প্রশ্নোত্তর
ইসলাম ও সমাজ পাতায় প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। নাম-ঠিকানাসহ আপনার প্রশ্ন পাঠাতে পারেন এই ঠিকানায়_ইসলাম ও সমাজ, দৈনিক সমকাল, ১৩৬ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
imlamosomaj@gmail.com
ষ মোঃ শাহরিয়ার ইসলাম, ঝিগাতলা, ধানমণ্ডি, ঢাকা
প্রশ্ন : ইমাম সাহেবের আগে কিছু মুসলিল্গ রুকু এবং সেজদায় চলে যায়। ইমামের আগে মোক্তাদি রুকু, সেজদায় গেলে নামাজ শুদ্ধ হবে কিনা?
উত্তর : ইকতিদা সহিহ হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে এই যে, ইমামের আগে কিছু করবে না। যে মুক্তাদি ইমামের পূর্বেই রুকু সিজদা করে তার ইকতিদা সহিহ হয় না। আর ইকতিদা সহিহ না হলে নামাজও হয় না। মুক্তাদির রুকু, সিজদা, দাঁড়ানো এবং বসা ইমামের সঙ্গে সঙ্গে হওয়া উচিত। শর্ত হচ্ছে, ইমাম শুরু করার পর মুক্তাদি শুরু করবে। ইমামের আগে আগে যেন না হয়।
ষ আমান উল্লাহ, কর্নেল হাট, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন : তাহাজ্জুদের নামাজ কি ফজরের নামাজের আজানের পর পড়া যাবে?
উত্তর : তাহাজ্জুদ নামাজের ওয়াক্ত ফজরের নামাজের ওয়াক্তের আগ পর্যন্ত থাকে। ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেলে আর তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যাবে না।
ষ মোঃ জহুরুল আলম, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট
প্রশ্ন : আমাদের এলাকার মাদ্রাসার হুজুররা দরিদ্র ছেলেদের লেখাপড়ার খরচের কথা বলে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মৌসুমি ফসল, টাকা এবং কোরবানির সময় পশুর চামড়া ইত্যাদি সংগ্রহ করে থাকে; এগুলো কি ইসলামসম্মত?
উত্তর : হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) সময় তিনি দ্বীনের প্রয়োজনে মানুষের সহযোগিতা নিতেন এবং লোকেরা আল্লাহর রাস্তায় দ্বীন ইসলামের জন্য খরচ করত; এটা হচ্ছে ইবাদতবিশেষ। আর এই ইবাদতের পদ্ধতি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কৌশলে হতে পারে। এ কৌশলগুলো ইসলাম নিষেধ করেনি। সুতরাং হুজুররা মানুষের কাছ থেকে যে সহযোগিতা নিচ্ছেন, এটা ইসলামসম্মত। এখানে যদি তারা বাড়াবাড়ি না করেন তাহলে এতে কোনো সমস্যা নেই। সত্যিকার অর্থে সর্বসাধারণের সহযোগিতায় এসব দ্বীনি প্রতিষ্ঠান চলছে। মুসলমানদের উচিত এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখা।
ষ মোঃ ওসমান গনি, বকুলতলা, সদর, জামালপুর
প্রশ্ন : এক ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। কিন্তু সুদ, ঘুষ সবই খান, এতে কি তার নামাজ হবে?
উত্তর : নামাজের নিয়মকানুন সঠিকভাবে পালন করে নামাজ পড়লে তার নামাজ হবে। নামাজের সঙ্গে সুদ-ঘুষের অনুগামিতার কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো পাপ কাজ করলে গুনাহ হবে এটাই নিয়ম। সুতরাং তিনি এসবে লিপ্ত হয়ে পাপে নিমজ্জিত এটা নিশ্চিত।
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি এনায়েতুল্লাহ
ষ মোঃ শাহরিয়ার ইসলাম, ঝিগাতলা, ধানমণ্ডি, ঢাকা
প্রশ্ন : ইমাম সাহেবের আগে কিছু মুসলিল্গ রুকু এবং সেজদায় চলে যায়। ইমামের আগে মোক্তাদি রুকু, সেজদায় গেলে নামাজ শুদ্ধ হবে কিনা?
উত্তর : ইকতিদা সহিহ হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে এই যে, ইমামের আগে কিছু করবে না। যে মুক্তাদি ইমামের পূর্বেই রুকু সিজদা করে তার ইকতিদা সহিহ হয় না। আর ইকতিদা সহিহ না হলে নামাজও হয় না। মুক্তাদির রুকু, সিজদা, দাঁড়ানো এবং বসা ইমামের সঙ্গে সঙ্গে হওয়া উচিত। শর্ত হচ্ছে, ইমাম শুরু করার পর মুক্তাদি শুরু করবে। ইমামের আগে আগে যেন না হয়।
ষ আমান উল্লাহ, কর্নেল হাট, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন : তাহাজ্জুদের নামাজ কি ফজরের নামাজের আজানের পর পড়া যাবে?
উত্তর : তাহাজ্জুদ নামাজের ওয়াক্ত ফজরের নামাজের ওয়াক্তের আগ পর্যন্ত থাকে। ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেলে আর তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যাবে না।
ষ মোঃ জহুরুল আলম, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট
প্রশ্ন : আমাদের এলাকার মাদ্রাসার হুজুররা দরিদ্র ছেলেদের লেখাপড়ার খরচের কথা বলে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মৌসুমি ফসল, টাকা এবং কোরবানির সময় পশুর চামড়া ইত্যাদি সংগ্রহ করে থাকে; এগুলো কি ইসলামসম্মত?
উত্তর : হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) সময় তিনি দ্বীনের প্রয়োজনে মানুষের সহযোগিতা নিতেন এবং লোকেরা আল্লাহর রাস্তায় দ্বীন ইসলামের জন্য খরচ করত; এটা হচ্ছে ইবাদতবিশেষ। আর এই ইবাদতের পদ্ধতি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কৌশলে হতে পারে। এ কৌশলগুলো ইসলাম নিষেধ করেনি। সুতরাং হুজুররা মানুষের কাছ থেকে যে সহযোগিতা নিচ্ছেন, এটা ইসলামসম্মত। এখানে যদি তারা বাড়াবাড়ি না করেন তাহলে এতে কোনো সমস্যা নেই। সত্যিকার অর্থে সর্বসাধারণের সহযোগিতায় এসব দ্বীনি প্রতিষ্ঠান চলছে। মুসলমানদের উচিত এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখা।
ষ মোঃ ওসমান গনি, বকুলতলা, সদর, জামালপুর
প্রশ্ন : এক ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। কিন্তু সুদ, ঘুষ সবই খান, এতে কি তার নামাজ হবে?
উত্তর : নামাজের নিয়মকানুন সঠিকভাবে পালন করে নামাজ পড়লে তার নামাজ হবে। নামাজের সঙ্গে সুদ-ঘুষের অনুগামিতার কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো পাপ কাজ করলে গুনাহ হবে এটাই নিয়ম। সুতরাং তিনি এসবে লিপ্ত হয়ে পাপে নিমজ্জিত এটা নিশ্চিত।
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি এনায়েতুল্লাহ
No comments