রাজনীতির খপ্পরে বন্দর-নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল দখলের যুদ্ধে নেমেছেন সরকারদলীয় নেতারা by আসিফ সিদ্দিকী
সাড়ে সাত শ কোটি টাকার নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) অপারেটর নিয়োগের দরপত্র নিয়ে আবারও উত্তপ্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের রাজনীতি। দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকার পর বন্দরের ১০ হাজার শ্রমিককে আয়ত্তে আনতে শুরু হয়েছে সরকারদলীয় নেতাদের দখলযুদ্ধ।
বন্দরের কর্তৃত্ব নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ওই নেতারা সরাসরি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বন্দর রক্ষা পরিষদ গঠন করে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে আছেন বন্দরের ডক বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদের (সিবিএ) নেতারা। চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর পতেঙ্গা আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, বন্দর ব্যবহারকারীদের সংগঠন পোর্ট ইউজার্স ফোরাম ও চট্টগ্রাম চেম্বার এম এ লতিফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সংগঠনের অনেকেই মহিউদ্দিন চৌধুরীর আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণসহ এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
সাবেক সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এনসিটির অপারেটর নিয়োগের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই গরম হয়ে ওঠে বন্দরের রাজনীতি। মহিউদ্দিন চৌধুরী বরাবরই বন্দর নিয়ে রাজনীতি করে আসছিলেন।
সেনা সমর্থিত ওয়ান ইলেভেনের পর থেকে বর্তমান সরকারের তিন বছর পর্যন্ত তাঁকে বন্দর নিয়ে রাজনীতি করতে দেখা যায়নি। হরতাল-অবরোধের সময়ও কেউ বন্দর নিয়ে রাজনীতিতে মেতে ওঠেননি।
গত ঈদের পর থেকেই মহিউদ্দিন চৌধুরী বন্দর নিয়ে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসছেন। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে নবগঠিত বন্দর রক্ষা পরিষদের ব্যানারে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এনসিটিতে সাইফ পাওয়ারটেককে কাজ পাইয়ে দিতে বন্দরের একটি মাফিয়া চক্র হরিলুটে নেমেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। গতকাল ৩০ আগস্ট তিনি টার্মিনালের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে এই বিতর্কিত ও বেআইনি দরপত্রপ্রক্রিয়া স্থগিত করার দাবি জানিয়েছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। কিন্তু সেই দাবি না মেনে বন্দর কর্তৃপক্ষ গতকাল মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দরপত্র জমা নেয়। এর প্রতিবাদে সকালে বন্দর ভবনের সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করলেও পুলিশি বাধায় তা সফল হয়নি। পরে বিকেলে আবারও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে শ্রমিকদের নিয়ে মানববন্ধন করেন তিনি। এতে যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরাও যোগ দিয়েছেন।
সাবেক সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, একটি মাফিয়া চক্র বন্দরকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে। বর্তমানে কর্মরত বন্দরের কিছু কর্মকর্তা এর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তাঁরাই বন্দর দিয়ে অবৈধভাবে অস্ত্র আনছেন। তাঁদের চিহ্নিত করে ধ্বংস না করলে এই অর্থনীতির লাইফলাইন চট্টগ্রাম বন্দর টিকবে না।
মহিউদ্দিন বলেন, অবস্থা এমন হয়েছে যে মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কথা বললে বন্দরের কর্মকর্তাদের বদলির মাধ্যমে হয়রানি করা হয়।
বন্দরে অনেক দিন ধরে এনসিটির অপারেটর নিয়োগের দরপত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি সংবাদপত্রে তুলে ধরা হলেও এত দেরিতে কেন আন্দোলনে নামলেন- এর জবাবে তিনি বলেন, 'যখনই জেনেছি তখনই সরকারের প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেছি। কাজ না হওয়ায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছি।'
মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, মাফিয়াদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার জন্য ১ সেপ্টেম্বর বন্দর ব্যবহারকারীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা ডাকা হয়েছে। সেখান থেকেই কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
বন্দরের রাজনীতি করায়ত্ত করতে পারলেই চট্টগ্রামের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়- এমন ধারণায় অনেক আগে থেকেই সরকার ও বিরোধী দলের নেতারা বন্দর নিয়ে রাজনীতি করেন। বন্দরের শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া আদায়ে রমজানের শুরুতে একসঙ্গে বসেছিলেন পরস্পরবিরোধী দুই প্রভাবশালী নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও এম এ লতিফ। কিন্তু রমজান শেষ না হতেই মহিউদ্দিন চৌধুরী একাই আন্দোলন শুরু করলেন।
এ বিষয়ে বন্দর পতেঙ্গা আসনের এমপি ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট এম এ লতিফ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বন্দরের শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে। দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন নিয়ে আমরা বৈঠকে বসেছি। বন্দর কর্তৃপক্ষও এগুলোর বাস্তবায়ন শুরু করেছেন। হঠাৎ করে কী এমন হলো যে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিতে হবে?'
