বিজয়মঞ্চ লোকারণ্য, যুদ্ধাপরাধী প্রতিহত করার অঙ্গীকার
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনের সামনে স্থাপিত
আওয়ামী লীগের ‘বিজয়মঞ্চ’ লোকে-লোকারণ্য। মিছিল আর স্লোগানকে সঙ্গী করে
এখানে জনতার জোয়ার নেমেছিল সোমবার।
হাজারো কণ্ঠে আবারও জনতার ঘোষণা
ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিহত করার।
তাঁতী লীগের আয়োজনে এদিন মঞ্চের অনুষ্ঠানে মিছিল নিয়ে আসেন আওয়ামী লীগ,
যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন থানা এবং ওয়ার্ড শাখার
নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মঞ্চের প্যান্ডেলের নিচে তিল ধারণের
জায়গা হচ্ছিল না। জামায়াত-শিবির বিরোধী মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত ছিল
অনুষ্ঠানস্থল।
আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, বাংলার মানুষ যতদিন শিখা চিরন্তনকে ধারণ করে রাখতে পারবে ততদিন এদেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র সফল হতে পারবে না। একাত্তরের বিজয় জনমানুষের সত্যিকারের বিজয়ে পরিণত হবে সেদিনই যেদিন মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে উৎখাত করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, একাত্তরের রাজাকার, আলবদরদের আমরা কোন বিচার চাই না। তারা ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলার মানুষের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বর্বরতার স্বাদ নিয়েছিল। সে স্বাদ নেয়া গোলাম আযম, সাকা চৌধুরীর মতো পশুদের আমরা হত্যা করতে চাই। বিচার-ফাঁসি কোন কিছুর প্রয়োজন নেই, একাত্তরে তারা যদি আমাদের সামনে পেত তাহলে তারা আমাদের হত্যা করত। আমরাও তাদের পেলে জামাই আদর করতাম না। তারা সেদিন মানুষ হত্যা করেছিল, আমরা সেসব পশুকে আমাদের সামনে পেলে হত্যা করতে চাই।
তিনি আগামী নির্বাচন নিয়ে দুই নেত্রীর সংলাপ প্রসঙ্গে বলেন, শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া কখনও এক সঙ্গে বসতে পারেন না। তাঁদের দুইজনের কোন তুলনা করা চলে না। একজন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, আরেকজন খুনীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, জনগণের পক্ষের, মানবতার পক্ষের। খুনীদের সঙ্গে কোন সংলাপ করতে চাইলে জনগণই বেড়া দিয়ে সরকারকে রুখবে।
তিনি বলেন, মুয়াজ্জিন যেমন আযানের ধ্বনিতে বান্দাদের আল্লাহর পথে ডাকেন, তেমনি আমিও প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে অনুরোধ করি, সকল বিরোধ, সকল স্বার্থ ত্যাগ করে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে ঐক্যবদ্ধ হই।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। এখন জনগণের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে ঐক্যের। ঐক্যবদ্ধভাবেই বিচার বানচালের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে।
তাঁতী লীগের আহ্বায়ক এনাজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, তহুরা আলী, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নূরজাহান বেগম মুক্তা।
আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, বাংলার মানুষ যতদিন শিখা চিরন্তনকে ধারণ করে রাখতে পারবে ততদিন এদেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র সফল হতে পারবে না। একাত্তরের বিজয় জনমানুষের সত্যিকারের বিজয়ে পরিণত হবে সেদিনই যেদিন মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে উৎখাত করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, একাত্তরের রাজাকার, আলবদরদের আমরা কোন বিচার চাই না। তারা ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলার মানুষের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বর্বরতার স্বাদ নিয়েছিল। সে স্বাদ নেয়া গোলাম আযম, সাকা চৌধুরীর মতো পশুদের আমরা হত্যা করতে চাই। বিচার-ফাঁসি কোন কিছুর প্রয়োজন নেই, একাত্তরে তারা যদি আমাদের সামনে পেত তাহলে তারা আমাদের হত্যা করত। আমরাও তাদের পেলে জামাই আদর করতাম না। তারা সেদিন মানুষ হত্যা করেছিল, আমরা সেসব পশুকে আমাদের সামনে পেলে হত্যা করতে চাই।
তিনি আগামী নির্বাচন নিয়ে দুই নেত্রীর সংলাপ প্রসঙ্গে বলেন, শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া কখনও এক সঙ্গে বসতে পারেন না। তাঁদের দুইজনের কোন তুলনা করা চলে না। একজন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, আরেকজন খুনীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, জনগণের পক্ষের, মানবতার পক্ষের। খুনীদের সঙ্গে কোন সংলাপ করতে চাইলে জনগণই বেড়া দিয়ে সরকারকে রুখবে।
তিনি বলেন, মুয়াজ্জিন যেমন আযানের ধ্বনিতে বান্দাদের আল্লাহর পথে ডাকেন, তেমনি আমিও প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে অনুরোধ করি, সকল বিরোধ, সকল স্বার্থ ত্যাগ করে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে ঐক্যবদ্ধ হই।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। এখন জনগণের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে ঐক্যের। ঐক্যবদ্ধভাবেই বিচার বানচালের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে।
তাঁতী লীগের আহ্বায়ক এনাজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, তহুরা আলী, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নূরজাহান বেগম মুক্তা।
No comments