ট্রাইব্যুনালে ব্রাদারহুড?
০ পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ঢুকে পড়ে তুরস্কের ১৪ আইনজীবী
০ বাস্তবে এরা সকলে মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য
০ বাস্তবে এরা সকলে মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য
০ যাঁরা ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা যাচাইবাছাই না করেই এদের ঢুকতে দেনপর্যবেক্ষকের ছদ্মাবরণে এবার তুরস্কের ১৪ সদস্য বিশিষ্ট আইনজীবীর একটি প্রতিনিধিদল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসেছেন। তাঁরা নিজেদের পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার কর্মী বললেও আসলে তাঁরা তুরস্কের আইনজীবী। ১৪ জনের মধ্যে একজন রয়েছেন বেলজিয়ামের। রেজিস্ট্রার অফিস থেকে বলা হয়েছে, তারা সরাসরি ট্রাইব্যুনালে এসে পাস চেয়েছেন। যেহেতু এটি পাবলিক ট্রায়াল সে কারণেই তাদের শর্তসাপেক্ষে পাস দেয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে কঠোর নিরাপত্তা থাকলেও কিভাবে প্রধান গেট দিয়ে তাঁরা প্রবেশ করেছেন এ বিষয়ে খোদ ট্রাইব্যুনাল অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এদিকে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর অংশ হিসেবেই তুরস্কের মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা সোমবার ট্রাইব্যুনালে এসেছেন। ব্রাদারহুডের সদস্যদের ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করা হবে।
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত তাদের আন্তর্জািতক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ পরিদর্শনের অনুমতি দেয়া হয়। ১৪ প্রতিনিধি দলে ছিলেন, ফাতেমা বেনলি, বৈরাম সাকারতেপ, ইব্রাহিক ওস্তাক, নেকাটি সেলেন, ইউনুস ওমর ক্যানবি, হসনো টোনা, সাউথ পামকুচ, লুটফো ইসেন জন, আহম্দে সুরগুন, মোস্তফা ইয়াগমার, ইয়াসিন সামউ, মেহমেদ রেফিক করকুজ, জেহারা ইয়াম্যান ও বেলজিয়ামের রবিয়া ইওয়াড।
তুরস্কের প্রতিনিধিদল ট্রাইব্যুনালে আসার পর আসামি পক্ষের আইনজীবীদের বেশ উৎফুল্ল দেখাচ্ছিল। উল্লেখ্য, এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের কাছে চিঠি দিয়ে বলেছিলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অবিচার বন্ধ করতে হবে। প্রসিকিউশন থেকে বলা হয়েছে, আসামি পক্ষ যে ভাবে অর্থ ব্যয় করছে তার আরেকটি উদাহরণ এই তুরস্কের প্রতিনিধিদল। যাঁরা পর্যবক্ষক নামে এসেছেন। আসলে আসামি পক্ষের আইনী সহায়তাদানই তাদের প্রধান কাজ।
এদিকে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পরে কি করে প্রতিনিধি দল প্রবেশ করল তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানাবিধ প্রশ্ন। রেজিস্ট্রারের অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোন প্রতিনিধি দল এলে প্রথমে গেটে তাদের যাচাই বাছাই করার নিয়ম। রেজিস্ট্রার অফিসের অনুমতি নিয়েই কেবল মাত্র তাদের ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের অনুমতি দেযা হয়। কিন্তু যাঁরা ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা এগুলো যাচাই বাছাই না করেই বিদেশী দেখেই তাদের প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছেন। আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, এভাবে যাকে তাকে প্রবেশ করার অনুমতি দিলে যে কোন সময় বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে। এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি আসামিপক্ষের লবিংয়েরই একটি অংশ। বিদেশ থেকে তাদের এনে দেখানো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে জামায়াত দেশে-বিদেশে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে। তারা বিদেশে থেকেও নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। ২০১১ সালের ১৫ নবেম্বর চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ এমন একটি বিষয় ট্রাইব্যুনালের নজরে এনেছিলেন। যাঁরা বিদেশে জামায়াতের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দেন তারই অংশ হিসেবে সেই তিন বিদেশী আইনজীবী স্টিভেন কে, টোবি ক্যাডম্যান ও জন ক্যামেগ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হককের অপসারণ চেয়ে তার কাছেই ই-মেইল করেন। এ বিষয়টি চীফ প্রসিকিউটর গোলম আরিফ টিপু ট্রাইব্যুনালের নজরে আনেন। ট্রাইব্যুনাল এর বিরুদ্ধে আদেশ দিয়েছেন। এটা তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ। এ বিষয়টি লন্ডনের বার স্ট্যান্ডার্ড বোর্ডের নজরে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ব্যারিস্টার মেজবাহউদ্দিন আহম্মেদকে নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ডেপুটি রেজিস্ট্রার ব্যারিস্টার মেজবাহউদ্দিন আহেম্মেদ তাদের কাছে চিঠি পাঠান।
