সেলিব্রেটিদের আলোচিত দ্বিতীয় বিয়ে
মানুষ অকারণে মোহগ্রস্ত হন। কেউবা প্রয়োজনে আবার কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে একের অধিক বিয়ে করেন। আজকের আয়োজনে থাকছে আলোচিত কিছু দ্বিতীয় বিয়ে। সেইসব বিয়ের প্রভাব পড়েছে তাদের সংসারে আবার কখনো বা তাদের ক্যারিয়ারে। বিনোদন বিভাগের এই আয়োজন কিন্তু মোটেও দ্বিতীয় বিয়েকে উৎসাহিত করছে না। চলুন তবে দেখে নেই সেলিব্রেটিদের আলোচিত কিছু দ্বিতীয় বিয়ে।
রুনা লায়লা-আলমগীর: উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা বিয়ে করেন মোট চারবার। সবশেষ বিয়ে করেন চলচ্চিত্র অভিনেতা আলমগীরকে। রুনা লায়লার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে আলমগীর তার স্ত্রী খোশনুরের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিবাহিত জীবনের ইতি টানেন।
সাবিনা ইয়াসমিন-কবীর সুমন: প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন বিয়ে করেন কবীর সুমনকে। তবে সুমনের আগে আরো দুইবার বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন এই গুণী শিল্পী। প্রথম স্বামী আনিসুর রহমানের ঘরে বাঁধন নামে সাবিনার একটি কন্যা সন্তান আছে। এবং দ্বিতীয় স্বামী আমির হোসেনের ঘরে শাবণ নামে সাবিনার একটি পূত্র সন্তান আছে। এদিকে সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে কবীর সুমন পরিচয় গ্রহণকারী প্রখ্যাত ভারতীয় এই সঙ্গীত শিল্পী মোট পাঁচবার বিয়ে করেছেন।
সুবর্না মুস্তফা- বদরুল আনাম সৌদ: অভিনেত্রী সুর্বনা মুস্তফা ১৯৮৪ সালে বিয়ে করেন হুমায়ুন ফরিদীকে। নাট্য মঞ্চে একসঙ্গে অভিনয় করতে করতেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ফরিদী তার প্রথম স্ত্রী মিনুর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে সুবর্নাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতি দীর্ঘ ২৪ বছর একসঙ্গে সংসার করেন। ২০০৮ সালে সুর্বনা ডিভোর্স দেন হুমায়ুন ফরিদীকে এবং এর পরপরই বিয়ে করেন নাট্য পরিচালক বদরুল আনাম সৌদকে। সুর্বনার মুস্তফার চেয়ে ১৪ বছরের ছোট বদরুল আনাম সৌদ।
হুমায়ূন আহমেদ-গুলতেকিন: হুমায়ূন আহমেদের কিশোরী বধু গুলতেকিন। এই দম্পতি তিন মেয়ে আর দুই ছেলের জন্ম দেন। হুমায়ূন আহমেদ রচিত ‘আজ রবিবার’ ধারাবাহিক নাটকের সেটে লেখক প্রেমে পড়েন মেয়ে শীলা আহমেদের বান্ধবী মেহের আফরোজ শাওনের। এই অসম বয়সী প্রেম তুমুল আলোড়ন তোলে। এপর্যায়ে ভেঙ্গে যায় হুমায়ূন-গুলতেকিনের ৩০ বছরের সংসার। লেখক পরিবার ও সন্তানদের থেকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করতে শুরু করেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ কার্যকর হওয়ার পরের দিনই হুমায়ূন আহমেদ বিয়ে করেন শাওনকে। শাওনের ঘরে হুমায়ূন আহমেদের দুই ছেলে সন্তান আছে।
ধর্মেন্দ-হেমা মালিনী: ১৯৫৪ সাল যখন ধর্মেন্দ্রর বয়স মাত্র ১৯ সেসময় তিনি বিয়ে করেন প্রকাশ করকে। ধর্মেন্দ্র দ্বিতীয় বিয়ে করেন ব্লকবাস্টার ছবি শোলে মুক্তি পাবার পর। শোলের আগেও অনেক ছবিতে হেমার সঙ্গে অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র কিন্তু তারপরেও শোলে ছবির সেটে তিনি হেমার প্রেমে পড়েন।
