নারীদের জন্য প্রথম আদালতের যাত্রা
নারীর ওপর নির্যাতন ও অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দেশের প্রথম নারী আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই আদালতের বিচারক থেকে শুরু করে সরকারি আইনজীবী ও সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সবাই নারী।
রাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় মালদহ শহরে দুজন বিচারকের নেতৃত্বে গত বুধবার এর কার্যক্রম শুরু হয়।
এক জ্যেষ্ঠ বিচারক জানান, এই আদালতের লক্ষ্য নারী নির্যাতনের মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি। দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর দেশটিতে নারী নির্যাতনের মামলাগুলোর দ্রুত বিচারের দাবি ওঠে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক অরুণ মিশ্র জানান, ইতিমধ্যেই এ আদালতের বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিচার চলাকালে আদালতের কার্যক্রমের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখার বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিচারপতি অরুণ মিশ্রই এ আদালত প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেন।
কলকাতার বুদ্ধিজীবী সমাজ মনে করছে, এ আদালতে নারী বিচারপতি ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ফলে ধর্ষিতা বা নিগৃহীত নারীরা আদালতের শরণাপন্ন হতে অনুপ্রাণিত হবে এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। সর্বভারতীয় আইনি সহায়তা মঞ্চের সেক্রেটারি জয়দ্বীপ মুখার্জি বলেন, 'চার দিকে পুরুষবেষ্টিত বিচারকক্ষে নির্যাতিত নারীরা সাধারণত কথা বলতে পারে না। তার ওপর নির্যাতনের খুঁটিনাটি তুলে ধরতে পারে না। তারা সে সব বর্ণনা দিতে লজ্জা পায়। কিন্তু নারী আদালতে তারা একটি নারীবান্ধব পরিবেশ পাবে।'
বিশেষ পুলিশ ইউনিট : নারী, শিশু ও বয়স্কসহ অরক্ষিতদের নিরাপত্তা দিতে ৬৮২টি জেলায় বিশেষ পুলিশ ইউনিট প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এই ধরণের নাগরিকদের ওপর নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি এই ইউনিট অন্যদেরও প্রশিক্ষণ দেবে যাতে তারা অপরাধ দমনে ও এর সুষ্ঠু তদন্তে পেশাদারি ভূমিকা পালন করতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার সমস্যা ও তা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়া সত্ত্বেও দেশে ব্যাপকভাবে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারী ও কম বয়সী মেয়েরা।' অপরাধ বিষয়ক জাতীয় অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নারী ও শিশুদের ওপর ধর্ষণ, তাদের উত্ত্যক্ত করা, যৌতুকের কারণে নির্যাতন, হত্যার ঘটনা অনেকে বেড়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রাথমিকভাবে মহারাষ্ট্র, গোয়া, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিহারসহ ১১৫টি জেলায় মানবপাচার প্রতিরোধে তারা বিশেষ পুলিশের একটি পাইলট প্রকল্প চালু করে এবং ইতিবাচক ফল পায়। সূত্র : বিবিসি।
এক জ্যেষ্ঠ বিচারক জানান, এই আদালতের লক্ষ্য নারী নির্যাতনের মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি। দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর দেশটিতে নারী নির্যাতনের মামলাগুলোর দ্রুত বিচারের দাবি ওঠে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক অরুণ মিশ্র জানান, ইতিমধ্যেই এ আদালতের বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিচার চলাকালে আদালতের কার্যক্রমের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখার বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিচারপতি অরুণ মিশ্রই এ আদালত প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেন।
কলকাতার বুদ্ধিজীবী সমাজ মনে করছে, এ আদালতে নারী বিচারপতি ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ফলে ধর্ষিতা বা নিগৃহীত নারীরা আদালতের শরণাপন্ন হতে অনুপ্রাণিত হবে এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। সর্বভারতীয় আইনি সহায়তা মঞ্চের সেক্রেটারি জয়দ্বীপ মুখার্জি বলেন, 'চার দিকে পুরুষবেষ্টিত বিচারকক্ষে নির্যাতিত নারীরা সাধারণত কথা বলতে পারে না। তার ওপর নির্যাতনের খুঁটিনাটি তুলে ধরতে পারে না। তারা সে সব বর্ণনা দিতে লজ্জা পায়। কিন্তু নারী আদালতে তারা একটি নারীবান্ধব পরিবেশ পাবে।'
বিশেষ পুলিশ ইউনিট : নারী, শিশু ও বয়স্কসহ অরক্ষিতদের নিরাপত্তা দিতে ৬৮২টি জেলায় বিশেষ পুলিশ ইউনিট প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এই ধরণের নাগরিকদের ওপর নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি এই ইউনিট অন্যদেরও প্রশিক্ষণ দেবে যাতে তারা অপরাধ দমনে ও এর সুষ্ঠু তদন্তে পেশাদারি ভূমিকা পালন করতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার সমস্যা ও তা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়া সত্ত্বেও দেশে ব্যাপকভাবে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারী ও কম বয়সী মেয়েরা।' অপরাধ বিষয়ক জাতীয় অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নারী ও শিশুদের ওপর ধর্ষণ, তাদের উত্ত্যক্ত করা, যৌতুকের কারণে নির্যাতন, হত্যার ঘটনা অনেকে বেড়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রাথমিকভাবে মহারাষ্ট্র, গোয়া, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিহারসহ ১১৫টি জেলায় মানবপাচার প্রতিরোধে তারা বিশেষ পুলিশের একটি পাইলট প্রকল্প চালু করে এবং ইতিবাচক ফল পায়। সূত্র : বিবিসি।
No comments