কবিতা ॥ হারানো ঘুড়ি by মালা মাহমুদ
আমার হারানো ঘুড়ি পেয়েছি আবার
শুক্লাদের আকাশি গাছটার ডালে।
অমল সে হারানো ঘুড়ির
শুক্লাদের আকাশি গাছটার ডালে।
অমল সে হারানো ঘুড়ির
পাওয়ার সংবাদ শুনে
ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে
আকস্মাৎ বলে উঠে
সাবাস তোর বিশ্বাস
এতদিনে কসুমে ফুলে শোভিত হলো
তোর স্বপ্নের বাগান।
আনন্দপুর থেকে নূপুর এসেছিল
হারানো ঘুড়িটা দেখার জন্য
যে নূপুরের জন্য আমি ঘুড়ি উড়িয়ে
বসে থাকতাম পালদের দিঘির পাড়ে
সে নূপুর আমাকে অকস্মাৎ জড়িয়ে ধরে
বলে উঠে
সাবাস তোর বিশ্বাস
এতদিনে ষোলোকলার পূর্ণ হলো
পূর্ণ হলো তোর স্বপ্নের মোহরটার।
সুবর্ণ সুর থেকে জীবন এসেছিল
ওর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে
শুধু আসেনি, যে আধারটা অহেতু
আমার প্রাথর্নার স্বপ্নের মহিমা ঢেকে রাখত।
‘বাসা’ শব্দটির বেভুল অরণ্যে
মাহমুদুজ্জামান জামী
[ডা. সাঈদ এনামকে, যিনি এখন পর্যন্ত তাঁর আরাধ্য বাসা খুঁজে পাননি]
সে তো ধ্রুব নক্ষত্রের মতো জ্বলে হৃদয়ে উজ্জ্বল;
শুধু কয়েকজন ছাড়া
আর সকলেই তার জন্য হয়েছে পাগল,
হন্যে হয়ে ঘুরে অবশেষে বাসায় এসেছে
বিশ্রামের জন্য, শীতল ছায়ার জন্য।
বাসা শুধু বিশ্রামের নয়
এবং জৈবিক প্রয়োজন ছাড়াও
এই শব্দের ব্যাপকতা
উতলা করেছে মানুষকে যুগ যুগ ধরে
সমুদ্রের মতো!
প্রিয়ার অতুল দৃষ্টি,
অবর্ণন স্নিগ্ন ছোঁয়ায় তার
বাসা এক সবুজ অরণ্য;
তার বাতাসে বেভুলÑদোলে কত
অভ্যন্তরীণ গোলাপ-বকুল!
স্বভাব উদাসী
বদরুল হায়দার
ফর্সামন ভিজে যায় বর্ষাজলে।
আমি বেদনার শঙ্খচিলে
বেসামাল হাওয়ার প্রতিকূলে
সোনার মুকুট পরে স্বভাব উদাসী।
রাশিফলে বেরসিক রেখা মিলে
কলা-কৌশলে সমূলে সাধুতার মহাজোটে
থইথই আনন্দের খই ফোটে।
কমিশনে বিরাগভাজনে তুমি
গোপন মিশনে সাধু শয়তানে
ভেসে চলো প্রমীলার মায়াজালে
সত্য সাধনায় নত হয় অনিত্য পাষাণ।
সমর গ্রাসের শতভয় নির্দয় অভয়
শোষণের সমবায়ী ঋণে
বৃষ্টি হয়ে ঝরে যায়।
এলোমেলো
সানজীদ নিশান চৌধুরী
বাস কর তুমি অন্ধকারে কার সঙ্গে
স্বার্থপর ও অহংকারী মেয়ে
রঙ্গীন বাতি জ্বেলে কার মুখ দেখ মায়াবী ঢঙ্গে,
নিশ্চিন্তে ঘুমাও কার বুক পকেটে
নিজ ইচ্ছাটুকু জমা দিয়ে।
বাস কর তুমি অন্ধকারে কেমন।
