সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ন্যামের অবস্থানকে সমর্থন করি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনকে (ন্যাম) আরও শক্তিশালী, কার্যকর ও ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ন্যামের প্রতিষ্ঠাতারা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সর্বোচ্চ সমতা, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের নেতাদেরকে ন্যামের সামগ্রিক অঙ্গীকারের মূলনীতি বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
আজ তেহরানের ওআইসি সম্মেলন কেন্দ্রে ন্যাম সম্মেলনের মূল অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত না করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ন্যামের অবস্থানকে আমরা সমর্থন করি এবং এই সমস্যার মূলোত্পাটনে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’ এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড ও ২০০৪ সালে তাঁর প্রাণহানির অপচেষ্টার কথা উল্লে¬খ করে বলেন, সন্ত্রাসবাদের মতো অপরাধমূলক কাজে রাষ্ট্রীয় শক্তির মদদ বন্ধ করতে হবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আল কুদস আল শরিফকে রাজধানী করে একটি সার্বভৌম ও স্থিতিশীল ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যামের দাবির প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ষাটের দশকে ন্যামের কর্মকাণ্ড ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান এবং উপনিবেশভুক্ত দেশগুলোর স্বাধীনতার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। অপরদিকে আজ গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও জলবায়ু বিপর্যয়ের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিবর্তিত জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ন্যামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে বলে তিনি উল্লে¬খ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ন্যামের প্রতি অভিন্ন ও পৃথক দায়দায়িত্বের নীতির ভিত্তিতে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজন এবং সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তরে জলবায়ু তহবিল গঠনের জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের ১৬তম শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে সংস্থার সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি জোটের বিদায়ী চেয়ারপারসনকেও ধন্যবাদ জানান।
No comments