সুস্থ ত্বকের জন্য করণীয় চান যদি সুস্থ ত্বক
একটি পরিপূর্ণ সুস্থ ত্বক যেমনি নিজেকে আনন্দ দেয় তেমনি অন্যকেও আনন্দমুখর করে তোলে। আপনি আপনার ত্বক নিয়ে যদি গর্বিত হতে চান কিংবা চান অন্যের দৃষ্টি আপনার দিকে কেড়ে নিতে, তাহলে আপনাকে বেশ কিছু তথ্য জেনে নিতে হবে।
এতে আপনি একটি গর্বিত ত্বকের অধিকারী হতে পারবেন। যা দিয়ে অনায়াসেই অন্যের দৃষ্টি আপনার দিকে কেড়ে নিতেও পারবেন।খাদ্য : আপনার প্রতিদিনের খাদ্য হতে হবে সুষম ও সহজে হজমযোগ্য। প্রতিদিনের খাবারে থাকতে হবে কিছু পরিমাণ মাংস, ডিম, দুধ, বাটার, ভেজিটেবল ও ফল। মসলা, চা, কফি, এ্যালকোহল ইত্যাদি প্রতিদিনের তালিকায় যতটা কম রাখা যায় ততই ভাল। মনে রাখবেন বেশি খেলে মোটা হবেন, আর মোটা হলে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
কাপড় : খুব টাইট ফিটিং ও নাইলন জাতীয় কাপড়ের ব্যবহার পরিহার করাই শ্রেয়। অন্তত গ্রীষ্মকালে তো বটেই। ঢিলাঢালা, নরম সুতি কাপড় ব্যবহার করাটাই উত্তম। নাইলন জাতীয় কাপড় শরীর থেকে ঘাম উৎপাদন ও বাষ্পীয়করণের স্বাভাবিক ব্যবস্থাকে প্রতিহত করে। তাই তা পরিহার করাটাই শ্রেয়।
গোসল : গ্রীষ্মপ্রধান দেশে প্রতিদিন অন্তত একবার পরিষ্কার ও স্বাভাবিক ঠাণ্ডা জল দিয়ে গোসল করাটা খুবই জরুরী। শীতকালে উষ্ণ জল দিয়ে প্রতিদিন অন্তত কয়েকবার গোসল করাটাই উত্তম। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে দেহের ভাঁজযুক্ত ত্বক, পায়ের তালু ও গোপন স্থানের ত্বক ভাল করে ঘষে ধুতে যেন ভুলে না যাই।
সাবান : সব সময় কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করাই ভাল। তৈলাক্ত ত্বকে, শুষ্ক ত্বকের চেয়ে বেশি সাবান ব্যবহার প্রয়োজন। যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের ক্ষেত্রে সুপার চর্বিযুক্ত সাবান বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত।
তেল : ত্বককে উজ্জ্বলতা দেয়। ত্বকের শুষ্কতা রোধে তৈলের কোন বিকল্প নেই। বিশেষ করে শীতকালে ত্বকে তৈল ব্যবহার না করলে ত্বক পানি ধরে রাখতে পারে না। ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পানিকে বায়ুম-ল শীতকালে অনায়াসেই শুষে নিয়ে যায়। সেই শুষে নেয়াকে একমাত্র তৈলই প্রতিরোধ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে নারিকেল, মাস্টারড ও অলিভ অয়েলই সাধারণভাবে বেশি ব্যবহার করা হয়। শীতকালে শুতে যাওয়ার পূর্বে ভেসলিন, ল্যানোলিন কিংবা মিল্ক ক্রিম ত্বকে মাখলে ত্বক ঝসড়ড়ঃয বা ফ্রেশ থাকে।
সূর্যরশ্মি : ত্বকের জন্য কিছুটা সূর্যরশ্মির প্রয়োজন রয়েছে বটে, তবে অতিরিক্ত পরিমাণ তাপ ও সূর্যরশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। তাই সে ক্ষেত্রে সানস্ক্রিন, সোলার হ্যাট কিংবা অন্তত একটি ছাতা ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত উত্তাপ বা গরম এড়াতে না পারলে ত্বক ভাল রাখা যাবে না। তাই সে ক্ষেত্রে একটি এয়ারকুলার আপনার ত্বকের চাহিদা মেটাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রতিবেদক
No comments