২৫ হাজার কোটি রুপির প্রতিরক্ষা চুক্তি-দিল্লি সফরে পুতিন
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের অংশ হিসেবে ভারত ও রাশিয়া গতকাল সোমবার ১০টি চুক্তি সই করেছে। এর মধ্যে প্রায় ২৯০ কোটি ডলারের (২৫ হাজার কোটি রুপি) প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত কয়েকটি চুক্তি রয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক দিনের ভারত সফরের সময় এসব চুক্তি হয়।
২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী চলে যাওয়ার পর চরমপন্থা দমনে জোরালো ভূমিকা পালনের ব্যাপারেও একমত হয়েছে দুই দেশ।
প্রতিরক্ষা খাতের সম্পর্ক আরো জোরদার করা এবং আগামী তিন বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিসর প্রায় দ্বিগুণ বাড়ানোর লক্ষ্যে পুতিন গতকাল ভারত সফরে যান। গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নেওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম ভারত সফর। সফরকালে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ কয়েকজন মন্ত্রী ও সামরিক কর্মকর্তাও পুতিনের সঙ্গে ছিলেন।
নয়াদিল্লির রেসকোর্সে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মনমোহনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন। বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক ছাড়াও বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচির ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং এশিয়ায় নিরাপত্তা বজায় রাখার ব্যাপারে আলোচনা করেন তাঁরা। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ভারত। তারা প্রায় ৭০ শতাংশ অস্ত্রই রাশিয়া থেকে আমদানি করে।
বৈঠক শেষে মনমোহন বলেন, 'ভারতের প্রতি রাশিয়ার অবিচলিত বন্ধুত্ব ও সমর্থনকে আমরা গভীরভাবে মূল্যায়ন করি। বৈশ্বিক কোনো বিষয় এ সম্পর্ককে প্রভাবিত করে না। এই সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ভারতীয়রা অঙ্গীকারবদ্ধ।'
ভারত ও রাশিয়া গতকাল প্রতিরক্ষা, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি বিনিময় ও কূটনৈতিক সহযোগিতাসংক্রান্ত ১০টি চুক্তি সই করেছে। এর মধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে এমআই-১৭ভি-৫ মডেলের ৭১টি হেলিকপ্টার এবং ৪২টি সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে ভারত। পঞ্চম প্রজন্মের সুখোই যুদ্ধবিমান তৈরিসংক্রান্ত এক হাজার ১০০ কোটি ডলারের আরেকটি চুক্তিও হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে পঞ্চম প্রজন্মের প্রায় ২০০ যুদ্ধবিমান তৈরির আশা করছে দুই দেশ। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কুদানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে নতুন দুটি ইউনিট তৈরির ব্যাপারেও সমঝোতা হয়েছে। ২০০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক চুক্তিও হয়েছে।
২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের পর চরমপন্থা দমন ও মাদকপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে ভারত ও রাশিয়া।
নয়াদিল্লি পৌঁছার আগে ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকাকে পুতিন বলেন, 'ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ককে আমরা আরো জোরদার করতে চাই এবং আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতেও বিষয়টিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক শুধু সামরিক পণ্য বেচাকেনায়ই সীমাবদ্ধ নয়, সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতাও এর অংশ। ২০১২ সালে আমাদের দ্বিপক্ষীয় লেনদেন এক হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করছি। ২০১৫ সাল নাগাদ এর পরিমাণ দুই হাজার কোটি ডলারে নেওয়ার আশা আছে।' সূত্র : এএফপি।
প্রতিরক্ষা খাতের সম্পর্ক আরো জোরদার করা এবং আগামী তিন বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিসর প্রায় দ্বিগুণ বাড়ানোর লক্ষ্যে পুতিন গতকাল ভারত সফরে যান। গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নেওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম ভারত সফর। সফরকালে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ কয়েকজন মন্ত্রী ও সামরিক কর্মকর্তাও পুতিনের সঙ্গে ছিলেন।
নয়াদিল্লির রেসকোর্সে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মনমোহনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন। বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক ছাড়াও বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচির ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং এশিয়ায় নিরাপত্তা বজায় রাখার ব্যাপারে আলোচনা করেন তাঁরা। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ভারত। তারা প্রায় ৭০ শতাংশ অস্ত্রই রাশিয়া থেকে আমদানি করে।
বৈঠক শেষে মনমোহন বলেন, 'ভারতের প্রতি রাশিয়ার অবিচলিত বন্ধুত্ব ও সমর্থনকে আমরা গভীরভাবে মূল্যায়ন করি। বৈশ্বিক কোনো বিষয় এ সম্পর্ককে প্রভাবিত করে না। এই সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ভারতীয়রা অঙ্গীকারবদ্ধ।'
ভারত ও রাশিয়া গতকাল প্রতিরক্ষা, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি বিনিময় ও কূটনৈতিক সহযোগিতাসংক্রান্ত ১০টি চুক্তি সই করেছে। এর মধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে এমআই-১৭ভি-৫ মডেলের ৭১টি হেলিকপ্টার এবং ৪২টি সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে ভারত। পঞ্চম প্রজন্মের সুখোই যুদ্ধবিমান তৈরিসংক্রান্ত এক হাজার ১০০ কোটি ডলারের আরেকটি চুক্তিও হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে পঞ্চম প্রজন্মের প্রায় ২০০ যুদ্ধবিমান তৈরির আশা করছে দুই দেশ। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কুদানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে নতুন দুটি ইউনিট তৈরির ব্যাপারেও সমঝোতা হয়েছে। ২০০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক চুক্তিও হয়েছে।
২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের পর চরমপন্থা দমন ও মাদকপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে ভারত ও রাশিয়া।
নয়াদিল্লি পৌঁছার আগে ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকাকে পুতিন বলেন, 'ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ককে আমরা আরো জোরদার করতে চাই এবং আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতেও বিষয়টিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক শুধু সামরিক পণ্য বেচাকেনায়ই সীমাবদ্ধ নয়, সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতাও এর অংশ। ২০১২ সালে আমাদের দ্বিপক্ষীয় লেনদেন এক হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করছি। ২০১৫ সাল নাগাদ এর পরিমাণ দুই হাজার কোটি ডলারে নেওয়ার আশা আছে।' সূত্র : এএফপি।
No comments