মেঘের আড়ালে চাঁদ থাকে যেমন
বালিশের তলে মূল্যবান কী লুকিয়ে ফেল
যা দুজনের মাঝে থাকলে সব হয় এলোমেলো।
ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে
আকস্মাৎ বলে উঠে
সাবাস তোর বিশ্বাস
এতদিনে কসুমে ফুলে শোভিত হলো
তোর স্বপ্নের বাগান।
আনন্দপুর থেকে নূপুর এসেছিল
হারানো ঘুড়িটা দেখার জন্য
যে নূপুরের জন্য আমি ঘুড়ি উড়িয়ে
বসে থাকতাম পালদের দিঘির পাড়ে
সে নূপুর আমাকে অকস্মাৎ জড়িয়ে ধরে
বলে উঠে
সাবাস তোর বিশ্বাস
এতদিনে ষোলোকলার পূর্ণ হলো
পূর্ণ হলো তোর স্বপ্নের মোহরটার।
সুবর্ণ সুর থেকে জীবন এসেছিল
ওর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে
শুধু আসেনি, যে আধারটা অহেতু
আমার প্রাথর্নার স্বপ্নের মহিমা ঢেকে রাখত।
‘বাসা’ শব্দটির বেভুল অরণ্যে
মাহমুদুজ্জামান জামী
[ডা. সাঈদ এনামকে, যিনি এখন পর্যন্ত তাঁর আরাধ্য বাসা খুঁজে পাননি]
সে তো ধ্রুব নক্ষত্রের মতো জ্বলে হৃদয়ে উজ্জ্বল;
শুধু কয়েকজন ছাড়া
আর সকলেই তার জন্য হয়েছে পাগল,
হন্যে হয়ে ঘুরে অবশেষে বাসায় এসেছে
বিশ্রামের জন্য, শীতল ছায়ার জন্য।
বাসা শুধু বিশ্রামের নয়
এবং জৈবিক প্রয়োজন ছাড়াও
এই শব্দের ব্যাপকতা
উতলা করেছে মানুষকে যুগ যুগ ধরে
সমুদ্রের মতো!
প্রিয়ার অতুল দৃষ্টি,
অবর্ণন স্নিগ্ন ছোঁয়ায় তার
বাসা এক সবুজ অরণ্য;
তার বাতাসে বেভুলÑদোলে কত
অভ্যন্তরীণ গোলাপ-বকুল!
স্বভাব উদাসী
বদরুল হায়দার
ফর্সামন ভিজে যায় বর্ষাজলে।
আমি বেদনার শঙ্খচিলে
বেসামাল হাওয়ার প্রতিকূলে
সোনার মুকুট পরে স্বভাব উদাসী।
রাশিফলে বেরসিক রেখা মিলে
কলা-কৌশলে সমূলে সাধুতার মহাজোটে
থইথই আনন্দের খই ফোটে।
কমিশনে বিরাগভাজনে তুমি
গোপন মিশনে সাধু শয়তানে
ভেসে চলো প্রমীলার মায়াজালে
সত্য সাধনায় নত হয় অনিত্য পাষাণ।
সমর গ্রাসের শতভয় নির্দয় অভয়
শোষণের সমবায়ী ঋণে
বৃষ্টি হয়ে ঝরে যায়।
এলোমেলো
সানজীদ নিশান চৌধুরী
বাস কর তুমি অন্ধকারে কার সঙ্গে
স্বার্থপর ও অহংকারী মেয়ে
রঙ্গীন বাতি জ্বেলে কার মুখ দেখ মায়াবী ঢঙ্গে,
নিশ্চিন্তে ঘুমাও কার বুক পকেটে
নিজ ইচ্ছাটুকু জমা দিয়ে।
বাস কর তুমি অন্ধকারে কেমন।
মেঘের আড়ালে চাঁদ থাকে যেমন
বালিশের তলে মূল্যবান কী লুকিয়ে ফেল
যা দুজনের মাঝে থাকলে সব হয় এলোমেলো।
No comments