এম এ লতিফ বলেন, বন্দরে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করতে বন্দর উপদেষ্টা কমিটিসহ বিভিন্ন্ন ফোরাম রয়েছে। সরকারদলীয় নেতা হিসেবে সেখানেই বিষয়টি সমাধান না করে আন্দোলনের হুমকি দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। বন্দর অচল করে দাবি আদায়ের পুরনো পদ্ধতি এখন আর নেই বলেও তিনি জানান।
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারীদের সংগঠন পোর্ট ইউজার্স ফোরাম আজ শুক্রবার বিকেলে জরুরি সভা ডেকে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। সংগঠনের সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম এই আন্দোলনের বিরোধিতা করে কালের কণ্ঠকে জানান, মহল বিশেষের আন্দোলন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। এর সঙ্গে ব্যবসায়ী কিংবা বন্দর ব্যবহারকারীদের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি বন্দরকে ধ্বংস করার চক্রান্ত।
মহিউদ্দিন চৌধুরীকে উদ্দেশ করে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ বলেন, 'উনি পলিটিক্যাল ম্যান। ব্যবসা করব আমরা। সুতরাং চট্টগ্রাম চেম্বারই বিষয়টি দেখার অধিকার রাখে। বার্গেনিং আমরা করব।'
এনসিটির অপারেটর নিয়োগের দরপত্রে শর্ত সংশোধন সম্পর্কে জানতে চাইলে মোরশেদ মুরাদ জানান, যদি হয়েই থাকে তাহলে এটা সবার জন্য প্রযোজ্য। কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠান তো এককভাবে সেই সুবিধা পাবে না। তিনি প্রশ্ন রাখেন, দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু মহিউদ্দিন চৌধুরী আগেভাগে কিভাবে জানলেন যে সাইফ পাওয়ারটেক কাজ পাবে?
পটিয়ার এমপি সামশুল হক চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমান সরকারের তিন বছরে চট্টগ্রাম বন্দর সবচেয়ে ভালো চলছে। এটাকে অচল বা অস্থিতিশীল করে তোলা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরস্পরবিরোধী অবস্থান তুলে ধরে সামশুল হক বলেন, একটা সময় বিদেশিদের এসএস পোর্ট নির্মাণ ঠেকাতে তিনি আন্দোলন করেছেন, এখন দেশি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ ঠেকাতে তিনি কেন আন্দোলন করছেন? সরকারদলীয় একজন নেতা হিসেবে এই অবস্থান থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে তিনি সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বন্দর রক্ষা পরিষদ গঠন করে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে আছেন বন্দরের ডক বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদের (সিবিএ) নেতারা। চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর পতেঙ্গা আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, বন্দর ব্যবহারকারীদের সংগঠন পোর্ট ইউজার্স ফোরাম ও চট্টগ্রাম চেম্বার এম এ লতিফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সংগঠনের অনেকেই মহিউদ্দিন চৌধুরীর আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণসহ এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
সাবেক সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এনসিটির অপারেটর নিয়োগের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই গরম হয়ে ওঠে বন্দরের রাজনীতি। মহিউদ্দিন চৌধুরী বরাবরই বন্দর নিয়ে রাজনীতি করে আসছিলেন।
সেনা সমর্থিত ওয়ান ইলেভেনের পর থেকে বর্তমান সরকারের তিন বছর পর্যন্ত তাঁকে বন্দর নিয়ে রাজনীতি করতে দেখা যায়নি। হরতাল-অবরোধের সময়ও কেউ বন্দর নিয়ে রাজনীতিতে মেতে ওঠেননি।
গত ঈদের পর থেকেই মহিউদ্দিন চৌধুরী বন্দর নিয়ে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসছেন। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে নবগঠিত বন্দর রক্ষা পরিষদের ব্যানারে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এনসিটিতে সাইফ পাওয়ারটেককে কাজ পাইয়ে দিতে বন্দরের একটি মাফিয়া চক্র হরিলুটে নেমেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। গতকাল ৩০ আগস্ট তিনি টার্মিনালের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে এই বিতর্কিত ও বেআইনি দরপত্রপ্রক্রিয়া স্থগিত করার দাবি জানিয়েছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। কিন্তু সেই দাবি না মেনে বন্দর কর্তৃপক্ষ গতকাল মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দরপত্র জমা নেয়। এর প্রতিবাদে সকালে বন্দর ভবনের সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করলেও পুলিশি বাধায় তা সফল হয়নি। পরে বিকেলে আবারও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে শ্রমিকদের নিয়ে মানববন্ধন করেন তিনি। এতে যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরাও যোগ দিয়েছেন।
