স্বাদে অনন্য, গ্রামের অনেকে স্বাবলম্বী বড়ি বানিয়ে- রূপগঞ্জের ডালের বড়ি, যাচ্ছে বিদেশেও by মীর আব্দুল আলীম
ডালের বড়ি। নাম শুনলেই জিভে জল আসে। শীতের সকালে ভাতের সঙ্গে কেবল ডালের বড়ি থাকলেই অনেকে পেটপুরে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন। কবি আবু জাফর তার একটি বিখ্যাত কবিতায় ছেলে ফেরার অপেক্ষায় এক ব্যাকুল মা তাঁর জন্য ডালের বড়ি শুকিয়ে রাখেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
সেই প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালিদের জন্য একটি সুস্বাদু খাবার ডালের বড়ি। রাজা বাদশাদেরও বেশ প্রিয় ছিল এই ডালবড়ি। ভাজা পুঁটি মাছ কিংবা কৈ মাছের সঙ্গে ডালের বড়ির তরকারির কার না পছন্দ। শীতেই ডালবড়ির চাহিদা বেশি থাকে । তবে বছরজুড়েই রয়েছে এর চাহিদা। এ সময় গাঁওগেরামের হাটবাজারে মাষডালের তৈরি এ বড়ির চাহিদা বেশি ছিল। শহরেও এখন তা বেশ জনপ্রিয়। শহরের দামি শপিংমল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে এখন ডালবড়ি শোভা পায়। কেবল দেশে নয় এই বড়ির চাহিদা এখন বিদেশেও। লন্ডন, কানাডা, ইতালি, সৌদি আরবসহ বহু দেশে এখন বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জের তৈরি ডালবড়ি পাওয়া যাচ্ছে। দেশেবিদেশে ব্যাপক চাহিদা আছে বলেই এই বড়ি বানিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী, টানমুশরী ও কাঞ্চন এলাকার মানুষ। প্রায় এক হাজার নারী-পুরুষ এই বড়ি তৈরি ও বিক্রি করে জীবিকা চালাচ্ছেন। ডালের বড়ি এখন তাদের জীবিকার নড়ি। ডালের বড়ির ব্যবসায় যিনি পথিক হিসেবে অন্যদের পথ দেখিয়েছেন, তিনি বজ্রবালা (৬০)। তাঁর গুণেই ওই গ্রাম ৩টি এখন ‘মাষকলাইয়ের বড়ির গ্রাম’ নামে পরিচিত।
দৈন্য ঘোচাল বড়ি ॥ উপজেলার রূপসী গ্রামের মেয়ে বজ্রবালা। ১৯৬২ সালে উত্তরপাড়া গ্রামের জীবন চন্দ্রের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অর্ধাহারে-অনাহারে চলত তাদের দিন। ১৯৮৯ সালে স্বামী মারা গেলে তিন সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েন বজ্র। অন্যের বাড়িতে ধান ভানার কাজ করে যে টাকা পেতেন এতে সংসার চলত না মোটেও। শাকপাতা খেয়ে দিন কাটত তাদের। একপর্যায়ে দেবর রবী রায় তাঁকে মাষকলাইয়ের বড়ি বানিয়ে বিক্রি করার পরামর্শ দেন। ১৯৯২ কিংবা ৯৩ সালে বজ্রবালা বাজার থেকে ১৫ কেজি মাষকলাই কিনে এনে বড়ি বানিয়ে বিক্রি করেন। এতে লাভ হয় ৩শ’ টাকা। উৎসাহ পেয়ে বজ্রবালা বড়ি বিক্রির ব্যবসায় লেগে থাকেন। মাত্র দেড় বছরেই ব্যবসা জমে ওঠে। মুনাফার টাকায় তিনি দুটি গাভী, তিনটি ছাগল, হাঁস-মুরগি কিনে লালন পালন শুরু করেন। এভাবে মুছে যেতে থাকে তাঁর সংসারের দৈন্য। বড়ি বিক্রির টাকায় বজ্রবালা মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলেকে ঘর তুলে দিয়েছেন। কিনেছেন দুই বিঘা জমি। পুকুরে মাছ চাষ করেছেন। কিভাবে বড়ি তৈরি করা হয় ॥ বজ্রবালা জানান, বাজার থেকে খোসা ছাড়ানো মাষকলাই এনে ১০ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। ভেজানো মাষকলাই ঢেঁকিতে ভেনে লেই তৈরি করতে হয়। লেই পাত্রে নিয়ে ফেনিয়ে ফেনিয়ে বড়ি তৈরির উপযোগী করতে হয়। পরে হাতের সাহায্যে ছোট ছোট গুটি (বড়ি) বানিয়ে টিনের ওপর লাইন করে সাজাতে হয়। দু’তিন দিন রোদে শুকানোর পর বড়ি তুলে সংরক্ষণ ও বিক্রি করা হয়। একজনের পক্ষে দিনে পাঁচ কেজি বড়ি তৈরি করা সম্ভব। তিনি বলেন, ১০ কেজি মাষকলাইয়ে নয় কেজি বড়ি হয়। পাইকাররা গ্রামে এসে বড়ি কিনে নিয়ে যায়। প্রতি কেজি বড়ি তৈরিতে ৬০-৭০ টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় ১৪০-১৫০ টাকায়। সরেজমিনে একদিন ॥ রূপগঞ্জ উপজেলার সদর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে তারাবো পৌরসভার রূপসী গ্রাম। এক সকালে ওই গ্রামে গিয়ে অনেক নারী-পুরুষকে ডালের বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত দেখা যায়। কেউ মাষকলাই ঢেঁকিতে ভানছেন, কেউ সদ্য তৈরি করা বড়ি রোদে শুকাচ্ছেন। বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও বসে নেই। বজ্রবালার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে বসে তিনি বড়ি তৈরি করছেন। পুত্রবধূ, নাতি-নাতনিরা তাঁকে সহযোগিতা করছেন। কেউ কলাই ভানছেন, কেউ বড়ি তৈরি করছেন। অতীতের কষ্টের দিনগুলোর কথা এখনও ভোলেননি বজ্রবালা। এ কারণে বয়সেও তিনি পরিশ্রম করেন। ঘরের কাজ ছাড়াও তিনি গ্রামে ঘুরে ঘুরে দুস্থ গরিবদের বড়ি তৈরি করা শিখিয়ে স্বনির্ভর হতে সহযোগিতা করছেন। বজ্রবালার মেয়ে জ্যোৎস্না রানী ও পুত্রবধূ গৌরি রানী বলেন, তাদের মা ও শাশুড়ির ব্যাপারে লোকজন যখন প্রশংসা করে, তখন তারা গর্ববোধ করেন। রূপসীর মতো টানমুশরী ও কাঞ্চনের একই চিত্র। রূপগঞ্জের বড়িপলীর লোকজনের কাছে বজ্রবালা এখন মডেল। বজ্রবালার পথ অনুসরণ করে যারা সফল হয়েছেন তাদের একজন অনিতা রানী (৩৫)। স্বামী
দীরেন্দ্রর মৃত্যুর পর তিন সন্তানকে নিয়ে কষ্টে দিন কাটছিল তাঁর। বজ্রবালার কাছ থেকে বড়ি তৈরির কৌশল শেখার পর প্রতি মাসে তাঁর গড়ে ৪ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। সন্তানদের তিনি স্কুলে দিয়েছেন, বাড়িতে টিনের ঘর তুলেছেন, দুটি ছাগল ও ৫ শতক জমি কিনেছেন। অন্ধ স্বামী, দুই ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে মনিকা রানীর সংসার। ডালের বড়ির বিক্রির টাকায় তার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করছে। তিনিও টিনের ঘর তুলেছেন, জমি কিনেছেন, হাঁস-মুরগি পালন করছেন। একই ভাবে বজ্রবালার পথ ধরে সংসারের উন্নতি ঘটিয়েছেন শিখা রানী, মালুতি রানী, সাবিত্রী, পলিবালা, শিল্পী রানী, ছবি রানী, বিন্দু রানী, মলিকা রানীসহ অনেকেই। পলিবালা কলেজে পড়ছেন। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে বড়ি তৈরি করেন। স্কুলে পড়ার দিনগুলো খুব কষ্টে কেটেছে তার। তখন প্রায়ই তাকে না খেয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হতো। এখন দিন বদলেছে। পড়াশোনার খরচ তো চলছেই, বড়ি থেকে আয়ের টাকা তিনি সংসারে দিচ্ছেন। একই ভাবে বড়ি তৈরি করে পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছে দিপালী রানী, ববিতা রানী, মায়া রানীসহ অনেকে।
