বিকল্প পথ খুঁজে বের করুন- ১৮ দলের পথসভা
অবশেষে বিরোধী দলকে পথসভা করার অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের রাজধানীতে আহূত আগামীকালের পথসভা কর্মসূচি নিয়ে যে টানাপোড়েন চলছিল, আপাতত তার অবসান হয়েছে।
উভয় পক্ষ এই কর্মসূচি নিয়ে কয়েক দিন ধরেই রাজনীতির মাঠ গরম করার চেষ্টা করে আসছিল। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক এই বলে হুমকি দিয়েছিলেন যে, ২৬ ডিসেম্বর তাঁদের কর্মসূচিতে বাধা দিলে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। আবার সরকারি দলের নেতারা বিরোধী দলের যেকোনো কর্মসূচিকে তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে প্রচার করছেন।
নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অধিকার সব দলেরই আছে। এর আগে ১৮ দলীয় জোট ঢাকা মহানগরে বহু সভা-সমাবেশ করেছে এবং সরকারও অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচি নিয়ে। তারা কর্মসূচির নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
কোনো কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা থাকলে সরকার অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। কোনো দল বা ব্যক্তি যাতে অন্তর্ঘাত চালাতে না পারে, সে ব্যাপারেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক রাখতে হবে। তবে সেই সতর্কতার অর্থ এই নয় যে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া। সরকার বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়ে বিচক্ষণতারই পরিচয় দিয়েছে। বিরোধী দলের পূর্বঘোষিত একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হলে সমস্যা নেই। কিন্তু সেই কর্মসূচি পালনে সরকার বাধা দিলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটার আশঙ্কা থাকে।
রাস্তাঘাট বন্ধ করে কেবল বিরোধী দল নয়, সরকারি দলও নিয়মিত সভা-সমাবেশ ও মিছিল করছে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এমনিতেই ঢাকার যানজট প্রকট। নাগরিকদের প্রায়ই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কোনো এলাকায় সড়ক বন্ধ করে পথসভা বা মিছিল করা হলে জনগণের দুর্ভোগ কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
এ থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে বের করতে হবে রাজনীতিকদেরই। বিরোধী দল যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা প্রশ্ন করছি না। প্রশ্ন হলো, সেই দাবি আদায়ের উপায় কী হবে? কেন বিরোধী দল সংসদে গিয়ে তাদের দাবির কথা বলছে না? সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজপথ দখলের যে লড়াই চলছে, তা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। রাজনৈতিক সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। এর জবাবে সরকারি দলের নেতারা মার্চ পর্যন্ত রাজপথ দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। জনগণের প্রতি ন্যূনতম দরদ আছে—এ রকম কোনো দল জনগণের কষ্ট বাড়ে, সে ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে পারে না। অতএব, ‘সরকার উৎখাত’ কিংবা ‘বিরোধী দল উচ্ছেদ’ এই মানসিকতা থেকে উভয় পক্ষকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে হবে।
নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অধিকার সব দলেরই আছে। এর আগে ১৮ দলীয় জোট ঢাকা মহানগরে বহু সভা-সমাবেশ করেছে এবং সরকারও অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচি নিয়ে। তারা কর্মসূচির নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
কোনো কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা থাকলে সরকার অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। কোনো দল বা ব্যক্তি যাতে অন্তর্ঘাত চালাতে না পারে, সে ব্যাপারেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক রাখতে হবে। তবে সেই সতর্কতার অর্থ এই নয় যে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া। সরকার বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়ে বিচক্ষণতারই পরিচয় দিয়েছে। বিরোধী দলের পূর্বঘোষিত একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হলে সমস্যা নেই। কিন্তু সেই কর্মসূচি পালনে সরকার বাধা দিলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটার আশঙ্কা থাকে।
রাস্তাঘাট বন্ধ করে কেবল বিরোধী দল নয়, সরকারি দলও নিয়মিত সভা-সমাবেশ ও মিছিল করছে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এমনিতেই ঢাকার যানজট প্রকট। নাগরিকদের প্রায়ই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কোনো এলাকায় সড়ক বন্ধ করে পথসভা বা মিছিল করা হলে জনগণের দুর্ভোগ কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
এ থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে বের করতে হবে রাজনীতিকদেরই। বিরোধী দল যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা প্রশ্ন করছি না। প্রশ্ন হলো, সেই দাবি আদায়ের উপায় কী হবে? কেন বিরোধী দল সংসদে গিয়ে তাদের দাবির কথা বলছে না? সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজপথ দখলের যে লড়াই চলছে, তা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। রাজনৈতিক সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। এর জবাবে সরকারি দলের নেতারা মার্চ পর্যন্ত রাজপথ দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। জনগণের প্রতি ন্যূনতম দরদ আছে—এ রকম কোনো দল জনগণের কষ্ট বাড়ে, সে ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে পারে না। অতএব, ‘সরকার উৎখাত’ কিংবা ‘বিরোধী দল উচ্ছেদ’ এই মানসিকতা থেকে উভয় পক্ষকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে হবে।
No comments