আলতাফ মাহমুদ পদক পেলেন রফিকুল ইসলাম ও রাজ্জাক- সংস্কৃতি সংবাদ
অমর সুরস্রষ্টা শহীদ আলতাফ মাহমুদ। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারিসহ অসংখ্য গানের সুর দিয়েছেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এই সুরকার। বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর অন্তর্ধান দিবস। একাত্তরের ৩০ আগস্ট পাক হানাদার বাহিনীর হাতে অপহৃত হওয়ার পর এই দেশপ্রেমিক আর কখনও ফিরে আসেননি।
কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া অমর সুর প্রতিদিনই আমাদের চেতনাকে উত্থিত হতে প্রণোদিত করে। মহান এই সুরকারের চেতনাকে ধরে রাখতে গঠিত হয়েছে শহীদ আলতাফ মাহমুদ ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আলতাফ মাহমুদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর নামে প্রবর্তিত পদক প্রদান করা হলো। আলতাফ মাহমুদের স্বপ্নের স্বদেশ গড়তে নিয়ত অবদান রেখে চলা দুই কীর্তিমানকে এ সম্মাননা জানানো হয়। পদকপ্রাপ্ত দুই কীর্তিমান হলেন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও কিংবদন্তি চলচ্চিত্রাভিনেতা রাজ্জাক।
জাদুঘরের উন্মুক্ত মঞ্চে এই স্মরণ অনুষ্ঠান ও গুণীজন পদক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিমুল ইউসুফের পরিবেশিত ‘এই না নিলাম খোয়াজ খিজির তোমার নাম’ গানটির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিদুল হক আলতাফ মাহমুদ পদক তুলে দেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের হাতে। পদকের সঙ্গে দেয়া হয় দশ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট, সম্মাননাপত্র ও উত্তরীয়। বিশেষ কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি রাজ্জাক। এ আয়োজনে শহীদ আলতাফ মাহমুদের নামে একটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ। ওয়েবসাইটের ঠিকানা . অনুষ্ঠানে আলতাফ মাহমুদের স্মৃতির উদ্দেশে সঙ্গীত পরিবেশন করেন চন্দন চৌধুরী। তিনি গেয়ে শোনান আলতাফ মাহমুদের সুরে কাজী নজরুল ইসলামের ‘বল, বীর বল উন্নত মম শীর’ গানটি।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ছিলেন না কোন নির্দিষ্ট অতিথি। তবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আলতাফ মাহমুদের বেশ কয়েকজন সহযোদ্ধা। আলতাফ মাহমুদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহধর্মিণী সারা আরা মাহমুদ, মেয়ে শাওন মাহমুদ ও জামাতা সাঈদ হাসান টিপু, মিনু হক প্রমুখ।
২০০৫ সাল থেকে এই পুরস্কারের প্রবর্তন করে শহীদ আলতাফ মাহমুদ ফাউন্ডেশন। আগের বছরগুলোতে পদক পাওয়া গুণীজনরা হলেন বেবী ইসলাম, ড. এনামুল হক, সুধীন দাশ, আলম খান, সাবিনা ইয়াসমীন ও বিপুল ভট্টাচার্য।
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আসর
দেশব্যাপী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের চর্চা ছড়িয়ে দিতে গত ৩৭ বছর ধরে নিরন্তর কাজ করছে শুদ্ধ সঙ্গীত প্রসার গোষ্ঠী। বৃহস্পতিবার ছিল এ সংগঠনের ৩৯০তম নিয়মিত মাসিক উচ্চাঙ্গের গানের আসর। একইসঙ্গে সূচনা হয় সংগঠনের ১৪তম প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচীর। সন্ধ্যায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঠচক্রে খেলে যায় রাগ-রাগিনীর নানা সুর। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত উচাঙ্গের এ গানের আসরটি বৈঠকি ঢঙে আয়োজন করা হয়। পাঠচক্রের ছোট কক্ষটিতে ভিড় জমেছিল শাস্ত্রীয় গানপ্রেমীদের। বাণীহীন কণ্ঠ ও যন্ত্রসঙ্গীতের সুর মূর্ছনায় স্নাত হন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অনুরাগীরা।