তাদের এ দেশে এসে আসামি পক্ষে আইনী লড়াই চালানোর আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনে কোন বিদেশী আইনজীবীকে আইনী লড়াইয়ের অনুমতি দেয়া হয না। আইনে এটি নেই। সে কারণেই ঐ তিন আইনজীবী বিদেশে থেকেই আসামি পক্ষের আইনজীবীদের নানামুখী শলাপরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে স্কাইপের মাধ্যমে কথোপকথন হ্যাকিং করার বিষয় নিয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী তিনটি মামলা রি-ট্রায়ালের আবেদন করেছে। ইতোমধ্যে গোলাম আযমের মামলার রি- ট্রায়ালের শুনানি শুরু হয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে। এর বাইরেও তাদের নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বিচারকাজকে বাধাগ্রস্ত ও বিলম্বিত করাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। পাশাপাশি এখন পর্যবেক্ষকের ছদ্মাবরণে তুরস্কের আইনজীবী প্রতিনিধি দল নিয়ে এসেছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত তাদের আন্তর্জািতক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ পরিদর্শনের অনুমতি দেয়া হয়। ১৪ প্রতিনিধি দলে ছিলেন, ফাতেমা বেনলি, বৈরাম সাকারতেপ, ইব্রাহিক ওস্তাক, নেকাটি সেলেন, ইউনুস ওমর ক্যানবি, হসনো টোনা, সাউথ পামকুচ, লুটফো ইসেন জন, আহম্দে সুরগুন, মোস্তফা ইয়াগমার, ইয়াসিন সামউ, মেহমেদ রেফিক করকুজ, জেহারা ইয়াম্যান ও বেলজিয়ামের রবিয়া ইওয়াড।
তুরস্কের প্রতিনিধিদল ট্রাইব্যুনালে আসার পর আসামি পক্ষের আইনজীবীদের বেশ উৎফুল্ল দেখাচ্ছিল। উল্লেখ্য, এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের কাছে চিঠি দিয়ে বলেছিলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অবিচার বন্ধ করতে হবে। প্রসিকিউশন থেকে বলা হয়েছে, আসামি পক্ষ যে ভাবে অর্থ ব্যয় করছে তার আরেকটি উদাহরণ এই তুরস্কের প্রতিনিধিদল। যাঁরা পর্যবক্ষক নামে এসেছেন। আসলে আসামি পক্ষের আইনী সহায়তাদানই তাদের প্রধান কাজ।
এদিকে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পরে কি করে প্রতিনিধি দল প্রবেশ করল তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানাবিধ প্রশ্ন। রেজিস্ট্রারের অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোন প্রতিনিধি দল এলে প্রথমে গেটে তাদের যাচাই বাছাই করার নিয়ম। রেজিস্ট্রার অফিসের অনুমতি নিয়েই কেবল মাত্র তাদের ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের অনুমতি দেযা হয়। কিন্তু যাঁরা ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা এগুলো যাচাই বাছাই না করেই বিদেশী দেখেই তাদের প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছেন। আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, এভাবে যাকে তাকে প্রবেশ করার অনুমতি দিলে যে কোন সময় বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে। এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি আসামিপক্ষের লবিংয়েরই একটি অংশ। বিদেশ থেকে তাদের এনে দেখানো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে জামায়াত দেশে-বিদেশে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে। তারা বিদেশে থেকেও নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। ২০১১ সালের ১৫ নবেম্বর চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ এমন একটি বিষয় ট্রাইব্যুনালের নজরে এনেছিলেন। যাঁরা বিদেশে জামায়াতের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দেন তারই অংশ হিসেবে সেই তিন বিদেশী আইনজীবী স্টিভেন কে, টোবি ক্যাডম্যান ও জন ক্যামেগ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হককের অপসারণ চেয়ে তার কাছেই ই-মেইল করেন। এ বিষয়টি চীফ প্রসিকিউটর গোলম আরিফ টিপু ট্রাইব্যুনালের নজরে আনেন। ট্রাইব্যুনাল এর বিরুদ্ধে আদেশ দিয়েছেন। এটা তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ। এ বিষয়টি লন্ডনের বার স্ট্যান্ডার্ড বোর্ডের নজরে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ব্যারিস্টার মেজবাহউদ্দিন আহম্মেদকে নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ডেপুটি রেজিস্ট্রার ব্যারিস্টার মেজবাহউদ্দিন আহেম্মেদ তাদের কাছে চিঠি পাঠান।
তাদের এ দেশে এসে আসামি পক্ষে আইনী লড়াই চালানোর আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনে কোন বিদেশী আইনজীবীকে আইনী লড়াইয়ের অনুমতি দেয়া হয না। আইনে এটি নেই। সে কারণেই ঐ তিন আইনজীবী বিদেশে থেকেই আসামি পক্ষের আইনজীবীদের নানামুখী শলাপরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে স্কাইপের মাধ্যমে কথোপকথন হ্যাকিং করার বিষয় নিয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী তিনটি মামলা রি-ট্রায়ালের আবেদন করেছে। ইতোমধ্যে গোলাম আযমের মামলার রি- ট্রায়ালের শুনানি শুরু হয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে। এর বাইরেও তাদের নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বিচারকাজকে বাধাগ্রস্ত ও বিলম্বিত করাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। পাশাপাশি এখন পর্যবেক্ষকের ছদ্মাবরণে তুরস্কের আইনজীবী প্রতিনিধি দল নিয়ে এসেছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
No comments