সাংসদ ওদুদের ছত্রচ্ছায়ায় জুয়া হাউজি অশ্লীল নাচ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে ঈদ পুনর্মিলনী মেলা ও যাত্রার নামে অশ্লীল নাচ-গান, জুয়া ও হাউজি খেলা চলছে। ঈদের পরদিন থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে এক মাসব্যাপী। অন্যের জমিতে সদর আসনের সাংসদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩) আবদুল ওদুদের ছত্রচ্ছায়ায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ওই জমির মালিক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্য এ এস এম ইহিতশাম-উল-মুল্ক সদর সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মেলা কমিটির বিরুদ্ধে আইনজীবীর মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ১৪ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশসহ ওই জমিতে মেলা করার ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই মেলার নামে জুয়া, অশ্লীল নাচ-গান চলছে।
মামলার আরজিতে ওই আইনজীবী উল্লেখ করেন, সাংসদ আবদুল ওদুদের পৃষ্ঠপোষকতায় ওই মেলা পরিচালিত হওয়ায় সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী ইহিতশাম-উল-মুল্কের ছেলে হামিদুল হক বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে আমরা দারুণভাবে হতাশ।’
গত সোমবার রাতে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৫০টির মতো জুয়ার স্টলে কয়েক শ লোক জুয়া খেলছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সারা রাতে কয়েক লাখ টাকার জুয়া খেলা হয় মেলায়। এ ছাড়া অবৈধভাবে হাউজি খেলাও চলতে দেখা গেল। ভ্যারাইটি শো, জাদু ও পুতুল নাচের প্যান্ডেলগুলোর সামনে অর্ধনগ্ন নারীরা শোতে ঢোকার জন্য লোকজনকে প্রলুব্ধ করছেন। মেলায় মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুর স্কুলপাড়ার ওমর সানি নামের এক কলেজছাত্র একদল মাতাল যুবকের মারধরের শিকার হয়। তাঁকে ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
মেলা কমিটির কার্যালয়ে গিয়ে কথা হয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহমেদের সঙ্গে। অশ্লীল নাচ, জুয়া, হাউজি খেলা মেলার শর্তের পরিপন্থী কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শর্ত দিয়ে কোনো কিছুই চলে না। মেলায় অশ্লীল নাচ ও জুয়া বন্ধে পুলিশকে বলেছি। কিন্তু তারা নিজেদের স্বার্থেই অর্থাৎ উৎকোচ পাওয়ার কারণেই এগুলো বন্ধ করে না।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহ আলম বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওসি গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘গত মঙ্গলবার এ ব্যাপারে নির্দেশ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে।’ এ ছাড়া মেলায় পুলিশ উৎকোচের বিনিময়ে জুয়া, অশ্লীল নাচ, মাদক বিক্রি চলতে দিচ্ছে—এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
সদর আসনের সাংসদ আবদুল ওদুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহারাজপুরের ঈদ পুনর্মিলনী মেলা বহু পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী মেলা। জামায়াত-বিএনপির আমলেও এসব হয়েছে। আমি কমিয়ে এনেছি। গতবার ২৭টি ভ্যারাইটি শোর প্যান্ডেল ছিল। এবার আছে মাত্র পাঁচটি। ভবিষ্যতে আরও কমে যাবে।’
মামলার আরজিতে ওই আইনজীবী উল্লেখ করেন, সাংসদ আবদুল ওদুদের পৃষ্ঠপোষকতায় ওই মেলা পরিচালিত হওয়ায় সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী ইহিতশাম-উল-মুল্কের ছেলে হামিদুল হক বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে আমরা দারুণভাবে হতাশ।’
গত সোমবার রাতে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৫০টির মতো জুয়ার স্টলে কয়েক শ লোক জুয়া খেলছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সারা রাতে কয়েক লাখ টাকার জুয়া খেলা হয় মেলায়। এ ছাড়া অবৈধভাবে হাউজি খেলাও চলতে দেখা গেল। ভ্যারাইটি শো, জাদু ও পুতুল নাচের প্যান্ডেলগুলোর সামনে অর্ধনগ্ন নারীরা শোতে ঢোকার জন্য লোকজনকে প্রলুব্ধ করছেন। মেলায় মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুর স্কুলপাড়ার ওমর সানি নামের এক কলেজছাত্র একদল মাতাল যুবকের মারধরের শিকার হয়। তাঁকে ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
মেলা কমিটির কার্যালয়ে গিয়ে কথা হয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহমেদের সঙ্গে। অশ্লীল নাচ, জুয়া, হাউজি খেলা মেলার শর্তের পরিপন্থী কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শর্ত দিয়ে কোনো কিছুই চলে না। মেলায় অশ্লীল নাচ ও জুয়া বন্ধে পুলিশকে বলেছি। কিন্তু তারা নিজেদের স্বার্থেই অর্থাৎ উৎকোচ পাওয়ার কারণেই এগুলো বন্ধ করে না।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহ আলম বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওসি গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘গত মঙ্গলবার এ ব্যাপারে নির্দেশ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে।’ এ ছাড়া মেলায় পুলিশ উৎকোচের বিনিময়ে জুয়া, অশ্লীল নাচ, মাদক বিক্রি চলতে দিচ্ছে—এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
সদর আসনের সাংসদ আবদুল ওদুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহারাজপুরের ঈদ পুনর্মিলনী মেলা বহু পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী মেলা। জামায়াত-বিএনপির আমলেও এসব হয়েছে। আমি কমিয়ে এনেছি। গতবার ২৭টি ভ্যারাইটি শোর প্যান্ডেল ছিল। এবার আছে মাত্র পাঁচটি। ভবিষ্যতে আরও কমে যাবে।’
No comments