অভিমানী রাখি
বলিউডের আইটেম গার্ল রাখি সাওয়ান্ত। অঘটন পটিয়সী। রাখঢাক পছন্দ করেন না। যা মুখে আসে বলে ফেলেন। আর সে জন্যই রাখির সঙ্গে কথা বলার সময় সবাই সম্মান খোয়ানোর ভয়ে মুখে লাগাম দিয়ে চলেন। বলিউডে বিতর্কিত চরিত্র হিসেবে রাখির খ্যাতি আছে। পারিবারিকভাবে বৈষম্যের স্বীকার হয়েছেন বলে পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না তিনি।
তীব্র অভিমান ঝেড়ে দেন যেখানে-সেখানে। হিন্দুধর্মে প্রসিদ্ধ রাখি বন্ধন উৎসব পালন না করা নিয়ে তিনি সম্প্রতি কথা বলেন মিডিয়ার সঙ্গে।রাখি সাওয়ান্ত তিন বছর আগেও রাখি বন্ধন উৎসব মহাধুমধামে পালন করতেন।
তার মধ্যে এটা নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার কোনো কমতি দেখা যায়নি। কিন্তু হিন্দু থেকে খ্রিস্টান ধর্মে রুপান্তরিত হওয়ার পর থেকেই রাখি সবরকম হিন্দু ধর্মাচরণ পালন করা বাদ দিয়েছেন।
রাখি বলেন, আমি এখন রাখি বন্ধনী উৎসব পালন করি না। আমার কোনো ভাই-বোন নেই, বাবা-মাও নেই। আমি আজ যে পর্যায়ে নিজেকে নিয়ে এসেছি তার পেছনে আছে কঠিন পরিশ্রম। আমার সাফল্যের পেছনে কারও কোনোরকম অবদান অথবা চালিকাশক্তি নেই।
কিন্তু রাকেশ সাওয়ান্ত যিনি এখন বলিউডে কাজ করলেও বোনের মতো নামডাক অর্জন করতে পারেননি। রাখির ভাই হিসেবেই অধিকাংশ মানুষ চেনে তাকে। রাকেশ আশাবাদী, বোন রাখি তাদের পরিবারে ফিরে আসবে এবং ভাইকে নিয়ে রাখি বন্ধনী উৎসব পালন করবে। রাকেশ বলেন, পানি রক্তের চেয়ে হালকা। আমি মনে করি রাখি বিষয়টা খুব শিগগিরিই বুঝতে পারবেন। আমাদের পরিবার তাকে সবসময় মানসিকভাবে সহযোগিতা করে আসছে কোনো রকমের প্রতিদানের আশা ছাড়াই।
কথা বলার ফাঁকে রাকেশ একসময় স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। বলেন, আমি বোর্ডিং স্কুলে পড়ালেখা করতাম। ততদিনে রাখি বলিউডে সাফল্য পেয়ে গেছে। এটা ১৯৯১ সালের কথা। তার ঠিক বছর তিনেক পর থেকেই রাখির কাজের চাপ বেড়ে যায়, আশঙ্কা করতাম হয়তো সে রাখি উৎসবে সময় দিতে পারবে না। আমার বন্ধুরা ঠাট্টা-মশকরা করে বলত, তোর দিদি রাখি বাঁধতে আসবে না। কিন্তু আমি আশা ছাড়তাম না। আমি গোপনে প্রার্থনা করতাম।
দেখা যেত রাখি উৎসবের দিন সাতসকালে সেই প্রথম রাখি বাঁধতে আমার হোস্টেলে আসত।
রাখি সাওয়ান্ত ভাই রাকেশের স্মৃতিচারণা প্রসঙ্গে বলেন, আমি রাখি বন্ধনীসহ অন্য উৎসবগুলো পালন করতাম আমার সাবেক প্রেমিক আভিষেক আওয়াস্তির প্ররোচনায়। নতুবা আমার মধ্যে এসব উৎসব পালনের কোনো ধাঁচ নেই।
