পরামর্শকের জন্য হাতির ব্যয়-দায়িত্ব নিজেদেরও নিতে হবে
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে নির্ভর করতে হয় বিদেশি সাহায্যের ওপর। পরনির্ভরশীল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে সব সময় কিছু না কিছু শর্ত মেনে নিতেই হয়। আর সেই শর্তের বেড়াজালে পড়ে অনেক সময় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বেশির ভাগ টাকা চলে যায় দাতাদেরই পকেটে।
এতে ব্যাপারটা দাঁড়ায় শ্বেতহস্তী পোষার মতোই। সে তথ্যই বেরিয়ে এসেছে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা নিজেদের পকেটে তোলার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে পরামর্শক নিয়োগ। নিজেদের পছন্দমাফিক পরামর্শক নিয়োগের শর্ত মেনেই বিদেশ থেকে অনুদান কিংবা সাহায্যের নামে ঋণ আসে। সেই টাকায় আমাদের অভ্যন্তর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এটাও সত্য, অনেক ক্ষেত্রেই দাতা সংস্থার চাপিয়ে দেওয়া পরামর্শকদের সম্মানী ও অন্যান্য ভাতা তাদের পরামর্শেই নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে গ্রহীতা দেশের কিছু বলার থাকে না। আবার গ্রহীতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অনেক ক্ষেত্রে কিছু না বলার সুযোগও যে দাতারা নেয় না, তা নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দাতাদের চাপিয়ে দেওয়া দুর্বল পরামর্শকের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প। অনেক প্রকল্পের বাস্তবায়িত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু দাতাদের নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট পরামর্শকের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যায়নি। অনুদানের ক্ষেত্রে দাতারা নিজেদের মতো করে পরামর্শক নিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করে নিজেদের পছন্দের পরামর্শক নিয়োগ করে থাকে। উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়োগ করা বেশির ভাগ বিদেশি পরামর্শকের মান নিয়ে প্রশ্ন না উঠলেও অনেক পরামর্শকের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট অবকাশ থেকেই যায়। পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা এই পরামর্শক নিয়োগ নিয়েই। আবার এসব পরামর্শকের বাইরে দেশের কর্মকর্তারা অনেক সময় অভিজ্ঞতা অর্জনসহ নানা অজুহাতে বিদেশ ভ্রমণের ফলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে- এমন অভিযোগও আছে।
বাংলাদেশের অনেক পরামর্শক এখন সুনামের সঙ্গে দেশের বাইরে কাজ করছেন। দেশের কাজে এই পরামর্শকদের ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিদেশি সাহায্যনির্ভর প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত অনেক সময় মেনে না নিয়ে উপায় থাকে না। কিন্তু যেখানে দাতাগোষ্ঠীর চাপাচাপি নেই বা যেসব প্রকল্পে দাতারা পরামর্শক নিয়োগে বাধ্যবাধকতা রাখেনি, সেসব প্রকল্পের ক্ষেত্রে নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে। তাতে প্রকল্প ব্যয় যেমন কমবে, তেমনি নিজেদের অভিজ্ঞতা দেশের কাজে লাগানো যাবে। আমরা আশা করব, পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ গ্রহণ করবে বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপারে যথাযথ ভূমিকা রাখবে।
উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা নিজেদের পকেটে তোলার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে পরামর্শক নিয়োগ। নিজেদের পছন্দমাফিক পরামর্শক নিয়োগের শর্ত মেনেই বিদেশ থেকে অনুদান কিংবা সাহায্যের নামে ঋণ আসে। সেই টাকায় আমাদের অভ্যন্তর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এটাও সত্য, অনেক ক্ষেত্রেই দাতা সংস্থার চাপিয়ে দেওয়া পরামর্শকদের সম্মানী ও অন্যান্য ভাতা তাদের পরামর্শেই নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে গ্রহীতা দেশের কিছু বলার থাকে না। আবার গ্রহীতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অনেক ক্ষেত্রে কিছু না বলার সুযোগও যে দাতারা নেয় না, তা নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দাতাদের চাপিয়ে দেওয়া দুর্বল পরামর্শকের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প। অনেক প্রকল্পের বাস্তবায়িত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু দাতাদের নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট পরামর্শকের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যায়নি। অনুদানের ক্ষেত্রে দাতারা নিজেদের মতো করে পরামর্শক নিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করে নিজেদের পছন্দের পরামর্শক নিয়োগ করে থাকে। উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়োগ করা বেশির ভাগ বিদেশি পরামর্শকের মান নিয়ে প্রশ্ন না উঠলেও অনেক পরামর্শকের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট অবকাশ থেকেই যায়। পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা এই পরামর্শক নিয়োগ নিয়েই। আবার এসব পরামর্শকের বাইরে দেশের কর্মকর্তারা অনেক সময় অভিজ্ঞতা অর্জনসহ নানা অজুহাতে বিদেশ ভ্রমণের ফলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে- এমন অভিযোগও আছে।
বাংলাদেশের অনেক পরামর্শক এখন সুনামের সঙ্গে দেশের বাইরে কাজ করছেন। দেশের কাজে এই পরামর্শকদের ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিদেশি সাহায্যনির্ভর প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত অনেক সময় মেনে না নিয়ে উপায় থাকে না। কিন্তু যেখানে দাতাগোষ্ঠীর চাপাচাপি নেই বা যেসব প্রকল্পে দাতারা পরামর্শক নিয়োগে বাধ্যবাধকতা রাখেনি, সেসব প্রকল্পের ক্ষেত্রে নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে। তাতে প্রকল্প ব্যয় যেমন কমবে, তেমনি নিজেদের অভিজ্ঞতা দেশের কাজে লাগানো যাবে। আমরা আশা করব, পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ গ্রহণ করবে বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপারে যথাযথ ভূমিকা রাখবে।
No comments