শুরুতেই দীপ্তি সমাদ্দার গেয়ে শোনান রাগ ভীম পলশ্রী। তারানা আঙ্গিকে ত্রিতালে শিল্পী কণ্ঠের চড়াই-উৎরাইয়ে ছড়িয়ে দেন সুরের স্নিগ্ধতা। মাইশা আহসান মম পরিবেশন করেন রাগ মিয়া কি মলহার। খেয়াল আঙ্গিকে তিন তালে কণ্ঠে সুর তোলেন এই শিল্পী। তবলা লহরা পরিবেশন করেন দেবাশীষ সরকার। তাঁর সঙ্গে হারমোনিয়ামে সঙ্গত করেন মেহের হোসেন। আর লতিফুন জুলিও গেয়ে শোনান রাগ চম্পাকলি। প্রথমে শিল্পী কণ্ঠ ছাড়েন বিলম্বিত এক তালে। এরপর চলে যান কাফিতে তিন তালে। উচ্চাঙ্গের এ গানের আসরে তবলায় সঙ্গত করেন বিশ্বজিৎ নট্ট, ইফতেখার আলম প্রধান ডলার ও শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক ঊষা রহমান।
জাদুঘরের উন্মুক্ত মঞ্চে এই স্মরণ অনুষ্ঠান ও গুণীজন পদক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিমুল ইউসুফের পরিবেশিত ‘এই না নিলাম খোয়াজ খিজির তোমার নাম’ গানটির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিদুল হক আলতাফ মাহমুদ পদক তুলে দেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের হাতে। পদকের সঙ্গে দেয়া হয় দশ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট, সম্মাননাপত্র ও উত্তরীয়। বিশেষ কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি রাজ্জাক। এ আয়োজনে শহীদ আলতাফ মাহমুদের নামে একটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ। ওয়েবসাইটের ঠিকানা . অনুষ্ঠানে আলতাফ মাহমুদের স্মৃতির উদ্দেশে সঙ্গীত পরিবেশন করেন চন্দন চৌধুরী। তিনি গেয়ে শোনান আলতাফ মাহমুদের সুরে কাজী নজরুল ইসলামের ‘বল, বীর বল উন্নত মম শীর’ গানটি।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ছিলেন না কোন নির্দিষ্ট অতিথি। তবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আলতাফ মাহমুদের বেশ কয়েকজন সহযোদ্ধা। আলতাফ মাহমুদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহধর্মিণী সারা আরা মাহমুদ, মেয়ে শাওন মাহমুদ ও জামাতা সাঈদ হাসান টিপু, মিনু হক প্রমুখ।
২০০৫ সাল থেকে এই পুরস্কারের প্রবর্তন করে শহীদ আলতাফ মাহমুদ ফাউন্ডেশন। আগের বছরগুলোতে পদক পাওয়া গুণীজনরা হলেন বেবী ইসলাম, ড. এনামুল হক, সুধীন দাশ, আলম খান, সাবিনা ইয়াসমীন ও বিপুল ভট্টাচার্য।
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আসর
দেশব্যাপী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের চর্চা ছড়িয়ে দিতে গত ৩৭ বছর ধরে নিরন্তর কাজ করছে শুদ্ধ সঙ্গীত প্রসার গোষ্ঠী। বৃহস্পতিবার ছিল এ সংগঠনের ৩৯০তম নিয়মিত মাসিক উচ্চাঙ্গের গানের আসর। একইসঙ্গে সূচনা হয় সংগঠনের ১৪তম প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচীর। সন্ধ্যায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঠচক্রে খেলে যায় রাগ-রাগিনীর নানা সুর। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত উচাঙ্গের এ গানের আসরটি বৈঠকি ঢঙে আয়োজন করা হয়। পাঠচক্রের ছোট কক্ষটিতে ভিড় জমেছিল শাস্ত্রীয় গানপ্রেমীদের। বাণীহীন কণ্ঠ ও যন্ত্রসঙ্গীতের সুর মূর্ছনায় স্নাত হন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অনুরাগীরা।
শুরুতেই দীপ্তি সমাদ্দার গেয়ে শোনান রাগ ভীম পলশ্রী। তারানা আঙ্গিকে ত্রিতালে শিল্পী কণ্ঠের চড়াই-উৎরাইয়ে ছড়িয়ে দেন সুরের স্নিগ্ধতা। মাইশা আহসান মম পরিবেশন করেন রাগ মিয়া কি মলহার। খেয়াল আঙ্গিকে তিন তালে কণ্ঠে সুর তোলেন এই শিল্পী। তবলা লহরা পরিবেশন করেন দেবাশীষ সরকার। তাঁর সঙ্গে হারমোনিয়ামে সঙ্গত করেন মেহের হোসেন। আর লতিফুন জুলিও গেয়ে শোনান রাগ চম্পাকলি। প্রথমে শিল্পী কণ্ঠ ছাড়েন বিলম্বিত এক তালে। এরপর চলে যান কাফিতে তিন তালে। উচ্চাঙ্গের এ গানের আসরে তবলায় সঙ্গত করেন বিশ্বজিৎ নট্ট, ইফতেখার আলম প্রধান ডলার ও শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক ঊষা রহমান।
No comments