাইকে। তাহলেই শান্তি, স্বস্তি এবং শোষণ ও বঞ্চনাহীন সুখময় জীবন প্রতিষ্ঠিত হবে সমাজ ও রাষ্ট্রে।
No comments