ছানি কাটাতে গিয়ে চোখটাই বুঝি যায়
চক্ষুশিবিরে অল্প টাকায় চোখের ছানি কাটাতে গিয়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্নিবাড়ী বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের (৫০) এখন চোখ হারাতে বসেছেন। ওই এলাকার আরও ৩৫ থেকে ৪০ জন ব্যক্তি কথিত ওই চক্ষুশিবিরে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র মজুমদারকে অবহিত করেন। স্বাস্থ্য বিভাগ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়।
আবু তাহের বলেন, ‘মাইকিং শুনে এবং টাকা কম লাগবে জেনে নাম নিবন্ধন করেছিলাম। পরে দুই হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে বাঁ চোখের ছানি অপারেশন করালাম। পরামর্শ অনুযায়ী দুই দিন পর চোখের ব্যান্ডেজ খুললাম। কিন্তু কিছু দেখি না। চোখ জ্বালাপোড়া করে। আয়নার সমানে গিয়ে দেখি, বাঁ চোখে জমাট বাঁধা লাল রক্ত। আমার আগের চিকিৎসক শাহীন আকতারের কাছে গেলে তিনি জানান, চোখে সমস্যা আছে। এই চিকিৎসা বগুড়ায় করা সম্ভব নয়।’
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক শাহীন আকতার বলেন, আবু তাহেরের বাঁ চোখের দুই পাশে সুচ ঢুকিয়ে দিয়ে লেন্স চোখের ভেতরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁর চোখে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ জন্য অস্ত্রোপচার করতে হবে, যা বাংলাদেশের হাতেগোনা পাঁচটি হাসপাতালে রয়েছে। দ্রুত অস্ত্রোপচার না করলে চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া শহরের শেরপুর সড়কের শাহজালাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্যোগে সারিয়াকান্দির চন্দনবাইশা নওখিলা পিএন উচ্চবিদ্যালয়ে গত ৩০ জুলাই চক্ষুশিবিরের আয়োজন করা হয়। এতে রোগীদের কাছ থেকে এক চোখের ছানি অস্ত্রোপচারের জন্য দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা এবং চোখ পরিষ্কার করার জন্য দেড় হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। চক্ষু বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে ছিলেন মেহেদী হাসান। সঙ্গে ছিলেন শাহজালাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম, সেবিকা শিল্পী বেগম ও দালাল নুর হোসেন।
চন্দনবাইশা বাজারের আজিজার রহমান (৮০) বলেন, ‘আমাকে শুয়ে দিয়ে চোখে দুই ফোঁটা ওষুধ দিয়ে চোখ বেঁধে দিল। বলল, দুই হাজার টাকা লাগবে। দেওয়ার পরে আমাকে ২০০ টাকা ফেরত দিয়েছে। আমার ধারনা, চোখে কোনো অপারেশন করেনি।’ অস্ত্রোপচার করা তালুকদারপাড়ার মধু সরকার (৫৫), রুপালী বেগম (৫৫) ও নুরজাহান খাতুন (৬৬) তাঁদের চোখে জ্বালাপোড়া করছে বলে জানিয়েছেন। আরও অনেককে এলাকায় পাওয়া যায়নি।
সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র মজুমদার জানান, সিভিল সার্জনের নির্দেশে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। যিনি চিকিৎসা দিয়েছেন, তাঁর কোনো সনদ নেই। যে দুজন রোগী পাওয়া গেছে, তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সিভিল সার্জন খলিলুর রহমান বলেন, তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমি পাস করা চিকিৎসক নই। তবে চট্টগ্রাম থেকে একটা প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আর গত ৩০ জুলাই আমি কোনো অস্ত্রোপচার করিনি। শুধু পরামর্শ দিয়ে চোখ বেঁধে দিয়েছি। এই কাজ আমি একা করিনি। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক, ব্যবস্থাপক ও নার্সরাও ছিল।’ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকের নির্দেশে এই চক্ষুশিবির করা হয়েছে।
শাহজালাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শাহ নিয়াজ কবির খান বলেন, ‘আমাদের নাম ব্যবহার করে যে চক্ষুশিবির করা হয়েছে, তার সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে মেহেদী হাসান আমার ক্লিনিকে সহকারী চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন।’
আবু তাহের বলেন, ‘মাইকিং শুনে এবং টাকা কম লাগবে জেনে নাম নিবন্ধন করেছিলাম। পরে দুই হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে বাঁ চোখের ছানি অপারেশন করালাম। পরামর্শ অনুযায়ী দুই দিন পর চোখের ব্যান্ডেজ খুললাম। কিন্তু কিছু দেখি না। চোখ জ্বালাপোড়া করে। আয়নার সমানে গিয়ে দেখি, বাঁ চোখে জমাট বাঁধা লাল রক্ত। আমার আগের চিকিৎসক শাহীন আকতারের কাছে গেলে তিনি জানান, চোখে সমস্যা আছে। এই চিকিৎসা বগুড়ায় করা সম্ভব নয়।’
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক শাহীন আকতার বলেন, আবু তাহেরের বাঁ চোখের দুই পাশে সুচ ঢুকিয়ে দিয়ে লেন্স চোখের ভেতরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁর চোখে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ জন্য অস্ত্রোপচার করতে হবে, যা বাংলাদেশের হাতেগোনা পাঁচটি হাসপাতালে রয়েছে। দ্রুত অস্ত্রোপচার না করলে চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া শহরের শেরপুর সড়কের শাহজালাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্যোগে সারিয়াকান্দির চন্দনবাইশা নওখিলা পিএন উচ্চবিদ্যালয়ে গত ৩০ জুলাই চক্ষুশিবিরের আয়োজন করা হয়। এতে রোগীদের কাছ থেকে এক চোখের ছানি অস্ত্রোপচারের জন্য দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা এবং চোখ পরিষ্কার করার জন্য দেড় হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। চক্ষু বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে ছিলেন মেহেদী হাসান। সঙ্গে ছিলেন শাহজালাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম, সেবিকা শিল্পী বেগম ও দালাল নুর হোসেন।
চন্দনবাইশা বাজারের আজিজার রহমান (৮০) বলেন, ‘আমাকে শুয়ে দিয়ে চোখে দুই ফোঁটা ওষুধ দিয়ে চোখ বেঁধে দিল। বলল, দুই হাজার টাকা লাগবে। দেওয়ার পরে আমাকে ২০০ টাকা ফেরত দিয়েছে। আমার ধারনা, চোখে কোনো অপারেশন করেনি।’ অস্ত্রোপচার করা তালুকদারপাড়ার মধু সরকার (৫৫), রুপালী বেগম (৫৫) ও নুরজাহান খাতুন (৬৬) তাঁদের চোখে জ্বালাপোড়া করছে বলে জানিয়েছেন। আরও অনেককে এলাকায় পাওয়া যায়নি।
সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র মজুমদার জানান, সিভিল সার্জনের নির্দেশে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। যিনি চিকিৎসা দিয়েছেন, তাঁর কোনো সনদ নেই। যে দুজন রোগী পাওয়া গেছে, তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সিভিল সার্জন খলিলুর রহমান বলেন, তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমি পাস করা চিকিৎসক নই। তবে চট্টগ্রাম থেকে একটা প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আর গত ৩০ জুলাই আমি কোনো অস্ত্রোপচার করিনি। শুধু পরামর্শ দিয়ে চোখ বেঁধে দিয়েছি। এই কাজ আমি একা করিনি। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক, ব্যবস্থাপক ও নার্সরাও ছিল।’ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকের নির্দেশে এই চক্ষুশিবির করা হয়েছে।
শাহজালাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শাহ নিয়াজ কবির খান বলেন, ‘আমাদের নাম ব্যবহার করে যে চক্ষুশিবির করা হয়েছে, তার সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে মেহেদী হাসান আমার ক্লিনিকে সহকারী চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন।’
No comments