সাবেক সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, একটি মাফিয়া চক্র বন্দরকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে। বর্তমানে কর্মরত বন্দরের কিছু কর্মকর্তা এর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তাঁরাই বন্দর দিয়ে অবৈধভাবে অস্ত্র আনছেন। তাঁদের চিহ্নিত করে ধ্বংস না করলে এই অর্থনীতির লাইফলাইন চট্টগ্রাম বন্দর টিকবে না।
মহিউদ্দিন বলেন, অবস্থা এমন হয়েছে যে মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কথা বললে বন্দরের কর্মকর্তাদের বদলির মাধ্যমে হয়রানি করা হয়।
বন্দরে অনেক দিন ধরে এনসিটির অপারেটর নিয়োগের দরপত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি সংবাদপত্রে তুলে ধরা হলেও এত দেরিতে কেন আন্দোলনে নামলেন- এর জবাবে তিনি বলেন, 'যখনই জেনেছি তখনই সরকারের প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেছি। কাজ না হওয়ায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছি।'
মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, মাফিয়াদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার জন্য ১ সেপ্টেম্বর বন্দর ব্যবহারকারীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা ডাকা হয়েছে। সেখান থেকেই কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
বন্দরের রাজনীতি করায়ত্ত করতে পারলেই চট্টগ্রামের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়- এমন ধারণায় অনেক আগে থেকেই সরকার ও বিরোধী দলের নেতারা বন্দর নিয়ে রাজনীতি করেন। বন্দরের শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া আদায়ে রমজানের শুরুতে একসঙ্গে বসেছিলেন পরস্পরবিরোধী দুই প্রভাবশালী নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও এম এ লতিফ। কিন্তু রমজান শেষ না হতেই মহিউদ্দিন চৌধুরী একাই আন্দোলন শুরু করলেন।
এ বিষয়ে বন্দর পতেঙ্গা আসনের এমপি ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট এম এ লতিফ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বন্দরের শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে। দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন নিয়ে আমরা বৈঠকে বসেছি। বন্দর কর্তৃপক্ষও এগুলোর বাস্তবায়ন শুরু করেছেন। হঠাৎ করে কী এমন হলো যে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিতে হবে?'
এম এ লতিফ বলেন, বন্দরে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করতে বন্দর উপদেষ্টা কমিটিসহ বিভিন্ন্ন ফোরাম রয়েছে। সরকারদলীয় নেতা হিসেবে সেখানেই বিষয়টি সমাধান না করে আন্দোলনের হুমকি দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। বন্দর অচল করে দাবি আদায়ের পুরনো পদ্ধতি এখন আর নেই বলেও তিনি জানান।
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারীদের সংগঠন পোর্ট ইউজার্স ফোরাম আজ শুক্রবার বিকেলে জরুরি সভা ডেকে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। সংগঠনের সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম এই আন্দোলনের বিরোধিতা করে কালের কণ্ঠকে জানান, মহল বিশেষের আন্দোলন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। এর সঙ্গে ব্যবসায়ী কিংবা বন্দর ব্যবহারকারীদের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি বন্দরকে ধ্বংস করার চক্রান্ত।
মহিউদ্দিন চৌধুরীকে উদ্দেশ করে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ বলেন, 'উনি পলিটিক্যাল ম্যান। ব্যবসা করব আমরা। সুতরাং চট্টগ্রাম চেম্বারই বিষয়টি দেখার অধিকার রাখে। বার্গেনিং আমরা করব।'
এনসিটির অপারেটর নিয়োগের দরপত্রে শর্ত সংশোধন সম্পর্কে জানতে চাইলে মোরশেদ মুরাদ জানান, যদি হয়েই থাকে তাহলে এটা সবার জন্য প্রযোজ্য। কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠান তো এককভাবে সেই সুবিধা পাবে না। তিনি প্রশ্ন রাখেন, দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু মহিউদ্দিন চৌধুরী আগেভাগে কিভাবে জানলেন যে সাইফ পাওয়ারটেক কাজ পাবে?
পটিয়ার এমপি সামশুল হক চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমান সরকারের তিন বছরে চট্টগ্রাম বন্দর সবচেয়ে ভালো চলছে। এটাকে অচল বা অস্থিতিশীল করে তোলা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরস্পরবিরোধী অবস্থান তুলে ধরে সামশুল হক বলেন, একটা সময় বিদেশিদের এসএস পোর্ট নির্মাণ ঠেকাতে তিনি আন্দোলন করেছেন, এখন দেশি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ ঠেকাতে তিনি কেন আন্দোলন করছেন? সরকারদলীয় একজন নেতা হিসেবে এই অবস্থান থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে তিনি সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
No comments