ধর্মেন্দ্র-হেমা দুজনেই মুসলিম হয়ে তারপর বিয়ে করেন। ধর্মেন্দ্র তার প্রথম স্ত্রীকে ত্যাগ করেননি। দুই বিয়েই একসঙ্গে টিকিয়ে রেখেছেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর এদিকে সানি, ববি, অভয়, বিজেতা ও অজিতা নামের সন্তান আছে। দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনীর সঙ্গে এশা ও অহনা নামের দুই কন্যা সন্তান আছে।
কিশোর কুমার-মধুবালা: মধুবালার চিকিৎসার্থে লন্ডনের পথে যাত্রার এক রোমান্টিক মুহূর্তে কিশোর কুমার বিয়ের প্রস্তাব করেছিলেন মধুবালাকে। কিশোর কুমার তখন বিবাহিত ছিলেন। এই অবস্থায় কিশোর কুমারের বাবা-মা ছেলের দ্বিতীয় বিয়েতে কিছুতেই রাজি ছিলেন না। বাবা-মা কিছুতেই চাননি ছেলে বধু রমা গুহ ঠাকুরতাকে ত্যাগ করতে। তার ওপর আবার মধুবালা ছিলেন মুসলিম। সবমিলিয়ে কিশোর-মধুবালা জুটিকে তুমুল অস্বস্তিতে পড়তে হয়। দর্শকদের মাঝেও তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তারা নিজেরাই বিয়ে করেন। তাদের বিয়ে ৯ বছর স্থায়ী হয়েছিল।
শাবানা আজমি- জাবেদ আকতার: প্রখ্যাত গীতিকার ও কবি জাভেদ আকতার দীর্ঘদিন ধরে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। প্রথম স্ত্রী হানি ইরানিকে ডিভোর্স দিয়ে জাভেদ আকতার বিযে করেন অভিনেত্রী শাবানা আজমিকে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে জাভেদ আকতারের ফারহান ও জয়া আকতার দুই সন্তান আছেন।
কমল হাসান-শারিকা: ব্যালে ডান্সার বানি গনপতিকে ১৯৭৮ সালে বিয়ে করেন কমল হাসান। তাদের বিয়ে ১০ বছর টেকসই হয়েছিল। প্রথম বিয়ে বিচ্ছেদের পর কমল হাসান বিয়ে করেন অভিনেত্রী শারিকাকে। কমল-শারিকা দম্পতির শ্রুতি ও আকসারা নামের দুই মেয়ে আছে।
বিনোদ খান্না-কবিতা:১৯৭১ সালে বিনোদ খান্না গীতাঞ্জলিকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রাহুল খান্না এবং অক্ষয় খান্না জন্মগ্রহণ করেন। বিনোদের দুই সন্তান এখন বলিউডের পরিচিত মুখ। বিনোদ খান্না হুট করেই সিদ্ধান্ত নেন তিনি ইউএস এর ওশো গোষ্ঠীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করবেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে থাকবেন। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘদিন এভাবেই চলতে থাকে, একপর্যায়ে বিনোদ-গীতাঞ্জলি দম্পতির বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ১৯৯০ সালে বিনোদ বিয়ে করেন অভিনেত্রী কবিতাকে। এই দম্পতির সাক্ষি ও শ্রদ্ধা নামের দুই সন্তান আছে।
বনি কাপুর- শ্রীদেবী: প্রযোজক বনি কাপুর বিয়ে করেছিলেন মোনা শোরিকে। তাদের সেই সংসারে ঝড় হয়ে আসেন অভিনেত্রী শ্রীদেবী। মোনা-বনি কাপুরের ভালবাসা, বিয়ে ও প্রবঞ্চনা রীতিমত আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। বনি-মোনা দম্পতির দুই সন্তান অর্জুন ও আনসালা। অর্জুন কাপুরের সম্প্রতি বলিউডে অভিষেক ঘটেছে এবং দক্ষতার সঙ্গে তিনি সেখানে নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন। বনি-মোনা দম্পতির এখন পর্যন্ত বৈধ ডিভোর্স হয়নি। ১৯৯৬ সালে বনি বিযে করেন শ্রীদেবীকে। তাদের জাহ্নবি ও খুশি নামের দুই মেয়ে আছে। এ বছরের মার্চ মাসে বনি কাপুরের প্রথম স্ত্রী মোনা শোরি মারা যান।
আমির খান-কিরন রাও: ১৯৮৬ সালে আমির খান প্রেম করে বিয়ে করেন রিনা দত্তকে। রিনা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত তাক’ চবিতে একটি ছোট্ট রোল প্লে করেছিলেন। রিনা দত্ত আমিরের লগান ছবির প্রোডাকশনেও সহযোগিতা করেছেন। ২০০২ সালে আমির রিনা দত্তের সঙ্গে ১৫ বছরের সংসার জীবনের অবসান ঘটান। তাদের জুনায়েদ ও ইরা নামের দুই সন্তান আছে। ২০০৫ সালে আমির বিয়ে করেন কিরন রাওকে। আশুতোশ গোয়ারিকরের লগান ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন কিরণ রাও। সেখানেই এই জুটির মধ্যে সম্পর্কের শুরু। আমির-কিরণ দম্পতির আজাদ রাও খান নামের একটি ছেলে আছে।
শিল্পা শেঠী-রাজ কুন্দ্রা: ২০০৯ সালে শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রা বিয়ে করেন অভিনেত্রী শিল্পা শেঠীকে। তাদের বিয়ে রুপকথার মতোই হয়ে উঠেছিল। তারপরেও সমালোচনা তাদের পিছু ছাড়েনি। শিল্পার জন্যেই নাকি ভেঙ্গে যায় রাজ কুন্দ্রা ও তার প্রথম স্ত্রী কবিতার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য। রাজ-কবিতা দম্পতির একটি কন্যা সন্তান আছে। এদিকে শিল্পার সঙ্গেও একটি পূত্র সন্তানের গর্বিত জনক হয়েছেন রাজ কুন্দ্রা।
কারিশমা কাপুর-সঞ্জয় কাপুর: ২০০৩ সালে কারিশমা কাপুরের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের এনগেজমেন্ট ভেঙ্গে যায়। দীর্ঘদিন তারা দুজন প্রেম করেছেন। এরপর কারিশমা বিয়ে করেন বাল্যবন্ধু শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরকে। সঞ্জয়ের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের চুক্তিপত্র চলাকালে তারা দুজন বিবাহ বন্ধনে আবদ্দ হন। বিয়ের পর কারিশমা দিল্লিতে স্বামীর সঙ্গে থাকা শুরু করেন এবং বলিউডকে সাময়িক বিদায় জানান। এই দম্পতির দুই সন্তান আছে।
কারিনা-সাইফ আলী খান: সাইফ আলি খান ও কারিনার বিয়ে বলিউডের বহুল আকাঙ্খিত বিয়ের তালিকায় আছে। ১৯৯১ সালে ২১ বছর বয়সী সাইফ বিয়ে করেছিলেন বয়সী ৩৫ বছর অভিনেত্রী অমৃতা সিংকে। এই দম্পতির ইব্রাহীম ও সারা নামের দুই সন্তান আছে। ২০০৪ সালে সাইফ ও অমৃতা তাদের দীর্ঘ ১৩ বছরের বিয়ের বিচ্ছেদ ঘটান। ২০০৭ সাল থেকে সাইফ অভিনেত্রী কারিনার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন। এ বছরের অক্টোবরে এই যুগল বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হবেন।
সুবর্না মুস্তফা- বদরুল আনাম সৌদ: অভিনেত্রী সুর্বনা মুস্তফা ১৯৮৪ সালে বিয়ে করেন হুমায়ুন ফরিদীকে। নাট্য মঞ্চে একসঙ্গে অভিনয় করতে করতেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ফরিদী তার প্রথম স্ত্রী মিনুর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে সুবর্নাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতি দীর্ঘ ২৪ বছর একসঙ্গে সংসার করেন। ২০০৮ সালে সুর্বনা ডিভোর্স দেন হুমায়ুন ফরিদীকে এবং এর পরপরই বিয়ে করেন নাট্য পরিচালক বদরুল আনাম সৌদকে। সুর্বনার মুস্তফার চেয়ে ১৪ বছরের ছোট বদরুল আনাম সৌদ।
হুমায়ূন আহমেদ-গুলতেকিন: হুমায়ূন আহমেদের কিশোরী বধু গুলতেকিন। এই দম্পতি তিন মেয়ে আর দুই ছেলের জন্ম দেন। হুমায়ূন আহমেদ রচিত ‘আজ রবিবার’ ধারাবাহিক নাটকের সেটে লেখক প্রেমে পড়েন মেয়ে শীলা আহমেদের বান্ধবী মেহের আফরোজ শাওনের। এই অসম বয়সী প্রেম তুমুল আলোড়ন তোলে। এপর্যায়ে ভেঙ্গে যায় হুমায়ূন-গুলতেকিনের ৩০ বছরের সংসার। লেখক পরিবার ও সন্তানদের থেকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করতে শুরু করেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ কার্যকর হওয়ার পরের দিনই হুমায়ূন আহমেদ বিয়ে করেন শাওনকে। শাওনের ঘরে হুমায়ূন আহমেদের দুই ছেলে সন্তান আছে।