যেভাবে দূর-দূরান্তে যায় ॥ রূপসী গ্রামে বড়ি কিনতে আসা পাইকার হরিপদ ভুলু ও মোবারক হোসেন বলেন, রাজধানী ঢাকা এবং উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় বড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে শহরে বন্দরে ছড়িয়ে পড়ে রূপগঞ্জের বড়ি। রূপসী বাজারের বড়ি বিক্রেতা সালাউদ্দিন, ইকবাল, মুড়াপাড়া বাজারের সুবল চন্দ্র ও কায়েতপাড়া বাজারের আনোয়ার হোসেন বলেন, মাষকলাইয়ের তৈরি বড়ি, কৈ মাছ, পুঁটি মাছ, মাংস, ফুলকপি, আলু, লাউসহ সবধরনের ব্যাঞ্জনে মানুষ খুব মজা করে খায়। হাটবাজারে এ বড়ি নিয়ে গেলে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কাঞ্চন বাজারের শিল্পপতি খলিল সিকদার বলেন, বড়ির চাহিদা থাকে সবসময়। তবে শীতকালে বেশি।
দৈন্য ঘোচাল বড়ি ॥ উপজেলার রূপসী গ্রামের মেয়ে বজ্রবালা। ১৯৬২ সালে উত্তরপাড়া গ্রামের জীবন চন্দ্রের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অর্ধাহারে-অনাহারে চলত তাদের দিন। ১৯৮৯ সালে স্বামী মারা গেলে তিন সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েন বজ্র। অন্যের বাড়িতে ধান ভানার কাজ করে যে টাকা পেতেন এতে সংসার চলত না মোটেও। শাকপাতা খেয়ে দিন কাটত তাদের। একপর্যায়ে দেবর রবী রায় তাঁকে মাষকলাইয়ের বড়ি বানিয়ে বিক্রি করার পরামর্শ দেন। ১৯৯২ কিংবা ৯৩ সালে বজ্রবালা বাজার থেকে ১৫ কেজি মাষকলাই কিনে এনে বড়ি বানিয়ে বিক্রি করেন। এতে লাভ হয় ৩শ’ টাকা। উৎসাহ পেয়ে বজ্রবালা বড়ি বিক্রির ব্যবসায় লেগে থাকেন। মাত্র দেড় বছরেই ব্যবসা জমে ওঠে। মুনাফার টাকায় তিনি দুটি গাভী, তিনটি ছাগল, হাঁস-মুরগি কিনে লালন পালন শুরু করেন। এভাবে মুছে যেতে থাকে তাঁর সংসারের দৈন্য। বড়ি বিক্রির টাকায় বজ্রবালা মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলেকে ঘর তুলে দিয়েছেন। কিনেছেন দুই বিঘা জমি। পুকুরে মাছ চাষ করেছেন। কিভাবে বড়ি তৈরি করা হয় ॥ বজ্রবালা জানান, বাজার থেকে খোসা ছাড়ানো মাষকলাই এনে ১০ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। ভেজানো মাষকলাই ঢেঁকিতে ভেনে লেই তৈরি করতে হয়। লেই পাত্রে নিয়ে ফেনিয়ে ফেনিয়ে বড়ি তৈরির উপযোগী করতে হয়। পরে হাতের সাহায্যে ছোট ছোট গুটি (বড়ি) বানিয়ে টিনের ওপর লাইন করে সাজাতে হয়। দু’তিন দিন রোদে শুকানোর পর বড়ি তুলে সংরক্ষণ ও বিক্রি করা হয়। একজনের পক্ষে দিনে পাঁচ কেজি বড়ি তৈরি করা সম্ভব। তিনি বলেন, ১০ কেজি মাষকলাইয়ে নয় কেজি বড়ি হয়। পাইকাররা গ্রামে এসে বড়ি কিনে নিয়ে যায়। প্রতি কেজি বড়ি তৈরিতে ৬০-৭০ টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় ১৪০-১৫০ টাকায়। সরেজমিনে একদিন ॥ রূপগঞ্জ উপজেলার সদর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে তারাবো পৌরসভার রূপসী গ্রাম। এক সকালে ওই গ্রামে গিয়ে অনেক নারী-পুরুষকে ডালের বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত দেখা যায়। কেউ মাষকলাই ঢেঁকিতে ভানছেন, কেউ সদ্য তৈরি করা বড়ি রোদে শুকাচ্ছেন। বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও বসে নেই। বজ্রবালার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে বসে তিনি বড়ি তৈরি করছেন। পুত্রবধূ, নাতি-নাতনিরা তাঁকে সহযোগিতা করছেন। কেউ কলাই ভানছেন, কেউ বড়ি তৈরি করছেন। অতীতের কষ্টের দিনগুলোর কথা এখনও ভোলেননি বজ্রবালা। এ কারণে বয়সেও তিনি পরিশ্রম করেন। ঘরের কাজ ছাড়াও তিনি গ্রামে ঘুরে ঘুরে দুস্থ গরিবদের বড়ি তৈরি করা শিখিয়ে স্বনির্ভর হতে সহযোগিতা করছেন। বজ্রবালার মেয়ে জ্যোৎস্না রানী ও পুত্রবধূ গৌরি রানী বলেন, তাদের মা ও শাশুড়ির ব্যাপারে লোকজন যখন প্রশংসা করে, তখন তারা গর্ববোধ করেন। রূপসীর মতো টানমুশরী ও কাঞ্চনের একই চিত্র। রূপগঞ্জের বড়িপলীর লোকজনের কাছে বজ্রবালা এখন মডেল। বজ্রবালার পথ অনুসরণ করে যারা সফল হয়েছেন তাদের একজন অনিতা রানী (৩৫)। স্বামী
দীরেন্দ্রর মৃত্যুর পর তিন সন্তানকে নিয়ে কষ্টে দিন কাটছিল তাঁর। বজ্রবালার কাছ থেকে বড়ি তৈরির কৌশল শেখার পর প্রতি মাসে তাঁর গড়ে ৪ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। সন্তানদের তিনি স্কুলে দিয়েছেন, বাড়িতে টিনের ঘর তুলেছেন, দুটি ছাগল ও ৫ শতক জমি কিনেছেন। অন্ধ স্বামী, দুই ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে মনিকা রানীর সংসার। ডালের বড়ির বিক্রির টাকায় তার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করছে। তিনিও টিনের ঘর তুলেছেন, জমি কিনেছেন, হাঁস-মুরগি পালন করছেন। একই ভাবে বজ্রবালার পথ ধরে সংসারের উন্নতি ঘটিয়েছেন শিখা রানী, মালুতি রানী, সাবিত্রী, পলিবালা, শিল্পী রানী, ছবি রানী, বিন্দু রানী, মলিকা রানীসহ অনেকেই। পলিবালা কলেজে পড়ছেন। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে বড়ি তৈরি করেন। স্কুলে পড়ার দিনগুলো খুব কষ্টে কেটেছে তার। তখন প্রায়ই তাকে না খেয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হতো। এখন দিন বদলেছে। পড়াশোনার খরচ তো চলছেই, বড়ি থেকে আয়ের টাকা তিনি সংসারে দিচ্ছেন। একই ভাবে বড়ি তৈরি করে পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছে দিপালী রানী, ববিতা রানী, মায়া রানীসহ অনেকে।
যেভাবে দূর-দূরান্তে যায় ॥ রূপসী গ্রামে বড়ি কিনতে আসা পাইকার হরিপদ ভুলু ও মোবারক হোসেন বলেন, রাজধানী ঢাকা এবং উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় বড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে শহরে বন্দরে ছড়িয়ে পড়ে রূপগঞ্জের বড়ি। রূপসী বাজারের বড়ি বিক্রেতা সালাউদ্দিন, ইকবাল, মুড়াপাড়া বাজারের সুবল চন্দ্র ও কায়েতপাড়া বাজারের আনোয়ার হোসেন বলেন, মাষকলাইয়ের তৈরি বড়ি, কৈ মাছ, পুঁটি মাছ, মাংস, ফুলকপি, আলু, লাউসহ সবধরনের ব্যাঞ্জনে মানুষ খুব মজা করে খায়। হাটবাজারে এ বড়ি নিয়ে গেলে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কাঞ্চন বাজারের শিল্পপতি খলিল সিকদার বলেন, বড়ির চাহিদা থাকে সবসময়। তবে শীতকালে বেশি।
No comments