ফিরে দেখা
তারাও আওয়ামী লীগার! বিভাষ বাড়ৈ ॥ ‘আন্দোলনকারীরা সকলেই আওয়ামী লীগের অবিচল সমর্থক’Ñ বুয়েট শিক্ষক সমিতির আন্দোলন নিয়ে এমন এক মন্তব্য করে বেশ সাড়া জাগিয়েছেন আমাদের সুশীল সমাজের বেশ পরিচিত একজন প্রতিনিধি। একটি পত্রিকায় আন্দোলকারীদের সর্বাত্মক সমর্থন করে কলাম লিখতে গিয়ে তার ভাষায়
জেনেশুনেই শিক্ষক নেতাদের ‘আওয়ামী লীগের অবিচল সমর্থক’ সনদ দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সুপরিচিত এই লেখকের সনদ দেয়ার পর নিজেদের আদর্শ ও অবস্থান নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন প্রগতিশীল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা! হতবাক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সদস্যরাও। কারণ শিক্ষক আন্দোলনের অন্যতম একজন হলেন সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেয়ার দায়ে আদালতের অভিযুক্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার গুরুতর অভিযোগ। আরেক নেতার বিরুদ্ধে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা, এমনকি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেও হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণও মিলেছে। এক শিক্ষক নেতার আছে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা থাকাকালে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বডিগার্ড হওয়ার বিরল অভিজ্ঞতা! এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি রাজধানীতে সরকার উৎখাতের ঘোষণা সংবলিত লিফলেট বিলির সময় হাতেনাতে আটক হওয়া দুই হিযবুত তাহ্রীর সদস্যকে পল্টন থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন শিক্ষক সমিতির শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতা। ঘটনা সম্পর্কে খবর নিতে বুধবার একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তার কাছে গেলাম। কিন্তু পরিচিত এই কর্মকর্তা তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরে কিছুটা আক্ষেপ করেই বললেন, ‘ভাই দেখেন, পত্রিকায় যা ইচ্ছে লেখার সুযোগে এরাও এখন আওয়ামী লীগের অবিচল সমর্থক!
মন্ত্রীর সুপারিশ পেয়েই খুশি
তৌহিদুর রহমান ॥ সচিবালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রীর রুমের সামনে প্রায়ই দেখা যায় অনেক ভিড়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক লোক আসেন এই প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশ নেয়ার জন্য। প্রতিমন্ত্রীও কাউকেই সুপারিশ করা থেকে বিরত থাকেন না। তিনি সবার আবেদনেই সুপারিশ করেন। সম্প্রতি এই প্রতিমন্ত্রীর রুমের সামনে গিয়ে দেখা যায়, একজন এসেছেন ঢাকার বাইরে থেকে প্রতিমন্ত্রীর একটি সই নেয়ার জন্য। অনেক দূর থেকে ভদ্রলোক তাঁর ছেলের চাকরির আবেদনের ওপর একটি সই নেয়ার জন্য এসেছেন। ভদ্রলোকের অভিমত, এখন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশ ছাড়া চাকরি মেলে না। তাই অনেক দূর থেকে সই নেয়ার জন্য এসেছেন। ভদ্রলোকের মতো আরও অনেককেই দেখা গেল, সই নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর রুম থেকে হাসিমুখে বেরিয়ে আসছেন। চাকরি হোক আর না হোক সুপারিশেই তাঁরা খুশি।
রাজপথে মানুষের লড়াই
শরীফুল ইসলাম ॥ ২৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা। অফিসে আসার জন্য যমুনা ফিউচারপার্ক সংলগ্ন বসুন্ধরা স্টেশনে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। হঠাৎ চেঁচামেচির শব্দ কানে আসে। দেখতে পাই রাজপথে দুই ‘হিজড়া’ চুলাচুলিতে লিপ্ত হয়েছে। দু’জনেরই মাথায় লম্বা চুল, পরনে লাল শাড়ি। তাদের লড়াই দেখতে কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে কয়েক শ’ লোক জড়ো হয়। ততক্ষণে ব্যস্ত সড়কে যানজট লেগে যায়। হিজড়াদের চুলাচুলি ও অশ্লীল বাক্যবিনিময় থামাতে কেউ এগিয়ে আসছে না। লাড়াইয়ের একপর্যায়ে তাদের দু’জনেরই পরনের কাপড় খুলে যাওয়ার উপক্রম হলে সেখানে উপস্থিত ক’জন মহিলা তাদের থামাতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও পরে বিব্রত বোধ করে ফিরে আসে। এর পর হঠাৎ আপনা থেকেই তারা চুলাচুলি বন্ধ করে। এ সময় তাদের একজন অপরজনকে বকা দিতে দিতে সেখান থেকে দ্রুত প্রস্থান করে।
মন্ত্রীর সুপারিশ পেয়েই খুশি
তৌহিদুর রহমান ॥ সচিবালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রীর রুমের সামনে প্রায়ই দেখা যায় অনেক ভিড়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক লোক আসেন এই প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশ নেয়ার জন্য। প্রতিমন্ত্রীও কাউকেই সুপারিশ করা থেকে বিরত থাকেন না। তিনি সবার আবেদনেই সুপারিশ করেন। সম্প্রতি এই প্রতিমন্ত্রীর রুমের সামনে গিয়ে দেখা যায়, একজন এসেছেন ঢাকার বাইরে থেকে প্রতিমন্ত্রীর একটি সই নেয়ার জন্য। অনেক দূর থেকে ভদ্রলোক তাঁর ছেলের চাকরির আবেদনের ওপর একটি সই নেয়ার জন্য এসেছেন। ভদ্রলোকের অভিমত, এখন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশ ছাড়া চাকরি মেলে না। তাই অনেক দূর থেকে সই নেয়ার জন্য এসেছেন। ভদ্রলোকের মতো আরও অনেককেই দেখা গেল, সই নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর রুম থেকে হাসিমুখে বেরিয়ে আসছেন। চাকরি হোক আর না হোক সুপারিশেই তাঁরা খুশি।
রাজপথে মানুষের লড়াই
শরীফুল ইসলাম ॥ ২৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা। অফিসে আসার জন্য যমুনা ফিউচারপার্ক সংলগ্ন বসুন্ধরা স্টেশনে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। হঠাৎ চেঁচামেচির শব্দ কানে আসে। দেখতে পাই রাজপথে দুই ‘হিজড়া’ চুলাচুলিতে লিপ্ত হয়েছে। দু’জনেরই মাথায় লম্বা চুল, পরনে লাল শাড়ি। তাদের লড়াই দেখতে কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে কয়েক শ’ লোক জড়ো হয়। ততক্ষণে ব্যস্ত সড়কে যানজট লেগে যায়। হিজড়াদের চুলাচুলি ও অশ্লীল বাক্যবিনিময় থামাতে কেউ এগিয়ে আসছে না। লাড়াইয়ের একপর্যায়ে তাদের দু’জনেরই পরনের কাপড় খুলে যাওয়ার উপক্রম হলে সেখানে উপস্থিত ক’জন মহিলা তাদের থামাতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও পরে বিব্রত বোধ করে ফিরে আসে। এর পর হঠাৎ আপনা থেকেই তারা চুলাচুলি বন্ধ করে। এ সময় তাদের একজন অপরজনকে বকা দিতে দিতে সেখান থেকে দ্রুত প্রস্থান করে।
No comments