হলমার্কের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিতেন আটক দুই ডিজিএম- ৩ জন ১২ দিনের রিমান্ডে
সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে হলমার্ক গ্রুপের অর্থ আত্মাসাত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ব্যাংকটির দুই ডিজিএম। তাঁরা এলসি ও ইনল্যান্ড বিল পারসেজ (আইবিপি) সকল তথ্য গোপন করে রাখতেন।
বিনিময়ে হলমার্ক গ্রুপের এমডি তানভীরের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নিতেন। এ ক্ষেত্রে জিএম মহিদুর রহমানের ভূমিকাও ছিল রহস্যময়। দুদকের তদন্তে এসব তথ্য বের হয়ে আসে।
সোমবার দুদকের হাতে গ্রেফতার হওয়া সোনালী ব্যাংকের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থায়ন বিভাগের ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন এবং সফিক উদ্দিন আহমেদ ও জিএম মীর মহিদুর রহমানের দুই মামলায় ১২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
গত ৪ অক্টোবর হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ ও সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও ডিজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) একেএম আজিজুর রহমানকে আসামি করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। ২৭ জনের মধ্যে হলমার্ক গ্রুপের সাতজন এবং সোনালী ব্যাংকের ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি তানভীর ও তুষার মিরপুর থেকে ৭ নবেম্বর গ্রেফতার হন। ১৪ অক্টোবর রমনা এলাকা থেকে গ্রেফতার হন আজিজুর চারদিন পর ১৮ নবেম্বর মানিকগঞ্জ থেকে তানভীরের স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে র্যাব ও দুদকের বিশেষ টিম গ্রেফতার করে। এ চার আসামি রিমান্ড শেষে এ মুহূর্তে কারাগারে রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে তানভীর, তুষার ও আজিজ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
অপর ২১ আসামিকে গ্রেফতার করতে দুদকের অভিযান অব্যাহত রাখে। সর্বশেষ রবিবার সন্ধ্যায় রমনা এলাকা থেকে সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মীর মহিদুর রহমান (ওএসডি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাব হোসেন ও সফিজউদ্দিন আহমেদকে (সাময়িক বরখাস্ত) গ্রেফতার করে দুদক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা ছাড়া দুদক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাদের রমনা থানার হেফাজতে রাখা হয়। সোমবার তাদের থানা থেকে নেয়া হয় আদালতে। আদালতে এনে ৭ দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে দুদক। এ সময় আসামি পক্ষ রিমান্ডের বিরোধীতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মোস্তাফিজুর রহমান একটি মামলায় ৬ দিন করে দুটি মামলায় তিন জনের ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর তাদের নিয়ে আসা হয় সেগুনবাগিচা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে। সাড়ে ৩টায় তাদের ঢোকানো হয় জিজ্ঞাসাবাদ সেলে। জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা। এর আগে যে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাদের কাছ থেকে পাওয়া ক্লু ধরে এ তিনজনকে প্রশ্ন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তদন্ত সূত্র জানায়, পূর্বে হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান এমডি, জিএম ও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা আজিজুর রহমান দুদকের কাছে স্বীকার করে যান। তারা বিধি লঙ্ঘন করে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে নেয়ার পিছনে বেশি সহযোগিতা করেন শেখ আলতাফ হোসেন এবং সফিক উদ্দিন আহমেদ। ব্যাংকটির কাছ থেকে হলমার্ক গ্রুপ টাকা নেয়ার পর ওই ফাইল সরিয়ে ফেলতেন এ দুইজন। যার কারণে পুনরায় আরেকটি প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা নেয়ার সময় আগের রেকর্ড খুঁজে পাওয়া যেত না। অডিট করতে এসেও হলমার্ক গ্রুপের নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যেত না। যাতে করে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিতে সক্ষম হয় হলমার্ক গ্রুপ। এ কাজটির জন্য হলমার্ক গ্রুপ থেকে এককালীন মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার পাশাপাশি এ দুইজনকে প্রত্যেক মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিত হলমার্ক গ্রুপ। দুই ডিজিএম এর সঙ্গে আটক জিএম মীর মহিদুর রহমান তখন ছিলেন সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখার দায়িত্বে। তিনি সততার সঙ্গে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে হলমার্ক কেলেঙ্কারি ঠেকানো যেত। কিন্তু রহস্যময় কারণে তিনি যথাযথ দায়িত্ব পালন করেননি। এ বিষয়ে সোমবার দুদকের এ সংক্রান্ত তদন্ত কর্মকর্তা মীর জয়নুল আবদীন শিবলী সাংবাদিকদের বলেন, উপমহাব্যবস্থাপক সফিজউদ্দিন ও আলতাফ সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের সময় হলমার্ক গ্রুপের এলসি ও আইবিপি (ইনল্যান্ড বিল পার্চেজ) সংক্রান্ত সব তথ্য ধামাচাপা দিতেন। অবৈধ অর্থ গ্রহণ করে তারা এ কাজ করতেন বলে আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে হলমার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাত করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে পরিশোধিত (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের ছয়জন কর্মকর্তা বাদী হয়ে ১১টি মামলা করেন।
