স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রতিবাদ, প্রথম আলোর বক্তব্য
প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ এবং সমাজকল্যাণবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী প্রথম আলোকে দেওয়া এক প্রতিবাদপত্রে বলেছেন, হলমার্কের ঋণের ব্যাপারে তিনি কোনো পর্যায়ে, কোনোভাবে জড়িত নন। এ ব্যাপারে কোনো ব্যাংক কর্মকর্তাকে কোনো ধরনের অনুরোধ তিনি করেননি।
তগতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো প্রতিবাদপত্রের শুরুতেই উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ৩০ আগস্ট প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও যুগান্তর-এ সোনালী ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারিসংক্রান্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, আমি হলমার্ক গ্রুপকে সোনালী ব্যাংকের ঋণ পাইয়ে দিতে সহায়তা করেছি। এ ধরনের সংবাদ সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন এবং অগ্রহণযোগ্য। আমি এ ধরনের হীন উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং কুরুচিপূর্ণ সাংবাদিকতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই হীন অপপ্রচার বন্ধের অনুরোধ করছি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাই দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, অবিলম্বে এ ধরনের কুৎসা প্রচার বন্ধ করতে হবে। হলমার্ক বিষয়ে আমাকে জড়িয়ে এ রকম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘জনৈক সাইদুর রহমান নামক একজন কর্মচারীর দুদকে কথিত বক্তব্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে তা সংবাদপত্রে ফলাও প্রকাশ একধরনের ব্ল্যাকমেইলিং এবং অপসাংবাদিকতা। ওই কর্মচারীর সঙ্গে আমার কোনো পরিচয় নেই। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কোনো ব্যাংকে যাওয়া মানেই প্রমাণ করে না যে আমি কোনো অনুরোধ করতে গেছি।’
উপদেষ্টা প্রতিবাদে বলেন, ‘হলমার্ক কীভাবে ঋণ নিয়েছে, সেটি সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। একজন উপদেষ্টাকে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার অপচেষ্টা অনভিপ্রেত।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য: উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী হলমার্ক গ্রুপকে সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দিতে সহায়তা করেছেন—এমন কথা প্রথম আলোর কোনো প্রতিবেদনে বলা হয়নি। ২৬ আগস্ট প্রথম আলোর সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায় যেতেন—এমন কথা স্বীকার করেছেন। হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদল যখন সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায়, তখন সেখানে তদন্তকারীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দেখা হয়। এসব কথা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা স্বীকারও করেছেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তাঁর প্রতিবাদে প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কোন অংশের ব্যাপারে আপত্তি, তা সুনির্দিষ্ট করেননি। প্রথম আলো এ ক্ষেত্রে সঠিক অবস্থানেই রয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাই দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, অবিলম্বে এ ধরনের কুৎসা প্রচার বন্ধ করতে হবে। হলমার্ক বিষয়ে আমাকে জড়িয়ে এ রকম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘জনৈক সাইদুর রহমান নামক একজন কর্মচারীর দুদকে কথিত বক্তব্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে তা সংবাদপত্রে ফলাও প্রকাশ একধরনের ব্ল্যাকমেইলিং এবং অপসাংবাদিকতা। ওই কর্মচারীর সঙ্গে আমার কোনো পরিচয় নেই। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কোনো ব্যাংকে যাওয়া মানেই প্রমাণ করে না যে আমি কোনো অনুরোধ করতে গেছি।’
উপদেষ্টা প্রতিবাদে বলেন, ‘হলমার্ক কীভাবে ঋণ নিয়েছে, সেটি সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। একজন উপদেষ্টাকে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার অপচেষ্টা অনভিপ্রেত।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য: উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী হলমার্ক গ্রুপকে সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দিতে সহায়তা করেছেন—এমন কথা প্রথম আলোর কোনো প্রতিবেদনে বলা হয়নি। ২৬ আগস্ট প্রথম আলোর সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায় যেতেন—এমন কথা স্বীকার করেছেন। হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদল যখন সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায়, তখন সেখানে তদন্তকারীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দেখা হয়। এসব কথা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা স্বীকারও করেছেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তাঁর প্রতিবাদে প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কোন অংশের ব্যাপারে আপত্তি, তা সুনির্দিষ্ট করেননি। প্রথম আলো এ ক্ষেত্রে সঠিক অবস্থানেই রয়েছে।
No comments