ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি- পাস নম্বর পাচ্ছেন না জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা by আহমেদ জায়িফ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নম্বর পাচ্ছেন না। অনেক ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক নম্বরের বেঁধে দেওয়া শর্ত পূরণ করতেও ব্যর্থ হচ্ছেন তাঁরা। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষাতেই এঁরা জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নির্দেশিকা থেকে জানা যায়, বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’, কলা অনুষদের অধীনে ‘খ’ এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ‘গ’ ইউনিটে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের ১২০ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৮ নম্বর পেতে হয়। এর মধ্যে ‘খ’ ইউনিটে ইংরেজি ও বাংলায় কমপক্ষে ৮ এবং সাধারণ জ্ঞানে ১৭ নম্বর পাওয়ার শর্ত রয়েছে। আর ‘গ’ ইউনিটে ইংরেজিতে কমপক্ষে ১২ নম্বর পেতে হবে। ‘ঘ’ ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে পৃথকভাবে কমপক্ষে ৮ নম্বর করে পেতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যালয় থেকে জানা যায়, এ বছর স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষে ক, খ ও গ ইউনিটে জিপিএ-৫ পাওয়া ৪৪ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৯ হাজার ৮৬৮ জন বা প্রায় ৪৫ শতাংশ। বাকি ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই অনুত্তীর্ণের হার ছিল যথাক্রমে ৫২ ও ৫৩ শতাংশ।
এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৯০ জনের মধ্যে এক হাজার ৫৪৭ জন বা ১০ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছেন। বাকি ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত নম্বর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল যোগ করে মেধা তালিকা তৈরি করা হয়। পরে ইউনিটভিত্তিক আসনসংখ্যা অনুযায়ী তাঁদের মধ্য থেকে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পান। তবে আসনসংখ্যা সীমিত হওয়ায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন না।
ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারছেন না কেন, তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা কিংবা সুপারিশ রয়েছে কি না, জানতে কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁরা এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে এসে পাসের ন্যূনতম নম্বর পাবেন না, এটা হয় না। তিনি আরও বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য একজন শিক্ষক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথার্থভাবে খাতা মূল্যায়ন করতে পারেন কি না, তা ভাবা দরকার। আবার ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়ার মধ্যেও গলদ থাকতে পারে।
বিজ্ঞান অনুষদে অনুত্তীর্ণ ৫১ শতাংশ : চলতি বছর বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটে ৬২ হাজার ১২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ৩০ হাজার ৯১৪ জন শিক্ষার্থী ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পাওয়া। এঁদের মধ্যে পাস করেছেন ১৫ হাজার ১২৭ জন। বাকি ৫১ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই হার ছিল যথাক্রমে ৩৫ ও ৪২ শতাংশ। এ ছাড়া, এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া সাত হাজার ১০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে দুই হাজার ২২৭ জনই উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
৭৫ শতাংশ অনুত্তীর্ণ ‘খ’ ইউনিটে: কলা অনুষদের অধীনে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হননি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই হার ছিল যথাক্রমে ৬৮ ও ৫৬ শতাংশ।
এ বছর ‘খ’ ইউনিটের দুই হাজার ২৭৫টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৩৮ হাজার ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া পাঁচ হাজার ৯০১ জনের মধ্যে এক হাজার ৪৫৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, জিপিএ-৫ পাওয়া অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৮ পেয়েও বিষয়ভিত্তিক ন্যূনতম নম্বর পাননি ১৭১ জন। এর মধ্যে বাংলা ও ইংরেজিতে ৮ নম্বরের কম পেয়েছেন যথাক্রমে ৯০ ও ৭১ জন। সাধারণ জ্ঞানে ১৭-এর কম পেয়েছেন ১০ জন।
এ ছাড়া, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া ৬৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন মাত্র ২১০ জন।
তুলনামূলক ভালো ‘গ’ ইউনিটে: ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৮ শতাংশ উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ২০১১ সালে এই হার ছিল ৭৭ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ৭৮ শতাংশ।
এ বছর ‘গ’ ইউনিটে এক হাজার ৭৫টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ৪১ হাজার ৪৮১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী সাত হাজার ৮২৭ জন; পাস করেছেন তিন হাজার ২৮৭ জন। অনুত্তীর্ণদের মধ্যে দুই হাজার ২৬১ জন মোট ৪৮ পেয়েও ইংরেজিতে ১২ নম্বরের কম পেয়েছেন।
৯০ শতাংশ অকৃতকার্য ‘ঘ’ ইউনিটে: বিভাগ পরিবর্তনকারী এই ইউনিটে ক, খ ও গ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষা দেন। এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ৯০ শতাংশ পাস করতে পারেননি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই হার ছিল যথাক্রমে ৫২ ও ৬২ শতাংশ।
এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটে এক হাজার ২৬২ আসনের বিপরীতে ৫৯ হাজার ৮৭৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া ১৫ হাজার ৯০ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র এক হাজার ৫৪৭ জন।