ধর্মেন্দ-হেমা মালিনী: ১৯৫৪ সাল যখন ধর্মেন্দ্রর বয়স মাত্র ১৯ সেসময় তিনি বিয়ে করেন প্রকাশ করকে। ধর্মেন্দ্র দ্বিতীয় বিয়ে করেন ব্লকবাস্টার ছবি শোলে মুক্তি পাবার পর। শোলের আগেও অনেক ছবিতে হেমার সঙ্গে অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র কিন্তু তারপরেও শোলে ছবির সেটে তিনি হেমার প্রেমে পড়েন।
ধর্মেন্দ্র-হেমা দুজনেই মুসলিম হয়ে তারপর বিয়ে করেন। ধর্মেন্দ্র তার প্রথম স্ত্রীকে ত্যাগ করেননি। দুই বিয়েই একসঙ্গে টিকিয়ে রেখেছেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর এদিকে সানি, ববি, অভয়, বিজেতা ও অজিতা নামের সন্তান আছে। দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনীর সঙ্গে এশা ও অহনা নামের দুই কন্যা সন্তান আছে।
কিশোর কুমার-মধুবালা: মধুবালার চিকিৎসার্থে লন্ডনের পথে যাত্রার এক রোমান্টিক মুহূর্তে কিশোর কুমার বিয়ের প্রস্তাব করেছিলেন মধুবালাকে। কিশোর কুমার তখন বিবাহিত ছিলেন। এই অবস্থায় কিশোর কুমারের বাবা-মা ছেলের দ্বিতীয় বিয়েতে কিছুতেই রাজি ছিলেন না। বাবা-মা কিছুতেই চাননি ছেলে বধু রমা গুহ ঠাকুরতাকে ত্যাগ করতে। তার ওপর আবার মধুবালা ছিলেন মুসলিম। সবমিলিয়ে কিশোর-মধুবালা জুটিকে তুমুল অস্বস্তিতে পড়তে হয়। দর্শকদের মাঝেও তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তারা নিজেরাই বিয়ে করেন। তাদের বিয়ে ৯ বছর স্থায়ী হয়েছিল।
শাবানা আজমি- জাবেদ আকতার: প্রখ্যাত গীতিকার ও কবি জাভেদ আকতার দীর্ঘদিন ধরে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। প্রথম স্ত্রী হানি ইরানিকে ডিভোর্স দিয়ে জাভেদ আকতার বিযে করেন অভিনেত্রী শাবানা আজমিকে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে জাভেদ আকতারের ফারহান ও জয়া আকতার দুই সন্তান আছেন।
কমল হাসান-শারিকা: ব্যালে ডান্সার বানি গনপতিকে ১৯৭৮ সালে বিয়ে করেন কমল হাসান। তাদের বিয়ে ১০ বছর টেকসই হয়েছিল। প্রথম বিয়ে বিচ্ছেদের পর কমল হাসান বিয়ে করেন অভিনেত্রী শারিকাকে। কমল-শারিকা দম্পতির শ্রুতি ও আকসারা নামের দুই মেয়ে আছে।
বিনোদ খান্না-কবিতা:১৯৭১ সালে বিনোদ খান্না গীতাঞ্জলিকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রাহুল খান্না এবং অক্ষয় খান্না জন্মগ্রহণ করেন। বিনোদের দুই সন্তান এখন বলিউডের পরিচিত মুখ। বিনোদ খান্না হুট করেই সিদ্ধান্ত নেন তিনি ইউএস এর ওশো গোষ্ঠীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করবেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে থাকবেন। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘদিন এভাবেই চলতে থাকে, একপর্যায়ে বিনোদ-গীতাঞ্জলি দম্পতির বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ১৯৯০ সালে বিনোদ বিয়ে করেন অভিনেত্রী কবিতাকে। এই দম্পতির সাক্ষি ও শ্রদ্ধা নামের দুই সন্তান আছে।
বনি কাপুর- শ্রীদেবী: প্রযোজক বনি কাপুর বিয়ে করেছিলেন মোনা শোরিকে। তাদের সেই সংসারে ঝড় হয়ে আসেন অভিনেত্রী শ্রীদেবী। মোনা-বনি কাপুরের ভালবাসা, বিয়ে ও প্রবঞ্চনা রীতিমত আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। বনি-মোনা দম্পতির দুই সন্তান অর্জুন ও আনসালা। অর্জুন কাপুরের সম্প্রতি বলিউডে অভিষেক ