জুকারবার্গের বদান্যতা
মার্ক জুকারবার্গ। এক অতিপরিচিত মুখ। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী। সম্প্রতি তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠানের বড় একটি লভ্যাংশ জনহিতকর কাজে দান করার ঘোষণা দিলেন।
খ্যাতি যেন জুকারবার্গের পিছু ছাড়ছে না। সর্বশেষ ফোর্বস প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর ৭১ ব্যক্তির তালিকায় ২৫তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা। ফোর্বসের দৃষ্টিতে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ৩৫তম এবং যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ১৬তম স্থানে রয়েছেন তিনি।বদান্যতা অবশ্যই খ্যাতির জন্য নয়। শুরু থেকেই তিনি যুক্ত জনকল্যাণকর কাজে। ধনী ব্যক্তিদের দানে উৎসাহী করে তুলতেও কাজ করেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা। যুক্ত রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে।
সম্প্রতি তিনি স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতিমূলক খাতে ব্যয়ের জন্য সিলিকন ভ্যালি কমিউনিটি ফাউন্ডেশন নামক একটি কল্যাণমূলক এনজিওতে ওই বিশাল অঙ্কের অর্থ দান করলেন। এ যাবত এটাই তাঁর সবচেয়ে বড় অর্থদান। এর আগে ২০১০ সালেও তিনি নিউজার্সির নিওয়ার্কের স্কুলগুলোর উন্নতিকল্পে ১০০ মিলিয়ন ডলার দান করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের যে ক’জন দানবীর রয়েছেন তাদের তালিকায় ঠাঁই করে নিলেন। এই তালিকায় রয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সম্পদশালী মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফেট।
জুকারবার্গ যুক্ত আছেন বিল গেসট প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবামূলক সংস্থা গিভিং প্লেজ ও ওয়ারেন বাফেটের স্বেচ্ছসেবামূলক সংস্থা বের্কসায়ার হ্যাথাওয়ের সঙ্গে। এই সংস্থা দুটি মূলত দেশটির শীর্ষ ধনীদের সম্পদ জনহিতকর কাজে দান করার ক্ষেত্রে উৎসাহ যোগাতে কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রে জুকারবার্গের সঙ্গী হয়েছেন তাঁর জীবনসঙ্গিনী চ্যানও।
জুকারবার্গ জানান, ‘২০১০ সালে আমি ও চ্যান গিভিং প্লেজের সঙ্গে যুক্ত হই। তখনই আমরা পরিকল্পনা করি, আমাদের আয়ের অধিকাংশ অর্থই জনহিতকর কাজে দান করে দেব।’ মূলত এরই ধারাবাহিকতায় এই বিপুল অঙ্কের অর্থ স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতিকল্পে দান করলেন।
ডিপ্রজন্ম ডেস্ক
No comments