ন্যাম সম্মেলন শুরু-ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চায় না : খামেনি-মুরসির বক্তব্যে সিরিয়ার ওয়াকআউট
ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চায় না এবং কখনো তা চায়ওনি- এ দাবির মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৬তম সম্মেলনের উদ্বোধন করেছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা নেতাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ়তাও প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
তবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) ইরান পুরোপুরি সহযোগিতা না করলে 'বাগ্যুদ্ধ সহিংস লড়াইয়ে রূপ নিতে পারে' বলে হুঁশিয়ারি করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।
এদিকে মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ন্যাম নেতাদের প্রতি সিরিয়ার সরকারবিরোধী আন্দোলনে সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন। মুরসির বক্তব্যের প্রতিবাদে সিরিয়ার প্রতিনিধিরা ন্যাম সম্মেলনকক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার মিলিয়ে দুই দিনের এই সম্মেলনে প্রায় ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইসহ অনেক দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এতে অংশ নিচ্ছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি গতকাল স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় তেহরানের আইওসি কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে ইরান আগামী তিন বছরের জন্য ন্যামের প্রেসিডেন্টের পদ পাচ্ছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে খামেনি বলেন, 'আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, ইরান কখনই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চায়নি। এ ধরনের অস্ত্র তৈরির চেষ্টা গুরুতর ও অমার্জনীয় অপরাধ। তবে ইরান কখনই শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের অধিকার ছাড়বে না। পরমাণু কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে ইরানের ওপর যেসব অবরোধ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলো আমাদের পঙ্গু করতে পারেনি এবং পারবেও না।' জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অযৌক্তিক কাঠামো যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের ওপর খবরদারি করার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন খামেনি।
এদিকে পরমাণু ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদ ও আইএইএর সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বান কি মুন। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে ইরান ও ইসরায়েলের দ্বিপক্ষীয় হুমকি-ধমকিরও সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, 'জাতিসংঘের এক সদস্যের দ্বারা আরেক সদস্যকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করছি আমি। জাতিসংঘের কোনো সদস্য রাষ্ট্রের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার অধিকার নেই- এ ধরনের মন্তব্যও জাতিসংঘের নীতি লঙ্ঘন করছে।' স্বাভাবিক গতিতে চলমান সম্মেলনে মিসরীয় প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বক্তব্য গতকাল কিছুটা উত্তেজনা তৈরি করে। মুরসি বলেন, 'তিউনিসিয়ার গণ-আন্দোলনের কয়েক দিন পরই শুরু হওয়া মিসরের সরকারবিরোধী আন্দোলন আরব বসন্তের ভিত্তি তৈরি করেছিল। লিবিয়া ও ইয়েমেন হয়ে এই আন্দোলন এখন সিরিয়ার অত্যাচারী শাসনের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিয়েছে। সিরিয়ায় স্বাধীনতা ও সুবিচারকামীদের প্রতি সমর্থন দেখানো উচিত আমাদের।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
এদিকে মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ন্যাম নেতাদের প্রতি সিরিয়ার সরকারবিরোধী আন্দোলনে সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন। মুরসির বক্তব্যের প্রতিবাদে সিরিয়ার প্রতিনিধিরা ন্যাম সম্মেলনকক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার মিলিয়ে দুই দিনের এই সম্মেলনে প্রায় ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইসহ অনেক দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এতে অংশ নিচ্ছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি গতকাল স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় তেহরানের আইওসি কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে ইরান আগামী তিন বছরের জন্য ন্যামের প্রেসিডেন্টের পদ পাচ্ছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে খামেনি বলেন, 'আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, ইরান কখনই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চায়নি। এ ধরনের অস্ত্র তৈরির চেষ্টা গুরুতর ও অমার্জনীয় অপরাধ। তবে ইরান কখনই শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের অধিকার ছাড়বে না। পরমাণু কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে ইরানের ওপর যেসব অবরোধ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলো আমাদের পঙ্গু করতে পারেনি এবং পারবেও না।' জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অযৌক্তিক কাঠামো যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের ওপর খবরদারি করার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন খামেনি।
এদিকে পরমাণু ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদ ও আইএইএর সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বান কি মুন। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে ইরান ও ইসরায়েলের দ্বিপক্ষীয় হুমকি-ধমকিরও সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, 'জাতিসংঘের এক সদস্যের দ্বারা আরেক সদস্যকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করছি আমি। জাতিসংঘের কোনো সদস্য রাষ্ট্রের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার অধিকার নেই- এ ধরনের মন্তব্যও জাতিসংঘের নীতি লঙ্ঘন করছে।' স্বাভাবিক গতিতে চলমান সম্মেলনে মিসরীয় প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বক্তব্য গতকাল কিছুটা উত্তেজনা তৈরি করে। মুরসি বলেন, 'তিউনিসিয়ার গণ-আন্দোলনের কয়েক দিন পরই শুরু হওয়া মিসরের সরকারবিরোধী আন্দোলন আরব বসন্তের ভিত্তি তৈরি করেছিল। লিবিয়া ও ইয়েমেন হয়ে এই আন্দোলন এখন সিরিয়ার অত্যাচারী শাসনের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিয়েছে। সিরিয়ায় স্বাধীনতা ও সুবিচারকামীদের প্রতি সমর্থন দেখানো উচিত আমাদের।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments