মানিকগঞ্জে চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণ
মানিকগঞ্জে চলন্ত বাসে পোশাকশ্রমিক এক তরুণী (১৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের অভিযোগে ওই বাসের চালক দীপু মিয়া (৩০) ও বাসচালকের সহকারী (হেলপার) কাসেম মিয়াকে (২৮) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কাসেম মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দীঘি ইউনিয়নের ধোলাপাড়া গ্রামের বিদু মিয়ার ছেলে এবং দীপু একই উপজেলার গুরকি গ্রামের আতরাব আলীর ছেলে।
মানিকগঞ্জ সদর থানায় গতকাল রাত ১১টার দিকে পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের কাছে কাসেম ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, মেয়েটিকে প্রথমে বাসচালক দীপু এবং পরে তিনি ধর্ষণ করেন। কিন্তু পুলিশের কাছে ওই তরুণী কাসেমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।
বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাগজান এলাকায় গতিরোধকের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফেরিওয়ালা (হকার) হান্নান মিয়া। তিনি বলেন, পাটুরিয়াগামী শুভযাত্রা পরিবহনের ধীরগতির একটি বাসে এক তরুণীর সঙ্গে এক যুবক ধস্তাধস্তি করছেন। এ সময় ওই বাসের দরজা-জানালা সব বন্ধ ছিল এবং চালক ছাড়া আর কেউ ছিল না। প্রায় ১০ মিনিট পর বাসটি আবার ফিরে মানিকগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় তিনি (ফেরিওয়ালা) ওই বাসের পেছনে আরেকটি বাসে ওঠেন। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের অদূরে মহাসড়কের মানরা সেতুর কাছে ওই বাস থামিয়ে এক তরুণীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তিনিসহ আরও কয়েকজন ওই তরুণীকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে নিয়ে যান।
পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের মানিকগঞ্জের সভাপতি বাবুল সরকার বলেন, টার্মিনালে ওই তরুণীর কাছ থেকে ঘটনা জেনে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এর পরপরই বাসের চালক দীপুকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
তরুণীর উদ্ধৃতি দিয়ে মানিকগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন ওই তরুণী। তিনি আশুলিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায়। গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে গতকাল বেলা একটার দিকে নবীনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুভযাত্রা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-১৬১২) ওঠেন তিনি। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় কৌশলে ওই তরুণীকে নিয়ে বাসচালক ও তাঁর সহকারী পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন।
মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বাসটি মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড অতিক্রম করার পর বাসচালকের সহকারী কাসেম মিয়া বাস চালাতে থাকেন। এরপর দীপু তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে দীপু ফের বাস চালাতে থাকেন। কাসেম মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
পুলিশ বিকেলে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে দীপু এবং ঢাকার আশুলিয়ার নবীনগর থেকে রাত সাড়ে আটটার দিকে কাসেমকে গ্রেপ্তার করে।
ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তরুণীকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আবদুল মালেক খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তরুণীটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, বাসটি আটক করা হয়েছে। তরুণী নিজেই বাদী হয়ে বাসচালক দীপু মিয়া ও চালকের সহকারী কাসেম মিয়াকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মানিকগঞ্জ মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান লক্ষ্মী চ্যাটার্জি বলেন, ‘অন্য রাষ্ট্রের মতো আমাদের দেশেও নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগে ভারতে চলন্ত বাসে মেডিকেলের ছাত্রী এবং পরে চলন্ত ট্রেনে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হন। এবার হলো আমাদের দেশে।’ অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন তিনি।
মানিকগঞ্জ সদর থানায় গতকাল রাত ১১টার দিকে পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের কাছে কাসেম ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, মেয়েটিকে প্রথমে বাসচালক দীপু এবং পরে তিনি ধর্ষণ করেন। কিন্তু পুলিশের কাছে ওই তরুণী কাসেমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।
বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাগজান এলাকায় গতিরোধকের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফেরিওয়ালা (হকার) হান্নান মিয়া। তিনি বলেন, পাটুরিয়াগামী শুভযাত্রা পরিবহনের ধীরগতির একটি বাসে এক তরুণীর সঙ্গে এক যুবক ধস্তাধস্তি করছেন। এ সময় ওই বাসের দরজা-জানালা সব বন্ধ ছিল এবং চালক ছাড়া আর কেউ ছিল না। প্রায় ১০ মিনিট পর বাসটি আবার ফিরে মানিকগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় তিনি (ফেরিওয়ালা) ওই বাসের পেছনে আরেকটি বাসে ওঠেন। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের অদূরে মহাসড়কের মানরা সেতুর কাছে ওই বাস থামিয়ে এক তরুণীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তিনিসহ আরও কয়েকজন ওই তরুণীকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে নিয়ে যান।
পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের মানিকগঞ্জের সভাপতি বাবুল সরকার বলেন, টার্মিনালে ওই তরুণীর কাছ থেকে ঘটনা জেনে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এর পরপরই বাসের চালক দীপুকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
তরুণীর উদ্ধৃতি দিয়ে মানিকগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন ওই তরুণী। তিনি আশুলিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায়। গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে গতকাল বেলা একটার দিকে নবীনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুভযাত্রা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-১৬১২) ওঠেন তিনি। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় কৌশলে ওই তরুণীকে নিয়ে বাসচালক ও তাঁর সহকারী পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন।
মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বাসটি মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড অতিক্রম করার পর বাসচালকের সহকারী কাসেম মিয়া বাস চালাতে থাকেন। এরপর দীপু তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে দীপু ফের বাস চালাতে থাকেন। কাসেম মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
পুলিশ বিকেলে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে দীপু এবং ঢাকার আশুলিয়ার নবীনগর থেকে রাত সাড়ে আটটার দিকে কাসেমকে গ্রেপ্তার করে।
ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তরুণীকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আবদুল মালেক খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তরুণীটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, বাসটি আটক করা হয়েছে। তরুণী নিজেই বাদী হয়ে বাসচালক দীপু মিয়া ও চালকের সহকারী কাসেম মিয়াকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মানিকগঞ্জ মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান লক্ষ্মী চ্যাটার্জি বলেন, ‘অন্য রাষ্ট্রের মতো আমাদের দেশেও নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগে ভারতে চলন্ত বাসে মেডিকেলের ছাত্রী এবং পরে চলন্ত ট্রেনে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হন। এবার হলো আমাদের দেশে।’ অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন তিনি।
No comments