সোমবার দুদকের হাতে গ্রেফতার হওয়া সোনালী ব্যাংকের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থায়ন বিভাগের ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন এবং সফিক উদ্দিন আহমেদ ও জিএম মীর মহিদুর রহমানের দুই মামলায় ১২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
গত ৪ অক্টোবর হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ ও সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও ডিজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) একেএম আজিজুর রহমানকে আসামি করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। ২৭ জনের মধ্যে হলমার্ক গ্রুপের সাতজন এবং সোনালী ব্যাংকের ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি তানভীর ও তুষার মিরপুর থেকে ৭ নবেম্বর গ্রেফতার হন। ১৪ অক্টোবর রমনা এলাকা থেকে গ্রেফতার হন আজিজুর চারদিন পর ১৮ নবেম্বর মানিকগঞ্জ থেকে তানভীরের স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে র্যাব ও দুদকের বিশেষ টিম গ্রেফতার করে। এ চার আসামি রিমান্ড শেষে এ মুহূর্তে কারাগারে রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে তানভীর, তুষার ও আজিজ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
অপর ২১ আসামিকে গ্রেফতার করতে দুদকের অভিযান অব্যাহত রাখে। সর্বশেষ রবিবার সন্ধ্যায় রমনা এলাকা থেকে সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মীর মহিদুর রহমান (ওএসডি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাব হোসেন ও সফিজউদ্দিন আহমেদকে (সাময়িক বরখাস্ত) গ্রেফতার করে দুদক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা ছাড়া দুদক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাদের রমনা থানার হেফাজতে রাখা হয়। সোমবার তাদের থানা থেকে নেয়া হয় আদালতে। আদালতে এনে ৭ দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে দুদক। এ সময় আসামি পক্ষ রিমান্ডের বিরোধীতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মোস্তাফিজুর রহমান একটি মামলায় ৬ দিন করে দুটি মামলায় তিন জনের ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর তাদের নিয়ে আসা হয় সেগুনবাগিচা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে। সাড়ে ৩টায় তাদের ঢোকানো হয় জিজ্ঞাসাবাদ সেলে। জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা। এর আগে যে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাদের কাছ থেকে পাওয়া ক্লু ধরে এ তিনজনকে প্রশ্ন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তদন্ত সূত্র জানায়, পূর্বে হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান এমডি, জিএম ও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা আজিজুর রহমান দুদকের কাছে স্বীকার করে যান। তারা বিধি লঙ্ঘন করে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে নেয়ার পিছনে বেশি সহযোগিতা করেন শেখ আলতাফ হোসেন এবং সফিক উদ্দিন আহমেদ। ব্যাংকটির কাছ থেকে হলমার্ক গ্রুপ টাকা নেয়ার পর ওই ফাইল সরিয়ে ফেলতেন এ দুইজন। যার কারণে পুনরায় আরেকটি প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা নেয়ার সময় আগের রেকর্ড খুঁজে পাওয়া যেত না। অডিট করতে এসেও হলমার্ক গ্রুপের নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যেত না। যাতে করে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিতে সক্ষম হয় হলমার্ক গ্রুপ। এ কাজটির জন্য হলমার্ক গ্রুপ থেকে এককালীন মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার পাশাপাশি এ দুইজনকে প্রত্যেক মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিত হলমার্ক গ্রুপ। দুই ডিজিএম এর সঙ্গে আটক জিএম মীর মহিদুর রহমান তখন ছিলেন সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখার দায়িত্বে। তিনি সততার সঙ্গে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে হলমার্ক কেলেঙ্কারি ঠেকানো যেত। কিন্তু রহস্যময় কারণে তিনি যথাযথ দায়িত্ব পালন করেননি। এ বিষয়ে সোমবার দুদকের এ সংক্রান্ত তদন্ত কর্মকর্তা মীর জয়নুল আবদীন শিবলী সাংবাদিকদের বলেন, উপমহাব্যবস্থাপক সফিজউদ্দিন ও আলতাফ সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের সময় হলমার্ক গ্রুপের এলসি ও আইবিপি (ইনল্যান্ড বিল পার্চেজ) সংক্রান্ত সব তথ্য ধামাচাপা দিতেন। অবৈধ অর্থ গ্রহণ করে তারা এ কাজ করতেন বলে আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে হলমার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাত করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে পরিশোধিত (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের ছয়জন কর্মকর্তা বাদী হয়ে ১১টি মামলা করেন।
No comments