বাম মোর্চার সমাবেশে ঘোষণা- বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়লে ৩০ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় ঘেরাও
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম আবারও বাড়ানো হলে ৩০ ডিসেম্বর জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করবে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা।
গতকাল সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ, তাজরীন ফ্যাশনসে শ্রমিক গণহত্যার জন্য মালিকসহ সংশ্ল্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারসহ সাত দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সমাবেশে বলা হয়, প্রয়োজনে এ দাবিতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।গতকাল সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকার দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে লুটপাট করেছে। এর দায় মেটাতে ছয়বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। আইএমএফের নির্দেশে বারবার গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। ফলে দ্রব্যমূল্য, পরিবহন ব্যয়সহ জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। বক্তারা সরকারের এ ধরনের গণবিরোধী তৎপরতা যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
বাম নেতারা তাজরীন ফ্যাশনসে শ্রমিক নিহতের বিষয়ে সরকারি তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেন। তাঁরা বলেন, এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী। এতে দায়সারাভাবে ঘটনার বিষয়ে নানা পক্ষকে দোষারোপ করে মালিক ও রাষ্ট্রের দায় আড়াল করা হয়েছে।
মোর্চার সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টির (পুনর্গঠিত) সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার, বাম নেতা নজরুল ইসলাম, হামিদুল হক, মহিনউদ্দীন চৌধুরী, আবদুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পাঠকের মন্তব্য
No comments