হলমার্ক-সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারি-তথ্য চেপে রেখে মাসোয়ারা নিতেন দুই ডিজিএম by হায়দার আলী
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল (সাবেক শেরাটন) শাখা থেকে হলমার্ক গ্রুপের আড়াই হাজার কোটিরও বেশি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির কথা অনেক আগে থেকেই জানতেন।
তাঁদের দুজন এ তথ্য চেপে রেখে হলমার্কের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নিতেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন তাঁরা। হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা এই দুই কর্মকর্তার হাতে পৌঁছে দিতেন। দুদক কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোনালী ব্যাংকের বরখাস্ত হওয়া মহাব্যবস্থাপক মীর মহিদুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক শেখ আলতাফ হোসেন ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. সফিজউদ্দিন আহম্মেদকে গত রবিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার সকালে পৃথক দুটি মামলায় তাঁদের ছয় দিন করে ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দুদক কার্যালয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক ও মামলার বাদী মীর জয়নুল আবেদিন শিবলী গতকাল
কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজউদ্দিন আহম্মেদ ছিলেন হেড অফিসে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফাইন্যান্স ডিভিশনের (আইটিএফডি) প্রধান। শাখাগুলো থেকে প্রতিনিয়ত এলসি (ঋণপত্র) ও আইবিপি (ইনল্যান্ড পার্সেজ বিল) সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত হেড অফিসে এ ডিভিশনে পাঠানো হতো। সেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাঁরা ধামাচাপা দিতেন। আর বিনিময়ে হলমার্কের এমডি তানভীরের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিতেন।'
জিএম মীর মহিদুর রহমান সম্পর্কে শিবলী বলেন, 'মীর মহিদুর সোনালী ব্যাংকের ঢাকার জিএম অফিসের প্রধান ছিলেন। তিনি যদি নির্ধারিত সময়ে সঠিকভাবে বিষয়গুলো তদারক করতেন, তাহলে সোনালী ব্যাংকে এত বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটত না।' এ তিনজনের মাসোয়ারার বিষয়টি হলমার্কের এমডি তানভীর মাহমুদ আদালতে দেওয়া তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও উল্লেখ করেছেন বলে তিনি জানান।
আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান, গতকাল সকালে এ তিনজনকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে তুলে দুটি মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান দুদক কর্মকর্তারা। ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিকেল ৩টায় দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
দুদকের উপপরিচালক শিবলী আরো বলেন, 'মামলাগুলোর তদন্ত প্রায় শেষের দিকে। এ তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও দুদকের ডাকে তাঁরা সাড়া দেননি। তাঁরা পলাতক ছিলেন। আমরা নিজস্ব কৌশল অবলম্বন করে তাঁদের গ্রেপ্তার করি। দুটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি ৯টি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, হলমার্ক-সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত ৪ অক্টোবর হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ ও সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও ডিজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) এ কে এম আজিজুর রহমানকে আসামি করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর মধ্যে সাতজন হচ্ছেন হলমার্কের এবং ২০ জন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা। তাঁদের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি তানভীর ও তুষার মিরপুর থেকে ৭ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন। ১৪ অক্টোবর রমনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন আজিজুর রহমান এবং ১৮ নভেম্বর মানিকগঞ্জ থেকে তানভীরের স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম গ্রেপ্তার হন। এ চারজন রিমান্ড শেষে এখন কারাগারে রয়েছেন। তানভীর, তুষার ও আজিজ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোনালী ব্যাংকের বরখাস্ত হওয়া মহাব্যবস্থাপক মীর মহিদুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক শেখ আলতাফ হোসেন ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. সফিজউদ্দিন আহম্মেদকে গত রবিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার সকালে পৃথক দুটি মামলায় তাঁদের ছয় দিন করে ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দুদক কার্যালয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক ও মামলার বাদী মীর জয়নুল আবেদিন শিবলী গতকাল
কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজউদ্দিন আহম্মেদ ছিলেন হেড অফিসে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফাইন্যান্স ডিভিশনের (আইটিএফডি) প্রধান। শাখাগুলো থেকে প্রতিনিয়ত এলসি (ঋণপত্র) ও আইবিপি (ইনল্যান্ড পার্সেজ বিল) সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত হেড অফিসে এ ডিভিশনে পাঠানো হতো। সেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাঁরা ধামাচাপা দিতেন। আর বিনিময়ে হলমার্কের এমডি তানভীরের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিতেন।'
জিএম মীর মহিদুর রহমান সম্পর্কে শিবলী বলেন, 'মীর মহিদুর সোনালী ব্যাংকের ঢাকার জিএম অফিসের প্রধান ছিলেন। তিনি যদি নির্ধারিত সময়ে সঠিকভাবে বিষয়গুলো তদারক করতেন, তাহলে সোনালী ব্যাংকে এত বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটত না।' এ তিনজনের মাসোয়ারার বিষয়টি হলমার্কের এমডি তানভীর মাহমুদ আদালতে দেওয়া তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও উল্লেখ করেছেন বলে তিনি জানান।
আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান, গতকাল সকালে এ তিনজনকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে তুলে দুটি মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান দুদক কর্মকর্তারা। ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিকেল ৩টায় দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
দুদকের উপপরিচালক শিবলী আরো বলেন, 'মামলাগুলোর তদন্ত প্রায় শেষের দিকে। এ তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও দুদকের ডাকে তাঁরা সাড়া দেননি। তাঁরা পলাতক ছিলেন। আমরা নিজস্ব কৌশল অবলম্বন করে তাঁদের গ্রেপ্তার করি। দুটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি ৯টি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, হলমার্ক-সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত ৪ অক্টোবর হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ ও সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও ডিজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) এ কে এম আজিজুর রহমানকে আসামি করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর মধ্যে সাতজন হচ্ছেন হলমার্কের এবং ২০ জন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা। তাঁদের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি তানভীর ও তুষার মিরপুর থেকে ৭ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন। ১৪ অক্টোবর রমনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন আজিজুর রহমান এবং ১৮ নভেম্বর মানিকগঞ্জ থেকে তানভীরের স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম গ্রেপ্তার হন। এ চারজন রিমান্ড শেষে এখন কারাগারে রয়েছেন। তানভীর, তুষার ও আজিজ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
No comments