সরেজমিন-ধুঁকছে পাহাড়তলী রেল কারখানা by ভূঁইয়া নজরুল
পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানার শেডগুলো এক সময় শ্রমিকে ঠাসা ছিল। আর এখন পর্যাপ্ত শ্রমিকের অভাবে অলস পড়ে থাকছে শত কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকেরও কম শ্রমিক দিয়ে কোনোমতে চালানো হচ্ছে কারখানা। আইনি জটিলতায় বারবার আটকে যাচ্ছে লোকবল নিয়োগের প্রক্রিয়া।
সম্প্রতি রেলমন্ত্রী চট্টগ্রামের এ কারখানা পরিদর্শন করে গেছেন। এ নিয়ে তিনি শঙ্কিত।
কারখানায় যে যন্ত্রপাতি রয়েছে সেগুলো অনেক পুরনো; ঠিকমতো কাজে লাগানো যাচ্ছে না বলে পড়ে পড়ে জবরজং হচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রী ও মালবাহী বগি বা ইঞ্জিন মেরামতের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই। দেশের অন্যতম বৃহৎ এ কারখানায় স্বল্প জনবল ও ৬৫ বছরের পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে জোড়াতালির কাজ চলছে।
সম্প্রতি পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি বলেন, 'আমরা শ্রমিক নিয়োগ দিতে চাই; কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে বারবার নিয়োগ পিছিয়ে যাচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেল। দ্রুত লোক নিয়োগ করা না গেলে রেলের চাকা থেমে যেতে পারে।'
পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের ৯৩০টি যাত্রীবাহী বগি ও সাত হাজার মালবাহী বগি মেরামতের জন্য কারখানার ২২টি শপে দুই হাজার ১২৮ জনের জায়গায় কর্মরত আছেন মাত্র এক হাজার ১৮ জন। তাঁদের মধ্যে দক্ষ শ্রমিক মাত্র ৬২০ জন। গত শনিবার দুপুরে পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানায় গিয়ে এ অবস্থাই দেখা গেছে। ১৯৪৭ সালে গড়ে তোলা হয় কারখানাটি। জরাজীর্ণ শেডগুলো খাঁ খাঁ করছিল, অনেক শেডে কোনো শ্রমিকই ছিলেন না।
পেইন্টশপে মাত্র ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করছেন। পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন শ্রমিক একটি বগির সিট মেরামত করছেন; অন্যরা আরেকটি বগিতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করছেন। ওয়ার্কিং আওয়ারে ওই শপে ১৬৩ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা; অথচ কাজ করছেন হাতেগোনা কয়েকজন শ্রমিক।
চাকা মেরামতের হুইলশপে গিয়ে দেখা যায়, কারখানার একমাত্র হুইল লেদ মেশিনটি দিয়ে এঙ্লে থেকে চাকা খোলার কাজ চলছে। মেয়াদোত্তীর্ণ মেশিনটি একবার বিকল হয়ে গেলে এঙ্লে থেকে চাকা খোলা ও সারানোর জন্য আর কোনো যন্ত্র থাকবে না। ১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ড থেকে চার কোটি টাকা দিয়ে কেনা গ্লুটিং রোলিং মেশিন দিয়ে রেলের চাকায় লক লাগানোর কাজ চলছে। শ্রমিকরা জানান, কারখানাকে পুরোদমে সচল রাখতে উভয় ধরনের যন্ত্র কমপক্ষে আরো দুটি প্রয়োজন।
স্মিথিশপে (কামারশালা) চুলি্লতে গরম করে লোহাকে বিভিন্ন আকৃতি দেওয়া হয়ে থাকে। শ্রমিক সংকটের কারণে এখন মাত্র একটি চুলি্ল জ্বলছে। লোহার বিয়ারিং ও স্প্রিং তৈরির তিনটি যন্ত্র থাকলেও লোকবলের অভাবে দুটি যন্ত্র ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
অনুসন্ধানকালে দেখা গেছে, সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা মেশিনশপে। এ শপে লোহার বিভিন্ন পাত তৈরি ও মেরামতের জন্য ৩৯টি মেশিনের জন্য কমপক্ষে ৩৯ জন অপারেটর থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ১৩ জন। কারখানার মেশিনিস্ট আমান উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ষাটের দশকে কেনা সেন্ট্রাল লেদ, ক্যাপেস্টার্ন লেদ, টার্ন হেল লেদ, মিলিং মেশিন, শেপার মেশিন ও প্ল্যানার মেশিন নামের এসব যন্ত্রপাতির জন্য অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হলে অবশ্যই এগুলো ব্যবহার করা সম্ভব। অপারেটরের অভাবে এখন এসব মেশিন ব্যবহার করা যাচ্ছে না।'
আন্তনগর ট্রেনের বগিগুলো বছরে একবার, মেইল ট্রেনের বগিগুলো দেড় বছরে একবার ও মালবাহী ট্রেনের বগিগুলো সাড়ে তিন বছরে একবার মেরামতের জন্য এ কারখানায় আনতে হয় বলে জানান কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, 'এ কারখানায় জরাজীর্ণ বগি সংস্কারের পাশাপাশি সম্পূর্ণ নতুন বগি নির্মাণ করা যায়। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বগি মেরামতের কাজ করতে পারছি না।'
বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক বলেন, 'পর্যাপ্ত শ্রমিকের অভাবে কারখানার প্রায় অর্ধশত যন্ত্র ব্যবহার করা যাচ্ছে না। লোক নিয়োগের পাশাপাশি কারখানা আধুনিকায়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে দেশবাসী এর সুফল পাবে।'
শ্রমিক সংকটের কারণে মালি ও সুইপার পদের লোকদের দিয়েও চাকা মেরামত কিংবা পেইন্টশপে কাজ করাতে হচ্ছে জানিয়ে ওয়ার্কশপ ইনচার্জ শঙ্কর বড়ুয়া জানান, এ কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে রেলের চাকা আর সচল রাখা যাবে না।
কারখানার জন্য খালাসি নিয়োগপ্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রেল ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আখতারুজ্জামান হায়দার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বর্তমানে কারখানার শ্রমিকদের গড় বয়স ৫৩ বছর। এখনই নতুন লোক নিয়োগের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক গড়ে না তোলা গেলে পরে তাদের কাজ শেখানোর মানুষ পাওয়া যাবে না। তাই আমি শুধু লোক চাই। তবেই এ কারখানায় গতি আসবে এবং দেশবাসী এর সুফল পাবে।'
অপরদিকে ষাটের দশকে ৫২টি রেল ইঞ্জিন মেরামতের জন্য ডিজেলশপের যন্ত্রপাতি বসানো হয়। এখন ১২০টি ইঞ্জিন, কিন্তু যন্ত্রপাতি একই রয়েছে। ১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চার দফায় কেনা ৫৫টি ইঞ্জিন চেকআপ ও কমপ্রেশার টেস্টের জন্য কোনো যন্ত্রপাতি এ শপে নেই। জোড়াতালি দিয়ে সক্ষমতা পরীক্ষার (ক্যাপাসিটি টেস্ট) মাধ্যমে এসব ইঞ্জিন চালানো হচ্ছে বলে ডিজেলশপের শ্রমিকরা জানান। প্রতিটি ইঞ্জিনের চাকা ছয় থেকে সাত মাস পরপর টার্নিং করাতে হয়। ৩৩ বছর আগে মেয়াদ শেষ হওয়া চাকা টার্নিংয়ের যন্ত্র আন্ডারহুইল লেদ মেশিন এখনো চলছে। একমাত্র মেশিনটি বিকল হয়ে গেলে রেল ইঞ্জিন সচল রাখা যাবে না বলে রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান।
উল্লেখ্য, কারখানা আধুনিকায়নের জন্য ২০০৭ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ১৪৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প শুরু করার কথা। কিন্তু এখনো প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কারখানায় যে যন্ত্রপাতি রয়েছে সেগুলো অনেক পুরনো; ঠিকমতো কাজে লাগানো যাচ্ছে না বলে পড়ে পড়ে জবরজং হচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রী ও মালবাহী বগি বা ইঞ্জিন মেরামতের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই। দেশের অন্যতম বৃহৎ এ কারখানায় স্বল্প জনবল ও ৬৫ বছরের পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে জোড়াতালির কাজ চলছে।
সম্প্রতি পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি বলেন, 'আমরা শ্রমিক নিয়োগ দিতে চাই; কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে বারবার নিয়োগ পিছিয়ে যাচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেল। দ্রুত লোক নিয়োগ করা না গেলে রেলের চাকা থেমে যেতে পারে।'
পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের ৯৩০টি যাত্রীবাহী বগি ও সাত হাজার মালবাহী বগি মেরামতের জন্য কারখানার ২২টি শপে দুই হাজার ১২৮ জনের জায়গায় কর্মরত আছেন মাত্র এক হাজার ১৮ জন। তাঁদের মধ্যে দক্ষ শ্রমিক মাত্র ৬২০ জন। গত শনিবার দুপুরে পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানায় গিয়ে এ অবস্থাই দেখা গেছে। ১৯৪৭ সালে গড়ে তোলা হয় কারখানাটি। জরাজীর্ণ শেডগুলো খাঁ খাঁ করছিল, অনেক শেডে কোনো শ্রমিকই ছিলেন না।
পেইন্টশপে মাত্র ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করছেন। পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন শ্রমিক একটি বগির সিট মেরামত করছেন; অন্যরা আরেকটি বগিতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করছেন। ওয়ার্কিং আওয়ারে ওই শপে ১৬৩ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা; অথচ কাজ করছেন হাতেগোনা কয়েকজন শ্রমিক।
