কেরানীগঞ্জে অজিত হত্যা মামলা-পাঁচজনের ফাঁসি
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বহুল আলোচিত অজিত করাতি হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম সাজেদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো মনোরঞ্জন, সালাউদ্দিন, গোপাল করাতি, উমেশ করাতি ও পরান করাতি। রায়ে শহীদুল ইসলাম মুন্না ও রাধাকান্ত নামে অন্য দুজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ে বেকসুর খালাস দেওয়া হয় আকলি করাতি, মন্টু, পলাশ, লিটন, নরেশ, পরেশ, প্রসেঞ্জিৎ, সালাম, শুকচান, বিশ্বজিৎ সরকার, আবু করাতি, প্রশান্ত ও দিনেশ করাতিকে। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে উমেশ করাতি পলাতক। অন্য আসামিরা জামিনে ছিল। গত ২ ডিসেম্বর জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। রায় ঘোষণা উপলক্ষে কারাগারে থাকা সব আসামিকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহবুবুর রহমান জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা ৩০ দিনের মধ্য হাইকোর্টে আপিল করতে পারবে।
গত ২৪ নভেম্বর কালের কণ্ঠ 'সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি জনপদ কেরানীগঞ্জ : জমি থাকলেই জান নিয়ে টানাটানি' শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপে। এতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে জানানো হয়, অভিযুক্তরা মামলার বাদী পক্ষকে নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে।
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল প্রতিপক্ষের হামলায় কেরানীগঞ্জের আতাসুর গ্রামে নিজ বাড়িতে খুন হন অজিত করাতি (৫৬)। খুনিরা দিনে-দুপুরে অজিতের বাড়িতে ঢুকে বেধড়ক পিটিয়ে চাপাতি ও ছোরা দিয়ে কুপিয়ে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন নিহতের দুই ভাই মধু করাতি ও সুমন করাতি। পুলিশ ২০১০ সালের ৩০ জুন এ মামলায় ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ট্রাইব্যুনাল ২৩ জনের মধ্যে ১৯ জনের বিরুদ্ধে গত ১৮ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করেন।
নিহতের আইনজীবী শাহনাজ আক্তার জানান, ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ ছাড়া আদালত পাঁচজন আসামির সাফাই সাক্ষ্যও গ্রহণ করেন।
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ ও কুতুব উদ্দিন চৌধুরী মামলা পরিচালনা করেন।
রায়ে বেকসুর খালাস দেওয়া হয় আকলি করাতি, মন্টু, পলাশ, লিটন, নরেশ, পরেশ, প্রসেঞ্জিৎ, সালাম, শুকচান, বিশ্বজিৎ সরকার, আবু করাতি, প্রশান্ত ও দিনেশ করাতিকে। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে উমেশ করাতি পলাতক। অন্য আসামিরা জামিনে ছিল। গত ২ ডিসেম্বর জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। রায় ঘোষণা উপলক্ষে কারাগারে থাকা সব আসামিকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহবুবুর রহমান জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা ৩০ দিনের মধ্য হাইকোর্টে আপিল করতে পারবে।
গত ২৪ নভেম্বর কালের কণ্ঠ 'সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি জনপদ কেরানীগঞ্জ : জমি থাকলেই জান নিয়ে টানাটানি' শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপে। এতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে জানানো হয়, অভিযুক্তরা মামলার বাদী পক্ষকে নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে।
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল প্রতিপক্ষের হামলায় কেরানীগঞ্জের আতাসুর গ্রামে নিজ বাড়িতে খুন হন অজিত করাতি (৫৬)। খুনিরা দিনে-দুপুরে অজিতের বাড়িতে ঢুকে বেধড়ক পিটিয়ে চাপাতি ও ছোরা দিয়ে কুপিয়ে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন নিহতের দুই ভাই মধু করাতি ও সুমন করাতি। পুলিশ ২০১০ সালের ৩০ জুন এ মামলায় ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ট্রাইব্যুনাল ২৩ জনের মধ্যে ১৯ জনের বিরুদ্ধে গত ১৮ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করেন।
নিহতের আইনজীবী শাহনাজ আক্তার জানান, ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ ছাড়া আদালত পাঁচজন আসামির সাফাই সাক্ষ্যও গ্রহণ করেন।
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ ও কুতুব উদ্দিন চৌধুরী মামলা পরিচালনা করেন।
No comments