সরকারি জমিতে যুবলীগ নেতার বিপণিবিতান
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা সদরের বাহেরচর বন্দরে খাসজমি দখল করে বিপণিবিতান ও আবাসিক হোটেল নির্মাণ করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির তালুকদার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ওই জমি দখল করে বিপণিবিতান নির্মাণ করছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির তালুকদার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ওই জমি দখল করে বিপণিবিতান নির্মাণ করছেন।
ভবনটির নিচতলার কাজ শেষ করে ইতিমধ্যে পাঁচটি দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গহীনখালী খালের সেতু পার হয়ে বাহেরচর বন্দরে প্রবেশপথের ডান পাশে নির্মিত হচ্ছে বিপণিবিতানটি। নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা জানান, প্রায় দুই হাজার ১০০ বর্গফুট জায়গার ওপর বিপণিবিতানের এ ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর দোতলার কাজ চলছে। নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ করতে আরও কয়েক মাস লেগে যাবে।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিপণিবিতানটি এক নম্বর খতিয়ানের (খাস খতিয়ান) ১১১১ নম্বর দাগের (মূল দাগ নম্বর) জমির ওপর অবস্থিত। ভূমি কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বছর খানেক আগে বাহেরচরের মোশারেফ হোসেন তালুকদারের ছেলে হুমায়ুন কবির তালুকদার, আবু মোতালেব তালুকদার ও বাবর তালুকদারের নামে আধা শতাংশ করে মোট দেড় শতাংশ জমি চান্দিনা ভিটি স্থাপনের জন্য একসনা বন্দোবস্ত চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে হুমায়ুন কবির তালুকদার বলেন, ‘আমরা ৩০ বছর ধরে ওই জমি ভোগদখল করে আসছি। ওখানে আমার মুদি দোকান ও রেস্তোরাঁর ব্যবসা ছিল। এখন ওই জায়গায় ভবন তৈরি করে নিচতলায় একটি মার্কেট আর দোতলায় আবাসিক হোটেল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি।’ ভবন নির্মাণের জন্য ওই জমির স্থায়ী বন্দোবস্ত এবং সরকারি অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ওই জায়গার তিনটি ডিসিআর (একসনা বন্দোবস্ত) পাওয়ার আবেদন করেছি। সেগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি, আমরা ডিসিআর পেয়ে যাব।’
উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ‘বাহেরচর বন্দরের খাসজমি দখল করে বিপণিবিতান নির্মাণের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি জানান, সরকারি খাসজমি চান্দিনা ভিটি হিসেবে কাউকে একসনা বন্দোবস্ত দেওয়া হলেও সরকারি নীতিমালা অনুসারে সেখানে কোনো পাকা ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। এ নীতিমালা লঙ্ঘন করা হলে বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়।
রাঙ্গাবালীর ইউএনও লিয়াকত আলী বলেন, ‘সরকারি খাসজমি দখল করে বিপণিবিতান নির্মাণের কাজ শুরু করা হলে আমি হুমায়ুন কবির তালুকদারকে মৌখিকভাবে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেই। তখন তিনি কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। এরপর আমি এলাকার বাইরে আসায় উনি নাকি আবার নির্মাণকাজ শুরু করেছেন। এ ব্যাপারে আমরা বিধি অনুসারে ব্যবস্থা নেব। শিগগিরই দখল হয়ে যাওয়া খাসজমি উদ্ধার করা হবে।’
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গহীনখালী খালের সেতু পার হয়ে বাহেরচর বন্দরে প্রবেশপথের ডান পাশে নির্মিত হচ্ছে বিপণিবিতানটি। নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা জানান, প্রায় দুই হাজার ১০০ বর্গফুট জায়গার ওপর বিপণিবিতানের এ ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর দোতলার কাজ চলছে। নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ করতে আরও কয়েক মাস লেগে যাবে।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিপণিবিতানটি এক নম্বর খতিয়ানের (খাস খতিয়ান) ১১১১ নম্বর দাগের (মূল দাগ নম্বর) জমির ওপর অবস্থিত। ভূমি কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বছর খানেক আগে বাহেরচরের মোশারেফ হোসেন তালুকদারের ছেলে হুমায়ুন কবির তালুকদার, আবু মোতালেব তালুকদার ও বাবর তালুকদারের নামে আধা শতাংশ করে মোট দেড় শতাংশ জমি চান্দিনা ভিটি স্থাপনের জন্য একসনা বন্দোবস্ত চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে হুমায়ুন কবির তালুকদার বলেন, ‘আমরা ৩০ বছর ধরে ওই জমি ভোগদখল করে আসছি। ওখানে আমার মুদি দোকান ও রেস্তোরাঁর ব্যবসা ছিল। এখন ওই জায়গায় ভবন তৈরি করে নিচতলায় একটি মার্কেট আর দোতলায় আবাসিক হোটেল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি।’ ভবন নির্মাণের জন্য ওই জমির স্থায়ী বন্দোবস্ত এবং সরকারি অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ওই জায়গার তিনটি ডিসিআর (একসনা বন্দোবস্ত) পাওয়ার আবেদন করেছি। সেগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি, আমরা ডিসিআর পেয়ে যাব।’
উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ‘বাহেরচর বন্দরের খাসজমি দখল করে বিপণিবিতান নির্মাণের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি জানান, সরকারি খাসজমি চান্দিনা ভিটি হিসেবে কাউকে একসনা বন্দোবস্ত দেওয়া হলেও সরকারি নীতিমালা অনুসারে সেখানে কোনো পাকা ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। এ নীতিমালা লঙ্ঘন করা হলে বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়।
রাঙ্গাবালীর ইউএনও লিয়াকত আলী বলেন, ‘সরকারি খাসজমি দখল করে বিপণিবিতান নির্মাণের কাজ শুরু করা হলে আমি হুমায়ুন কবির তালুকদারকে মৌখিকভাবে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেই। তখন তিনি কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। এরপর আমি এলাকার বাইরে আসায় উনি নাকি আবার নির্মাণকাজ শুরু করেছেন। এ ব্যাপারে আমরা বিধি অনুসারে ব্যবস্থা নেব। শিগগিরই দখল হয়ে যাওয়া খাসজমি উদ্ধার করা হবে।’
No comments