চাকা মেরামতের হুইলশপে গিয়ে দেখা যায়, কারখানার একমাত্র হুইল লেদ মেশিনটি দিয়ে এঙ্লে থেকে চাকা খোলার কাজ চলছে। মেয়াদোত্তীর্ণ মেশিনটি একবার বিকল হয়ে গেলে এঙ্লে থেকে চাকা খোলা ও সারানোর জন্য আর কোনো যন্ত্র থাকবে না। ১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ড থেকে চার কোটি টাকা দিয়ে কেনা গ্লুটিং রোলিং মেশিন দিয়ে রেলের চাকায় লক লাগানোর কাজ চলছে। শ্রমিকরা জানান, কারখানাকে পুরোদমে সচল রাখতে উভয় ধরনের যন্ত্র কমপক্ষে আরো দুটি প্রয়োজন।
স্মিথিশপে (কামারশালা) চুলি্লতে গরম করে লোহাকে বিভিন্ন আকৃতি দেওয়া হয়ে থাকে। শ্রমিক সংকটের কারণে এখন মাত্র একটি চুলি্ল জ্বলছে। লোহার বিয়ারিং ও স্প্রিং তৈরির তিনটি যন্ত্র থাকলেও লোকবলের অভাবে দুটি যন্ত্র ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
অনুসন্ধানকালে দেখা গেছে, সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা মেশিনশপে। এ শপে লোহার বিভিন্ন পাত তৈরি ও মেরামতের জন্য ৩৯টি মেশিনের জন্য কমপক্ষে ৩৯ জন অপারেটর থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ১৩ জন। কারখানার মেশিনিস্ট আমান উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ষাটের দশকে কেনা সেন্ট্রাল লেদ, ক্যাপেস্টার্ন লেদ, টার্ন হেল লেদ, মিলিং মেশিন, শেপার মেশিন ও প্ল্যানার মেশিন নামের এসব যন্ত্রপাতির জন্য অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হলে অবশ্যই এগুলো ব্যবহার করা সম্ভব। অপারেটরের অভাবে এখন এসব মেশিন ব্যবহার করা যাচ্ছে না।'
আন্তনগর ট্রেনের বগিগুলো বছরে একবার, মেইল ট্রেনের বগিগুলো দেড় বছরে একবার ও মালবাহী ট্রেনের বগিগুলো সাড়ে তিন বছরে একবার মেরামতের জন্য এ কারখানায় আনতে হয় বলে জানান কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, 'এ কারখানায় জরাজীর্ণ বগি সংস্কারের পাশাপাশি সম্পূর্ণ নতুন বগি নির্মাণ করা যায়। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বগি মেরামতের কাজ করতে পারছি না।'
বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক বলেন, 'পর্যাপ্ত শ্রমিকের অভাবে কারখানার প্রায় অর্ধশত যন্ত্র ব্যবহার করা যাচ্ছে না। লোক নিয়োগের পাশাপাশি কারখানা আধুনিকায়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে দেশবাসী এর সুফল পাবে।'
শ্রমিক সংকটের কারণে মালি ও সুইপার পদের লোকদের দিয়েও চাকা মেরামত কিংবা পেইন্টশপে কাজ করাতে হচ্ছে জানিয়ে ওয়ার্কশপ ইনচার্জ শঙ্কর বড়ুয়া জানান, এ কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে রেলের চাকা আর সচল রাখা যাবে না।
কারখানার জন্য খালাসি নিয়োগপ্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রেল ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আখতারুজ্জামান হায়দার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বর্তমানে কারখানার শ্রমিকদের গড় বয়স ৫৩ বছর। এখনই নতুন লোক নিয়োগের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক গড়ে না তোলা গেলে পরে তাদের কাজ শেখানোর মানুষ পাওয়া যাবে না। তাই আমি শুধু লোক চাই। তবেই এ কারখানায় গতি আসবে এবং দেশবাসী এর সুফল পাবে।'
অপরদিকে ষাটের দশকে ৫২টি রেল ইঞ্জিন মেরামতের জন্য ডিজেলশপের যন্ত্রপাতি বসানো হয়। এখন ১২০টি ইঞ্জিন, কিন্তু যন্ত্রপাতি একই রয়েছে। ১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চার দফায় কেনা ৫৫টি ইঞ্জিন চেকআপ ও কমপ্রেশার টেস্টের জন্য কোনো যন্ত্রপাতি এ শপে নেই। জোড়াতালি দিয়ে সক্ষমতা পরীক্ষার (ক্যাপাসিটি টেস্ট) মাধ্যমে এসব ইঞ্জিন চালানো হচ্ছে বলে ডিজেলশপের শ্রমিকরা জানান। প্রতিটি ইঞ্জিনের চাকা ছয় থেকে সাত মাস পরপর টার্নিং করাতে হয়। ৩৩ বছর আগে মেয়াদ শেষ হওয়া চাকা টার্নিংয়ের যন্ত্র আন্ডারহুইল লেদ মেশিন এখনো চলছে। একমাত্র মেশিনটি বিকল হয়ে গেলে রেল ইঞ্জিন সচল রাখা যাবে না বলে রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান।
উল্লেখ্য, কারখানা আধুনিকায়নের জন্য ২০০৭ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ১৪৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প শুরু করার কথা। কিন্তু এখনো প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
No comments