এ ছাড়া এই ইউনিটে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া এক হাজার ৫৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ২৭৪ জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, বোর্ডের সিলেবাসের ভিত্তিতেই মূলত প্রশ্ন করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতাও যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভর্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলই যে চূড়ান্ত নিক্তি নয়, এই চিত্র তাই প্রমাণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যালয় থেকে জানা যায়, এ বছর স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষে ক, খ ও গ ইউনিটে জিপিএ-৫ পাওয়া ৪৪ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৯ হাজার ৮৬৮ জন বা প্রায় ৪৫ শতাংশ। বাকি ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই অনুত্তীর্ণের হার ছিল যথাক্রমে ৫২ ও ৫৩ শতাংশ।
এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৯০ জনের মধ্যে এক হাজার ৫৪৭ জন বা ১০ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছেন। বাকি ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত নম্বর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল যোগ করে মেধা তালিকা তৈরি করা হয়। পরে ইউনিটভিত্তিক আসনসংখ্যা অনুযায়ী তাঁদের মধ্য থেকে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পান। তবে আসনসংখ্যা সীমিত হওয়ায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন না।
ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারছেন না কেন, তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা কিংবা সুপারিশ রয়েছে কি না, জানতে কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁরা এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে এসে পাসের ন্যূনতম নম্বর পাবেন না, এটা হয় না। তিনি আরও বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য একজন শিক্ষক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথার্থভাবে খাতা মূল্যায়ন করতে পারেন কি না, তা ভাবা দরকার। আবার ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়ার মধ্যেও গলদ থাকতে পারে।
বিজ্ঞান অনুষদে অনুত্তীর্ণ ৫১ শতাংশ : চলতি বছর বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটে ৬২ হাজার ১২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ৩০ হাজার ৯১৪ জন শিক্ষার্থী ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পাওয়া। এঁদের মধ্যে পাস করেছেন ১৫ হাজার ১২৭ জন। বাকি ৫১ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই হার ছিল যথাক্রমে ৩৫ ও ৪২ শতাংশ। এ ছাড়া, এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া সাত হাজার ১০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে দুই হাজার ২২৭ জনই উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
৭৫ শতাংশ অনুত্তীর্ণ ‘খ’ ইউনিটে: কলা অনুষদের অধীনে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হননি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই হার ছিল যথাক্রমে ৬৮ ও ৫৬ শতাংশ।
এ বছর ‘খ’ ইউনিটের দুই হাজার ২৭৫টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৩৮ হাজার ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া পাঁচ হাজার ৯০১ জনের মধ্যে এক হাজার ৪৫৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, জিপিএ-৫ পাওয়া অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৮ পেয়েও বিষয়ভিত্তিক ন্যূনতম নম্বর পাননি ১৭১ জন। এর মধ্যে বাংলা ও ইংরেজিতে ৮ নম্বরের কম পেয়েছেন যথাক্রমে ৯০ ও ৭১ জন। সাধারণ জ্ঞানে ১৭-এর কম পেয়েছেন ১০ জন।
এ ছাড়া, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া ৬৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন মাত্র ২১০ জন।
তুলনামূলক ভালো ‘গ’ ইউনিটে: ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৮ শতাংশ উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ২০১১ সালে এই হার ছিল ৭৭ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ৭৮ শতাংশ।
এ বছর ‘গ’ ইউনিটে এক হাজার ৭৫টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ৪১ হাজার ৪৮১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী সাত হাজার ৮২৭ জন; পাস করেছেন তিন হাজার ২৮৭ জন। অনুত্তীর্ণদের মধ্যে দুই হাজার ২৬১ জন মোট ৪৮ পেয়েও ইংরেজিতে ১২ নম্বরের কম পেয়েছেন।
৯০ শতাংশ অকৃতকার্য ‘ঘ’ ইউনিটে: বিভাগ পরিবর্তনকারী এই ইউনিটে ক, খ ও গ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষা দেন। এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ৯০ শতাংশ পাস করতে পারেননি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই হার ছিল যথাক্রমে ৫২ ও ৬২ শতাংশ।
এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটে এক হাজার ২৬২ আসনের বিপরীতে ৫৯ হাজার ৮৭৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া ১৫ হাজার ৯০ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র এক হাজার ৫৪৭ জন।
এ ছাড়া এই ইউনিটে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া এক হাজার ৫৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ২৭৪ জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, বোর্ডের সিলেবাসের ভিত্তিতেই মূলত প্রশ্ন করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতাও যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভর্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলই যে চূড়ান্ত নিক্তি নয়, এই চিত্র তাই প্রমাণ করে।
No comments