রাকেশ বলেন, তার রাখি উৎসব পালন করতে ভালো না লাগতেই পারে, তবে আমি জানি সে আমাকে সবসময় নজরে নজরে রাখে এবং আমার সব কাজগুলো খেয়াল করে। সে আমার একজন ভালো বন্ধু, দার্শনিক এবং গাইড। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি খ্রিস্টান ধর্ম তার মনকে অধিকতর শান্ত ও সুস্থির রাখবে। আমি আজও আশাবাদী, যেমন আশাবাদী ছিলাম ১৯৯১ সালে বোর্ডিং স্কুলে থাকতে, রাখি সাতসকালে রাখি বন্ধনী নিয়ে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসবে।’ সূত্র : টাঅই
রাখি বলেন, আমি এখন রাখি বন্ধনী উৎসব পালন করি না। আমার কোনো ভাই-বোন নেই, বাবা-মাও নেই। আমি আজ যে পর্যায়ে নিজেকে নিয়ে এসেছি তার পেছনে আছে কঠিন পরিশ্রম। আমার সাফল্যের পেছনে কারও কোনোরকম অবদান অথবা চালিকাশক্তি নেই।
কিন্তু রাকেশ সাওয়ান্ত যিনি এখন বলিউডে কাজ করলেও বোনের মতো নামডাক অর্জন করতে পারেননি। রাখির ভাই হিসেবেই অধিকাংশ মানুষ চেনে তাকে। রাকেশ আশাবাদী, বোন রাখি তাদের পরিবারে ফিরে আসবে এবং ভাইকে নিয়ে রাখি বন্ধনী উৎসব পালন করবে। রাকেশ বলেন, পানি রক্তের চেয়ে হালকা। আমি মনে করি রাখি বিষয়টা খুব শিগগিরিই বুঝতে পারবেন। আমাদের পরিবার তাকে সবসময় মানসিকভাবে সহযোগিতা করে আসছে কোনো রকমের প্রতিদানের আশা ছাড়াই।
কথা বলার ফাঁকে রাকেশ একসময় স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। বলেন, আমি বোর্ডিং স্কুলে পড়ালেখা করতাম। ততদিনে রাখি বলিউডে সাফল্য পেয়ে গেছে। এটা ১৯৯১ সালের কথা। তার ঠিক বছর তিনেক পর থেকেই রাখির কাজের চাপ বেড়ে যায়, আশঙ্কা করতাম হয়তো সে রাখি উৎসবে সময় দিতে পারবে না। আমার বন্ধুরা ঠাট্টা-মশকরা করে বলত, তোর দিদি রাখি বাঁধতে আসবে না। কিন্তু আমি আশা ছাড়তাম না। আমি গোপনে প্রার্থনা করতাম।
দেখা যেত রাখি উৎসবের দিন সাতসকালে সেই প্রথম রাখি বাঁধতে আমার হোস্টেলে আসত।
রাখি সাওয়ান্ত ভাই রাকেশের স্মৃতিচারণা প্রসঙ্গে বলেন, আমি রাখি বন্ধনীসহ অন্য উৎসবগুলো পালন করতাম আমার সাবেক প্রেমিক আভিষেক আওয়াস্তির প্ররোচনায়। নতুবা আমার মধ্যে এসব উৎসব পালনের কোনো ধাঁচ নেই।
রাকেশ বলেন, তার রাখি উৎসব পালন করতে ভালো না লাগতেই পারে, তবে আমি জানি সে আমাকে সবসময় নজরে নজরে রাখে এবং আমার সব কাজগুলো খেয়াল করে। সে আমার একজন ভালো বন্ধু, দার্শনিক এবং গাইড। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি খ্রিস্টান ধর্ম তার মনকে অধিকতর শান্ত ও সুস্থির রাখবে। আমি আজও আশাবাদী, যেমন আশাবাদী ছিলাম ১৯৯১ সালে বোর্ডিং স্কুলে থাকতে, রাখি সাতসকালে রাখি বন্ধনী নিয়ে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসবে।’ সূত্র : টাঅই
No comments