আবার কিডনি ব্যবসা-অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই
গত বছরের শেষদিকে অত্যন্ত অমানবিক ও নিষ্ঠুর কিডনি ও লিভার ব্যবসা নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল। পুলিশের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানানো হয়েছিল, সারা দেশে এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মোট ৫৮টি চক্রের সন্ধান তারা পেয়েছে। এ ব্যাপারে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। এরপর এ নিয়ে হৈচৈ থেমে গিয়েছিল।
মানুষ প্রত্যাশা করেছিল, এসব জঘন্য অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা রাষ্ট্র করবে। কিন্তু আমাদের কপাল মন্দ! গতকালের (৩০ আগস্ট) কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সে সময় যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাদের প্রায় সবাই জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও সেই অমানবিক ব্যবসায় নেমে পড়েছে। তারা সামান্য অর্থের বিনিময়ে আবার নিরীহ-দরিদ্র মানুষের কিডনি ও লিভার কিনে নিচ্ছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞান ক্রমেই এগোচ্ছে। সারা দুনিয়ায় এখন কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু তা করা হয় সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালার ভিত্তিতে। বাংলাদেশেও ১৯৮৮ সাল থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কেনাবেচা বা বলপ্রয়োগের আশঙ্কা থাকায় ১৯৯৯ সালেই কিডনি প্রতিস্থাপন আইন করা হয়। কিন্তু তাতে কিডনি বেচাকেনার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু সেই আইনকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রায় এক দশক ধরে দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের কিডনি বেচাকেনার কাজটি চলে আসছে। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে তা জানা যায়। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দেশে আটটি প্রতিস্থাপনকেন্দ্রের চিকিৎসকরাও জেনে হোক আর না জেনেই হোক, সেসব কিডনি প্রতিস্থাপন করছেন। অনেকে আবার কিডনিদাতা ও গ্রহীতাকে বিদেশে নিয়েও কিডনি প্রতিস্থাপন করিয়ে আসছেন। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অতি জঘন্য এই ব্যবসায় বেশ কিছু এনজিওর কর্মী নানাভাবে সহায়তা করে আসছিলেন। অভাবে পড়ে অনেক দরিদ্র পরিবার এনজিও থেকে ঋণ নেয়, কিন্তু কিছুদিন পর সুদে-আসলে অনেক বড় হওয়া ঋণ আর শোধ করতে পারে না এবং পালিয়ে বেড়ায়। এনজিও-কর্মীরা তখন ঋণগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রকারান্তরে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন এবং কিডনি বিক্রিতে বাধ্য করেন।
সারা দুনিয়ায় কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য দুই ধরনের দাতা পাওয়া যায়। একটি হচ্ছে, আগে থেকে দান করে যাওয়া 'ক্লিনিক্যালি ডেড' ব্যক্তির কিডনি এবং স্বেচ্ছায় দান করা জীবিত ব্যক্তির কিডনি। বাংলাদেশে প্রথমটির প্রচলন এখনো হয়নি। ১৯৯৯ সালের কিডনি প্রতিস্থাপন আইন অনুযায়ী, কেবল নিকটাত্মীয়রাই কিডনি দান করতে পারেন। বেচাকেনার তো প্রশ্নই নেই। এর পরও এই ব্যবসা কিভাবে চলছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমাদের আরো বোধগম্য নয় যে এই জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা কিভাবে জামিন পায়। এক বছর হয়ে গেলেও কেন এমন একটি স্পর্শকাতর মামলায় এখনো তদন্তকাজই সম্পন্ন করা যায়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বারবার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হওয়ায় তদন্ত সম্পন্ন করা যায়নি। এটি কোনো অজুহাত হতে পারে বলে আমাদের কাছে মনে হয় না। আমরা পুলিশ বিভাগের কাছ থেকে আরো দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। আর রাষ্ট্রের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেচাকেনার এই অমানবিক ও নিষ্ঠুরতম প্রক্রিয়াটি অবিলম্বে কঠোর হাতে দমন করা হোক।
চিকিৎসাবিজ্ঞান ক্রমেই এগোচ্ছে। সারা দুনিয়ায় এখন কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু তা করা হয় সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালার ভিত্তিতে। বাংলাদেশেও ১৯৮৮ সাল থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কেনাবেচা বা বলপ্রয়োগের আশঙ্কা থাকায় ১৯৯৯ সালেই কিডনি প্রতিস্থাপন আইন করা হয়। কিন্তু তাতে কিডনি বেচাকেনার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু সেই আইনকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রায় এক দশক ধরে দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের কিডনি বেচাকেনার কাজটি চলে আসছে। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে তা জানা যায়। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দেশে আটটি প্রতিস্থাপনকেন্দ্রের চিকিৎসকরাও জেনে হোক আর না জেনেই হোক, সেসব কিডনি প্রতিস্থাপন করছেন। অনেকে আবার কিডনিদাতা ও গ্রহীতাকে বিদেশে নিয়েও কিডনি প্রতিস্থাপন করিয়ে আসছেন। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অতি জঘন্য এই ব্যবসায় বেশ কিছু এনজিওর কর্মী নানাভাবে সহায়তা করে আসছিলেন। অভাবে পড়ে অনেক দরিদ্র পরিবার এনজিও থেকে ঋণ নেয়, কিন্তু কিছুদিন পর সুদে-আসলে অনেক বড় হওয়া ঋণ আর শোধ করতে পারে না এবং পালিয়ে বেড়ায়। এনজিও-কর্মীরা তখন ঋণগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রকারান্তরে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন এবং কিডনি বিক্রিতে বাধ্য করেন।
সারা দুনিয়ায় কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য দুই ধরনের দাতা পাওয়া যায়। একটি হচ্ছে, আগে থেকে দান করে যাওয়া 'ক্লিনিক্যালি ডেড' ব্যক্তির কিডনি এবং স্বেচ্ছায় দান করা জীবিত ব্যক্তির কিডনি। বাংলাদেশে প্রথমটির প্রচলন এখনো হয়নি। ১৯৯৯ সালের কিডনি প্রতিস্থাপন আইন অনুযায়ী, কেবল নিকটাত্মীয়রাই কিডনি দান করতে পারেন। বেচাকেনার তো প্রশ্নই নেই। এর পরও এই ব্যবসা কিভাবে চলছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমাদের আরো বোধগম্য নয় যে এই জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা কিভাবে জামিন পায়। এক বছর হয়ে গেলেও কেন এমন একটি স্পর্শকাতর মামলায় এখনো তদন্তকাজই সম্পন্ন করা যায়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বারবার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হওয়ায় তদন্ত সম্পন্ন করা যায়নি। এটি কোনো অজুহাত হতে পারে বলে আমাদের কাছে মনে হয় না। আমরা পুলিশ বিভাগের কাছ থেকে আরো দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। আর রাষ্ট্রের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেচাকেনার এই অমানবিক ও নিষ্ঠুরতম প্রক্রিয়াটি অবিলম্বে কঠোর হাতে দমন করা হোক।
No comments