ছাত্র নিহত এবং ৬০ যান খতম
বেপরোয়া গতির বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, কিছুদিন পর পরই একই স্থানে ঘটছে এ ধরনের বিয়োগান্তক ঘটনা। প্রতিকারহীনভাবে সবকিছু চলায় এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো যাচ্ছে না।
এর ফলে দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনাপরবর্তী জটিলতায় মানুষজনের ভোগান্তির কোন সীমা-পরিসীমা থাকছে না।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মডেল থানাধীন শাহবাগ মোড়ে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে। রাজধানী এক্সপ্রেস কোম্পানির একটি যাত্রীবাহী বাস রাজধানীর মতিঝিল থেকে ধানম-ির দিকে যাচ্ছিল। এ সময় রাস্তা পার হচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ সম্মান শ্রেণীর ছাত্র তৌহিদুজ্জামান। বেপরোয়া গতির বাসটি ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করে ধানম-ির দিকে যাচ্ছিল। মুহূর্তেই বাসটি জামানকে চাপা দেয়। জামানের পুরো শরীর থেঁতলে যায়। পিচঢালা রাস্তা মুহূর্তেই রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে জামানকে প্রায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে দ্রুত রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালের আইসিইউতে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) ভর্তি করা হয়। সেখানেই সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। খবর পেয়ে শত শত ছাত্র রাজধানীর শাহবাগ ও এর আশপাশে অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা এ সময় অন্তত ৬০টি যানবাহনে ভাংচুর চালায়। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক বাসসহ চালককে আটক করে।
এ ধরনের বিয়োগান্তক ঘটনায় ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে একজন ছাত্রকে লাশ হতে হবেএটা মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের মৃত্যুর আসলে কোন সাত্ত্বনা নেই। কিন্তু দুর্ঘটনাপরবর্তী যে প্রতিক্রিয়া দেখানো হলো সেটাও কতটা যুক্তিযুক্ত ভেবে দেখতে হবে। ঘটনার জন্য দোষী চালককে যখন আটক করা সম্ভব হয়েছে তখন নির্বিচার গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করার কি আদৌ কোন প্রয়োজন ছিল? এর ফলে তো মূল ঘটনায়ই আড়ালে চলে যায়। ভাংচুরের বিষয়টিই মুখ্য হয়ে ওঠে। কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা তো এমন সহিংস হওয়া উচিত নয়। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত দু’দিন ধরে অনেক সময়ের জন্য ঢাকাকে প্রায় অচল করে রাখা হলো। এমনিতেই যানজটের নগরী ঢাকা। তার ওপর শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষজনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা থাকতে হয়েছে। সাধারণ মানুষের তো কোন দোষ নেই। তাহলে তারা কেন এই দুর্ভোগ সহ্য করবে।
আসলে প্রতিকারহীনভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে বলেই হয়ত প্রতিবাদকারীরা এমন সহিংস হয়ে উঠছে। ঢাবির অনেক ছাত্রছাত্রী দুর্ঘটনার শিকার হলেও একটি ঘটনারও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। আইনের ফাঁক গলে অপরাধীরা বেরিয়ে যায়। এবারও যদি এ রকম হয় সেটি হবে অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দোষীদের শাস্তি যেমন নিশ্চিত করতে হবে তেমনি স্পীডব্রেকারসহ আর কি কি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া যায় সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা নিহত ছাত্রের আত্মার শান্তি কামনা করি। তার স্বজনদের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মডেল থানাধীন শাহবাগ মোড়ে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে। রাজধানী এক্সপ্রেস কোম্পানির একটি যাত্রীবাহী বাস রাজধানীর মতিঝিল থেকে ধানম-ির দিকে যাচ্ছিল। এ সময় রাস্তা পার হচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ সম্মান শ্রেণীর ছাত্র তৌহিদুজ্জামান। বেপরোয়া গতির বাসটি ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করে ধানম-ির দিকে যাচ্ছিল। মুহূর্তেই বাসটি জামানকে চাপা দেয়। জামানের পুরো শরীর থেঁতলে যায়। পিচঢালা রাস্তা মুহূর্তেই রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে জামানকে প্রায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে দ্রুত রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালের আইসিইউতে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) ভর্তি করা হয়। সেখানেই সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। খবর পেয়ে শত শত ছাত্র রাজধানীর শাহবাগ ও এর আশপাশে অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা এ সময় অন্তত ৬০টি যানবাহনে ভাংচুর চালায়। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক বাসসহ চালককে আটক করে।
এ ধরনের বিয়োগান্তক ঘটনায় ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে একজন ছাত্রকে লাশ হতে হবেএটা মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের মৃত্যুর আসলে কোন সাত্ত্বনা নেই। কিন্তু দুর্ঘটনাপরবর্তী যে প্রতিক্রিয়া দেখানো হলো সেটাও কতটা যুক্তিযুক্ত ভেবে দেখতে হবে। ঘটনার জন্য দোষী চালককে যখন আটক করা সম্ভব হয়েছে তখন নির্বিচার গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করার কি আদৌ কোন প্রয়োজন ছিল? এর ফলে তো মূল ঘটনায়ই আড়ালে চলে যায়। ভাংচুরের বিষয়টিই মুখ্য হয়ে ওঠে। কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা তো এমন সহিংস হওয়া উচিত নয়। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত দু’দিন ধরে অনেক সময়ের জন্য ঢাকাকে প্রায় অচল করে রাখা হলো। এমনিতেই যানজটের নগরী ঢাকা। তার ওপর শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষজনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা থাকতে হয়েছে। সাধারণ মানুষের তো কোন দোষ নেই। তাহলে তারা কেন এই দুর্ভোগ সহ্য করবে।
আসলে প্রতিকারহীনভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে বলেই হয়ত প্রতিবাদকারীরা এমন সহিংস হয়ে উঠছে। ঢাবির অনেক ছাত্রছাত্রী দুর্ঘটনার শিকার হলেও একটি ঘটনারও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। আইনের ফাঁক গলে অপরাধীরা বেরিয়ে যায়। এবারও যদি এ রকম হয় সেটি হবে অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দোষীদের শাস্তি যেমন নিশ্চিত করতে হবে তেমনি স্পীডব্রেকারসহ আর কি কি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া যায় সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা নিহত ছাত্রের আত্মার শান্তি কামনা করি। তার স্বজনদের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা।
No comments