গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলা- পুনর্বিচারের আবেদনের শুনানি শুরু
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি পুনর্বিচারের আবেদনের শুনানি শুরু করেছে আসামিপক্ষ। শুনানিতে তারা দাবি করেছে, এই মামলায় বিচারপতি নিজামুল হক অভিযোগ গঠনসহ যেসব আদেশ দিয়েছেন, তা বিদেশ থেকে পাঠানো হয়েছে।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল সোমবার এ আবেদনের শুনানি শুরু হয়। এ সময় গোলাম আযম ও জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আসামির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। ২৬ ডিসেম্বর (বুধবার) শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে গোলাম আযম, জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা তিনটি পুনর্বিচারে আসামিপক্ষের আবেদন খারিজ চেয়ে গতকাল আবেদন জমা দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
শুরুতে ট্রাইব্যুনাল বলেন, এই ট্রাইব্যুনালের পদত্যাগী চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক সুপ্রিম কোর্টের একজন সম্মানিত বিচারপতি। তাঁর সম্বন্ধে যেন অমর্যাদাকর কথা না বলা হয়।
পরে শুনানিতে আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক বলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের গত ৯ জানুয়ারির আদেশ ও ১৩ মে অভিযোগ গঠনের আদেশ প্রত্যাহার (রিকল) চান তাঁরা। কারণ, বিচারপতি নিজামুল হক অভিযোগ গঠনসহ যেসব আদেশ দিয়েছেন, তা তাঁর নিজের নয়। বেলজিয়াম থেকে তা তৈরি করে পাঠিয়েছেন আহমেদ জিয়াউদ্দিন।
আবদুর রাজ্জাক তাঁর বক্তব্যের পক্ষে পুনর্বিচারের আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত নথিপত্রের উল্লেখ করে বলেন, মামলায় সাক্ষী কারা হবে, কোন সাক্ষীকে দিয়ে কতটুকু বলাতে হবে—তা নিয়েও বিচারপতি নিজামুল হক ও আহমেদ জিয়াউদ্দিন আলোচনা করেছেন। ১২ মে আহমেদ জিয়াউদ্দিন অভিযোগ গঠনের বিষয়ে যে ই-মেইল পাঠান, সেটি হুবহু নকল করে বিচারপতি নিজামুল হক পরদিন অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
মধ্যাহ্নবিরতির পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ট্রাইব্যুনালে বলেন, বাইরে গণমাধ্যমের সামনে আসামিপক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সবকিছু বেলজিয়াম থেকে এসেছে। এটা ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ হয়ে যাচ্ছে।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাইরে যাঁরা বলছেন, ১৬ ডিসেম্বর রায় দেওয়া হবে, তাঁরা ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ করছেন। মাহবুবে আলম বলেন, চুরির জিনিস দিয়ে গলা বড় করা যায় না। হ্যাকিং একধরনের চুরি। আবদুর রাজ্জাক বলেন, চোরকে আগে ধরেন।
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। গণমাধ্যমে এমন কোনো কথা বলা উচিত নয়, যাতে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়।
বিকেল চারটার দিকে এ আবেদনের আইনি বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২৬ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ সাকা চৌধুরীর: আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী। তাঁর আইনজীবী ফখরুল ইসলাম জানান, গতকাল সকালে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে এ-সংক্রান্ত আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, স্কাইপে আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে বিচারপতি নিজামুল হকের কথোপকথনে এটা স্পষ্ট, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সঙ্গে বিচারপতি নিজামুল হকের নিয়মিত বৈঠক হতো। আইনমন্ত্রীর অধীনে থেকে আইন প্রতিমন্ত্রী এ কাজ করায় বিচারকাজ প্রভাবিত ও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এদিকে গোলাম আযম, জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা তিনটি পুনর্বিচারে আসামিপক্ষের আবেদন খারিজ চেয়ে গতকাল আবেদন জমা দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
শুরুতে ট্রাইব্যুনাল বলেন, এই ট্রাইব্যুনালের পদত্যাগী চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক সুপ্রিম কোর্টের একজন সম্মানিত বিচারপতি। তাঁর সম্বন্ধে যেন অমর্যাদাকর কথা না বলা হয়।
পরে শুনানিতে আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক বলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের গত ৯ জানুয়ারির আদেশ ও ১৩ মে অভিযোগ গঠনের আদেশ প্রত্যাহার (রিকল) চান তাঁরা। কারণ, বিচারপতি নিজামুল হক অভিযোগ গঠনসহ যেসব আদেশ দিয়েছেন, তা তাঁর নিজের নয়। বেলজিয়াম থেকে তা তৈরি করে পাঠিয়েছেন আহমেদ জিয়াউদ্দিন।
আবদুর রাজ্জাক তাঁর বক্তব্যের পক্ষে পুনর্বিচারের আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত নথিপত্রের উল্লেখ করে বলেন, মামলায় সাক্ষী কারা হবে, কোন সাক্ষীকে দিয়ে কতটুকু বলাতে হবে—তা নিয়েও বিচারপতি নিজামুল হক ও আহমেদ জিয়াউদ্দিন আলোচনা করেছেন। ১২ মে আহমেদ জিয়াউদ্দিন অভিযোগ গঠনের বিষয়ে যে ই-মেইল পাঠান, সেটি হুবহু নকল করে বিচারপতি নিজামুল হক পরদিন অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
মধ্যাহ্নবিরতির পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ট্রাইব্যুনালে বলেন, বাইরে গণমাধ্যমের সামনে আসামিপক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সবকিছু বেলজিয়াম থেকে এসেছে। এটা ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ হয়ে যাচ্ছে।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাইরে যাঁরা বলছেন, ১৬ ডিসেম্বর রায় দেওয়া হবে, তাঁরা ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ করছেন। মাহবুবে আলম বলেন, চুরির জিনিস দিয়ে গলা বড় করা যায় না। হ্যাকিং একধরনের চুরি। আবদুর রাজ্জাক বলেন, চোরকে আগে ধরেন।
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। গণমাধ্যমে এমন কোনো কথা বলা উচিত নয়, যাতে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়।
বিকেল চারটার দিকে এ আবেদনের আইনি বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২৬ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ সাকা চৌধুরীর: আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী। তাঁর আইনজীবী ফখরুল ইসলাম জানান, গতকাল সকালে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে এ-সংক্রান্ত আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, স্কাইপে আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে বিচারপতি নিজামুল হকের কথোপকথনে এটা স্পষ্ট, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সঙ্গে বিচারপতি নিজামুল হকের নিয়মিত বৈঠক হতো। আইনমন্ত্রীর অধীনে থেকে আইন প্রতিমন্ত্রী এ কাজ করায় বিচারকাজ প্রভাবিত ও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
No comments