ম্যান্ডেলাকে ধরিয়ে দিয়েছিল সিআইএ!-কারা ম্যান্ডেলার খবর পুলিশকে দিয়েছিল তা নিয়ে ৫০ বছরেও ধোঁয়াশা কাটেনি
১৯৬২ সালের ৫ আগস্ট। দক্ষিণ আফ্রিকায় তখন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। ঢালু রাস্তা ধরে হাউয়িক শহরের দিকে আগাতে থাকে পুলিশবোঝাই ভি-এইট মডেলের একটি ফোর্ড গাড়ি। গাড়িটি আরেকটি প্রাইভেট গাড়িকে থামায়। এই গাড়ির চালকের আসনে বসা দীর্ঘদেহী এক কালো যুবক।
পুলিশ ওই যুবককে তুলে নেয়। যুবকের নাম নেলসন ম্যান্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদী নেতা, যাঁর দীর্ঘ ২৭ বছরের কারাজীবনের শুরু ওই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে।
ওই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় আন্দোলনের নেতা, শ্বেতাঙ্গ সরকারের 'মোস্ট ওয়ানটেড' ম্যান্ডেলার খবরাখবর কিভাবে পুলিশের কাছে পৌঁছাল, তা নিয়ে নিয়ে আজও দেশটিতে নানা বিতর্ক আছে। তবে বেশির ভাগেরই বিশ্বাস পুলিশের একার পক্ষে ম্যান্ডেলার খবর রাখা সহজ ছিল না। তাদের খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের এক কর্মী সম্প্রতি সরাসরিই বললেন, আসলেই ওই গ্রেপ্তারের পেছনে সিআইয়ের হাত ছিল। ডেনিস গোল্ডবার্গ নামের ওই কর্মীর বরাত দিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল পত্রিকা এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
৯৪ বছর বয়সী ম্যান্ডেলা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সরকারের মুখপাত্র ম্যাক মহারাজ জানান, ম্যান্ডেলা শিগগিরই ছাড়া পাবেন কি না, সে ব্যাপারে তাঁরা এখনো নিশ্চিত নন। তিনি বলেন, তাঁর শরীরের এ অবস্থায় চিকিৎসকরা আগাম কিছু বলছেন না। তাঁর জীবন-মরণের এই সন্ধিক্ষণে সেই প্রশ্নটি আবারও উঠে এলো_আসলেই তাঁর গ্রেপ্তারের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত কি না।
ডেনিস গোল্ডবার্গের দাবি, ম্যান্ডেলা কোথায় আছেন_সে খবর দক্ষিণ আফ্রিকার নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ফাঁস করে দেন সিআইএর কর্মকর্তারা। ওই সময়ের আন্তর্জাতিক রাজনীতির দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তারা প্রত্যেকে প্রত্যেককে চিনত, একসঙ্গে মিলে মদ্যপান করত।'
এর আগেও সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়, ম্যান্ডেলার গ্রেপ্তারের সঙ্গে সিআইএ জড়িত ছিল। ম্যান্ডেলাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ওই সময়ে মার্কিন কূটনীতিক ডোনাল্ড রিকার্ডকে গর্ব করতেও দেখা গেছে। ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল রিকার্ডের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে ডেনিসের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। আর সিআইএ ব্যাপারটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।
গ্রেপ্তারের দিন ম্যান্ডেলা ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন এক কম্পানির মালিকের ব্যক্তিগত গাড়ির চালকের। মালিককে জোহানেসবার্গে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তিনি।
তবে ম্যান্ডেলা তাঁর আত্মজীবনী 'লং ওয়াক টু ফ্রিডম'-এ নিজের গ্রেপ্তারের জন্য কাউকে সরাসরি দায়ী করেননি। বরং বলেছেন, নিজের ভুলের কারণেই তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন, 'ওই গ্রেপ্তারের জন্য আমি কাউকে দায়ী করতে পারি না। তবে ঘটনাটি বিস্ময়কর ছিল। অন্তত এত তাড়াতাড়ি আমার গ্রেপ্তার হওয়ার কথা ছিল না।'
ওই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় আন্দোলনের নেতা, শ্বেতাঙ্গ সরকারের 'মোস্ট ওয়ানটেড' ম্যান্ডেলার খবরাখবর কিভাবে পুলিশের কাছে পৌঁছাল, তা নিয়ে নিয়ে আজও দেশটিতে নানা বিতর্ক আছে। তবে বেশির ভাগেরই বিশ্বাস পুলিশের একার পক্ষে ম্যান্ডেলার খবর রাখা সহজ ছিল না। তাদের খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের এক কর্মী সম্প্রতি সরাসরিই বললেন, আসলেই ওই গ্রেপ্তারের পেছনে সিআইয়ের হাত ছিল। ডেনিস গোল্ডবার্গ নামের ওই কর্মীর বরাত দিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল পত্রিকা এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
৯৪ বছর বয়সী ম্যান্ডেলা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সরকারের মুখপাত্র ম্যাক মহারাজ জানান, ম্যান্ডেলা শিগগিরই ছাড়া পাবেন কি না, সে ব্যাপারে তাঁরা এখনো নিশ্চিত নন। তিনি বলেন, তাঁর শরীরের এ অবস্থায় চিকিৎসকরা আগাম কিছু বলছেন না। তাঁর জীবন-মরণের এই সন্ধিক্ষণে সেই প্রশ্নটি আবারও উঠে এলো_আসলেই তাঁর গ্রেপ্তারের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত কি না।
ডেনিস গোল্ডবার্গের দাবি, ম্যান্ডেলা কোথায় আছেন_সে খবর দক্ষিণ আফ্রিকার নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ফাঁস করে দেন সিআইএর কর্মকর্তারা। ওই সময়ের আন্তর্জাতিক রাজনীতির দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তারা প্রত্যেকে প্রত্যেককে চিনত, একসঙ্গে মিলে মদ্যপান করত।'
এর আগেও সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়, ম্যান্ডেলার গ্রেপ্তারের সঙ্গে সিআইএ জড়িত ছিল। ম্যান্ডেলাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ওই সময়ে মার্কিন কূটনীতিক ডোনাল্ড রিকার্ডকে গর্ব করতেও দেখা গেছে। ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল রিকার্ডের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে ডেনিসের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। আর সিআইএ ব্যাপারটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।
গ্রেপ্তারের দিন ম্যান্ডেলা ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন এক কম্পানির মালিকের ব্যক্তিগত গাড়ির চালকের। মালিককে জোহানেসবার্গে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তিনি।
তবে ম্যান্ডেলা তাঁর আত্মজীবনী 'লং ওয়াক টু ফ্রিডম'-এ নিজের গ্রেপ্তারের জন্য কাউকে সরাসরি দায়ী করেননি। বরং বলেছেন, নিজের ভুলের কারণেই তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন, 'ওই গ্রেপ্তারের জন্য আমি কাউকে দায়ী করতে পারি না। তবে ঘটনাটি বিস্ময়কর ছিল। অন্তত এত তাড়াতাড়ি আমার গ্রেপ্তার হওয়ার কথা ছিল না।'
No comments