ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য জায়সির ভালোবাসা
নাম তাঁর ওইসাম আল জায়সি। দুবাইয়ের বাসিন্দা। ঘরে তাঁর রয়েছে নববধূ। সেই নববধূর সঙ্গ আর প্রিয়জনের মায়া ছেড়ে জায়সি মোটরসাইকেল নিয়ে নেমে পড়েছেন রাস্তায়। গত কয়েক মাসে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গেছেন। ঊষর মরুভূমি পার হয়ে এবার ছুটছেন এশিয়ার নানা দেশে। যাবেন কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতেও।
আনন্দভ্রমণে নামেননি ৩৭ বছরের জায়সি। মোটরসাইকেলে দেশ থেকে দেশান্তরে ছুটছেন এক মহৎ উদ্দেশ্যে। ফিলিস্তিনির শিশুদের জন্য একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণ করা চাই। এই উদ্যোগ নিয়েছে দাতব্য সংস্থা প্যালেস্টাইনিয়ান চিলড্রেন্স রিলিফ ফান্ড (পিসিআরএফ)। পিসিআরএফের পক্ষে তহবিল সংগ্রহে নেমেছেন জায়সি। নানা দেশের নানা ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের কাছে যাচ্ছেন। কথা বলছেন ক্যানসার বিষয়ে। জনগণকে সচেতন করছেন। সবই করছেন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে।
আল জায়সি গত ৬০ দিনে ইউরোপের ৩৬টি দেশে চক্কর দিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মরুভূমিতে ছুটেছেন একা একা। ছুটে গেছেন ওমান থেকে ইরান, পাকিস্তান, এর পর ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, আফগানিস্তান, তুর্কেমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজিস্তান, রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া ও চীনে। সারা দিন ছোটাছুটির পর জায়সি রাতে ঘুমান তাঁবুতে। সামনের দিনগুলোতে লাওস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা।
জায়সি প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা মোটরসাইকেল চালান। রাস্তা ভালো থাকলে ৮০০ কিলোমিটার পাড়ি দেন। জায়সি বলেন, ‘সব সময় একই গতিতে ছোটা সম্ভব হয় না। এই যেমন মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমিতে প্রতিদিন মাত্র ১০০ কিলোমিটার পার হয়েছি।’ গালফ নিউজ অনলাইন।
No comments