আবার পারমাণবিক পরীক্ষা চালাবে উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া তৃতীয় পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। পাশাপাশি দেশটি দূরপাল্লার রকেট উৎক্ষেপণ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে (কেসিএনএ) প্রকাশিত বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ সামরিক কমিশন এ কথা জানায়।
উত্তর কোরিয়ার রকেট উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস ও নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর ঘোষণার দুই দিন পর দেশটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দিল।
উত্তর কোরিয়া প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় ২০০৬ সালে। এরপর ২০০৮ সালে আরও একবার পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় দেশটি। এ ঘটনায় পিয়ংইয়ংয়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা নিলেও দিনক্ষণ জানায়নি উত্তর কোরিয়া। তবে দেশটি দূরপাল্লার রকেট উৎক্ষেপণ করবে ৩০ জানুয়ারি।
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ সামরিক কমিশন ন্যাশনাল ডিফেন্স কমিশনের বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘আমরা বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ ও দূরপাল্লার রকেট উৎক্ষেপণ করছি। এটা গোপন করছি না। পাশাপাশি উচ্চপর্যায়ের পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রক্রিয়াও চলছে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্রকে কথা দিয়ে নয়, শক্তি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।
‘উচ্চপর্যায়ের পরীক্ষা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করছেন, এটি বলে পিয়ংইয়ং সম্ভবত ইউরেনিয়াম বোমার দিকে ইঙ্গিত করেছে। এর আগে দুই দফায় দেশটি প্লুটোনিয়াম ডিভাইস ব্যবহার করে পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। বিশ্লেষকেরা মতে, পিয়ংইয়ং যদি সত্যিই ইউরেনিয়াম বোমার পরীক্ষা চালায়, তাহলে ধরে নিতে হবে, তারা উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম—যা দিয়ে শক্তিশালী আণবিক বোমা তৈরি করা যায়।
উত্তর কোরিয়ার বিবৃতি সম্পর্কে দক্ষিণ কোরিয়ার ডংগুক ইউনিভার্সিটির নর্থ কোরিয়া স্টাডিজ বিষয়ের অধ্যাপক কিম ইয়ং-হাইউন বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিবৃতি গতানুগতিক বলে মনে হয়েছে। এই বিবৃতি শুনে বলা যায় না, শিগগিরই পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং। তবে যখনই তারা পরীক্ষা চালাক—তখন উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ব্যবহার করেই পরীক্ষা চালাবে।
উত্তর কোরিয়ার এই বিবৃতির পর কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে চীন বলেছে, কোরীয় উপদ্বীপে কারও এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যা এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলে। বিবিসি ও এএফপি।
উত্তর কোরিয়া প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় ২০০৬ সালে। এরপর ২০০৮ সালে আরও একবার পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় দেশটি। এ ঘটনায় পিয়ংইয়ংয়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা নিলেও দিনক্ষণ জানায়নি উত্তর কোরিয়া। তবে দেশটি দূরপাল্লার রকেট উৎক্ষেপণ করবে ৩০ জানুয়ারি।
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ সামরিক কমিশন ন্যাশনাল ডিফেন্স কমিশনের বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘আমরা বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ ও দূরপাল্লার রকেট উৎক্ষেপণ করছি। এটা গোপন করছি না। পাশাপাশি উচ্চপর্যায়ের পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রক্রিয়াও চলছে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্রকে কথা দিয়ে নয়, শক্তি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।
‘উচ্চপর্যায়ের পরীক্ষা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করছেন, এটি বলে পিয়ংইয়ং সম্ভবত ইউরেনিয়াম বোমার দিকে ইঙ্গিত করেছে। এর আগে দুই দফায় দেশটি প্লুটোনিয়াম ডিভাইস ব্যবহার করে পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। বিশ্লেষকেরা মতে, পিয়ংইয়ং যদি সত্যিই ইউরেনিয়াম বোমার পরীক্ষা চালায়, তাহলে ধরে নিতে হবে, তারা উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম—যা দিয়ে শক্তিশালী আণবিক বোমা তৈরি করা যায়।
উত্তর কোরিয়ার বিবৃতি সম্পর্কে দক্ষিণ কোরিয়ার ডংগুক ইউনিভার্সিটির নর্থ কোরিয়া স্টাডিজ বিষয়ের অধ্যাপক কিম ইয়ং-হাইউন বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিবৃতি গতানুগতিক বলে মনে হয়েছে। এই বিবৃতি শুনে বলা যায় না, শিগগিরই পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং। তবে যখনই তারা পরীক্ষা চালাক—তখন উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ব্যবহার করেই পরীক্ষা চালাবে।
উত্তর কোরিয়ার এই বিবৃতির পর কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে চীন বলেছে, কোরীয় উপদ্বীপে কারও এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যা এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলে। বিবিসি ও এএফপি।
No comments