রমনায় বাংলার ঐতিহ্য by খাদিজা ফাল্গুনী
এ যেন মেলা নয়, পুরো বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়া। ২১ ডিসেম্বর ঢাকার রমনা পার্কে আসা প্রতিটি মানুষের মনে এই দোল লেগেছিল নিশ্চয়ই। বাংলালিংকের আয়োজনে ও প্রথম আলোর সহযোগিতায় ‘বাংলালিংক বাংলাদেশ উৎসব’-এ ফুটে উঠেছিল পুরো বাংলাদেশের প্রকৃত আমেজ ও স্বাদ।
আমেজের কথা বললে বলতে হবে, তিনটি মঞ্চে আয়োজিত কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ফকির লালন শাহ থেকে শুরু করে দেশজ ঐতিহ্যবাহী গান ভাওয়াইয়া, গম্ভীরার কথা। আর স্বাদের কথা বললে মনে করতেই হবে শীতের পিঠার আয়োজনের কথা। ‘শীতের বিকেলে রমনার সবুজ ঘাসে বসে শীতের পিঠা—আহ্, এ যেন ছেলেবেলা ফিরে পাওয়া!’ এভাবেই বলছিলেন মগবাজার থেকে আসা সাদমান রহমান। তাঁর মেয়ে সামিয়া অবশ্য ছুটে যেতে চাইছিল গরুর গাড়ি ও পালকিতে চড়তে।
বইয়ে পড়া কুমারের মাটির হাঁড়ি, কামারের হাপরের বাতাসে জ্বলে ওঠা কয়লা—শিশুদের কাছে সবই সত্যি হয়ে উঠেছিল সেদিন। মায়ের সঙ্গে বেড়াতে আসা আবির মজা পেয়েছে বাঁদরের খেলা দেখেও। সে বলল, ‘বায়োস্কোপ দেখতে পারিনি ভিড়ের কারণে, এখানের ভিড় তো আরও বেশি। তবে মজা পাচ্ছি খুব।’ মজা পেয়ে গাছেও চড়ে থাকতে দেখা গেছে অনেককে। তাদের ছাড়িয়ে হাঁটছিলেন রণ-পা পরা দাদু, তাঁকে ফেলে তাঁর দুই পায়ের নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেই বেশি আগ্রহ দেখা গেল দর্শকের। যাঁরা অতি উৎসাহী, তাঁরা ছুটে যাচ্ছিলেন জব্বরের বলী খেলা দেখতে। যাঁরা একটু শান্ত প্রকৃতির, তাঁরা বসেছিলেন লেকের পাড়ে। সেখানে বাইচের নৌকার সঙ্গে ভাসছিল এর ইতিহাস। কেউ বা হাতভরে কিনছিলেন রেশমি চুড়ি, কেউ বা বই।
অনেকেই খুঁজে নিচ্ছিলেন প্রথম আলোর স্টল। সেখানে বোর্ডে রাখা রঙিন কাগজে লিখে দিচ্ছিলেন দেশকে নিয়ে তাঁদের ভাবনা ও ভালোবাসার কথা। কচি হাতে সেখানে রাব্বি লিখেছে: ‘বাংলা তুমি ৩০ লাখ শহীদের আত্মা।’ ইরানা লিখেছে: ‘হূদয়টা আজ গর্বিত, জন্মেছি এই দেশে।’ বিকেলে সংবর্ধনা দেওয়া হয় দেশের নানা কোণে ছড়িয়ে থাকা ১০টি দেশজ ঐতিহ্যের পৃষ্ঠপোষক ১০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। বাংলালিংকের জনসংযোগ ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘ধন্যবাদ বাংলাদেশের মানুষকে, যাঁরা আজ শিকড়ের সন্ধানে ছুটে এসেছেন। আমরা প্রতিবছর এই আয়োজন করতে চাই।’ শেষ বেলা কনসার্টের তালে তালে বারবার মনে পড়ে যাচ্ছিল বাবার সঙ্গে হুইলচেয়ারে চেপে মেলা দেখতে আসা অ্যাঞ্জেলিনার কথা। তিনি বলেছিলেন, ‘চিকিৎসার জন্য অনেক দেশ ঘুরেছি, তবু বাংলাদেশই সবচেয়ে সুন্দর। এখানেই থাকতে চাই সারা জীবন।’
বইয়ে পড়া কুমারের মাটির হাঁড়ি, কামারের হাপরের বাতাসে জ্বলে ওঠা কয়লা—শিশুদের কাছে সবই সত্যি হয়ে উঠেছিল সেদিন। মায়ের সঙ্গে বেড়াতে আসা আবির মজা পেয়েছে বাঁদরের খেলা দেখেও। সে বলল, ‘বায়োস্কোপ দেখতে পারিনি ভিড়ের কারণে, এখানের ভিড় তো আরও বেশি। তবে মজা পাচ্ছি খুব।’ মজা পেয়ে গাছেও চড়ে থাকতে দেখা গেছে অনেককে। তাদের ছাড়িয়ে হাঁটছিলেন রণ-পা পরা দাদু, তাঁকে ফেলে তাঁর দুই পায়ের নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেই বেশি আগ্রহ দেখা গেল দর্শকের। যাঁরা অতি উৎসাহী, তাঁরা ছুটে যাচ্ছিলেন জব্বরের বলী খেলা দেখতে। যাঁরা একটু শান্ত প্রকৃতির, তাঁরা বসেছিলেন লেকের পাড়ে। সেখানে বাইচের নৌকার সঙ্গে ভাসছিল এর ইতিহাস। কেউ বা হাতভরে কিনছিলেন রেশমি চুড়ি, কেউ বা বই।
অনেকেই খুঁজে নিচ্ছিলেন প্রথম আলোর স্টল। সেখানে বোর্ডে রাখা রঙিন কাগজে লিখে দিচ্ছিলেন দেশকে নিয়ে তাঁদের ভাবনা ও ভালোবাসার কথা। কচি হাতে সেখানে রাব্বি লিখেছে: ‘বাংলা তুমি ৩০ লাখ শহীদের আত্মা।’ ইরানা লিখেছে: ‘হূদয়টা আজ গর্বিত, জন্মেছি এই দেশে।’ বিকেলে সংবর্ধনা দেওয়া হয় দেশের নানা কোণে ছড়িয়ে থাকা ১০টি দেশজ ঐতিহ্যের পৃষ্ঠপোষক ১০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। বাংলালিংকের জনসংযোগ ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘ধন্যবাদ বাংলাদেশের মানুষকে, যাঁরা আজ শিকড়ের সন্ধানে ছুটে এসেছেন। আমরা প্রতিবছর এই আয়োজন করতে চাই।’ শেষ বেলা কনসার্টের তালে তালে বারবার মনে পড়ে যাচ্ছিল বাবার সঙ্গে হুইলচেয়ারে চেপে মেলা দেখতে আসা অ্যাঞ্জেলিনার কথা। তিনি বলেছিলেন, ‘চিকিৎসার জন্য অনেক দেশ ঘুরেছি, তবু বাংলাদেশই সবচেয়ে সুন্দর। এখানেই থাকতে চাই সারা জীবন।’
No comments