ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নয় যাবজ্জীবন করার সুপারিশ
ভারতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করার সুপারিশ করেছে বিচারপতি জগদীশ শরণ ভার্মার নেতৃত্বাধীন কমিশন। দেশটির যৌন অপরাধ আইন সংস্কারে বিচারপতি ভার্মার নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করা হয়। ওই কমিশন গত বুধবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে কমিশন যৌন অপরাধের জন্য শাস্তি কঠোর করার সুপারিশ করলেও ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিপক্ষে তাঁদের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে শিশুদের বয়সসীমা ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করার জনপ্রিয় দাবিটিও এড়িয়ে গেছে কমিশন।
গত ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে চলন্ত বাসে মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার কয়েক দিন আগে বিচারপতি ভার্মার নেতৃত্বে যৌন অপরাধ আইন সংস্কার করতে এই কমিশন গঠন করা হয়। ওই ধর্ষণের ঘটনায় ছয় আসামির একজনের বয়স ১৭ বছর বলে তাকে শিশু আইনে বিচার করা হবে কি না, তা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে শিশুর বয়সসীমা ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করার দাবি ওঠে। কিন্তু ভার্মা কমিশন এই দাবি এড়িয়ে গেছে।
ভারতের বর্তমান আইনে কোনো ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হলেও তাঁকে ১৪ বছর সাজা ভোগের পর সরকার চাইলে মুক্তি দিতে পারে। কমিশন যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সাজা ভোগের মেয়াদ ছয় বছর বাড়িয়ে ২০ বছর করার সুপারিশ করেছে।
কমিশন ধর্ষণের কারণে মৃত্যু বা বোধশক্তিহীন হয়ে যাওয়া, গণধর্ষণ, পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ ও অপ্রাপ্তবয়স্ককে ধর্ষণের মতো অভিযোগের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
কিছু যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অপরাধের শিকার ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও সুপারিশ করেছে ভার্মা কমিশন। বিশেষ করে অপরাধের শিকার ব্যক্তিকে চিকিৎসা নিতে হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কমপক্ষে সেই খরচ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ভার্মা কমিশনের সুপারিশে পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর অধস্তন সদস্যদের যৌন অপরাধের জন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশন প্রচলিত আইনের কিছু বিধিরও সমালোচনা করেছে। বিবাহিত সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্ষণের সংজ্ঞা নতুন করে লেখারও সুপারিশ করেছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী স্ত্রী বয়স ১৫ বছরের নিচে হলে স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বলে বিবেচনা করা হয়। টিএনএন।
গত ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে চলন্ত বাসে মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার কয়েক দিন আগে বিচারপতি ভার্মার নেতৃত্বে যৌন অপরাধ আইন সংস্কার করতে এই কমিশন গঠন করা হয়। ওই ধর্ষণের ঘটনায় ছয় আসামির একজনের বয়স ১৭ বছর বলে তাকে শিশু আইনে বিচার করা হবে কি না, তা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে শিশুর বয়সসীমা ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করার দাবি ওঠে। কিন্তু ভার্মা কমিশন এই দাবি এড়িয়ে গেছে।
ভারতের বর্তমান আইনে কোনো ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হলেও তাঁকে ১৪ বছর সাজা ভোগের পর সরকার চাইলে মুক্তি দিতে পারে। কমিশন যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সাজা ভোগের মেয়াদ ছয় বছর বাড়িয়ে ২০ বছর করার সুপারিশ করেছে।
কমিশন ধর্ষণের কারণে মৃত্যু বা বোধশক্তিহীন হয়ে যাওয়া, গণধর্ষণ, পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ ও অপ্রাপ্তবয়স্ককে ধর্ষণের মতো অভিযোগের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
কিছু যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অপরাধের শিকার ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও সুপারিশ করেছে ভার্মা কমিশন। বিশেষ করে অপরাধের শিকার ব্যক্তিকে চিকিৎসা নিতে হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কমপক্ষে সেই খরচ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ভার্মা কমিশনের সুপারিশে পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর অধস্তন সদস্যদের যৌন অপরাধের জন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশন প্রচলিত আইনের কিছু বিধিরও সমালোচনা করেছে। বিবাহিত সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্ষণের সংজ্ঞা নতুন করে লেখারও সুপারিশ করেছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী স্ত্রী বয়স ১৫ বছরের নিচে হলে স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বলে বিবেচনা করা হয়। টিএনএন।
No comments