লগি বৈঠা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই না
বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া এ কথা বলেন।
দেশের আইনশৃঙ্খলা এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি চোখ বন্ধ করে রাখেন, নাকি উটপাখির মতো চোখ বন্ধ করে ঘুমান।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি কর্মসূচি দিয়েছে। অনেকে বলছেন, এ কেমন কর্মসূচি। আমি বলব, আমরা আওয়ামী লীগের মতো লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ পিটিয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় যেতে চাই না।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, বিকল্প কোনো পন্থায় নির্বাচন হবে না। সংসদ থাকবে, সাংসদেরা থাকবেন, মন্ত্রীরা থাকবেন, এমন অবস্থায় কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। সেই নির্বাচন হলে বিএনপি তাতে অংশ নেবে না। নির্বাচন হতে দেবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যতই বলুক না কেন, তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করেছিল বিএনপি কঠোর কর্মসূচি দেবে। আর সরকারি দল রাস্তায় মারামারি করে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দেবে। এটা হবে না। তিনি বলেন, দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। সবখানে দলীয়করণ। মেধার কোনো গুরুত্ব নেই। সরকারি দলের কর্মী-সমর্থকেরাই কেবল চাকরি-ব্যবসার সুযোগ পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দুর্নীতি করছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে ভাষায় কথা বলবে, আমরা সেই ভাষায় জবাব দেব। সেভাবে প্রস্তুতি নিতে তিনি সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গত ১৯ আগস্ট। কিন্তু ঈদের কারণে বিলম্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান। আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এলডিপি সভাপতি অলি আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
No comments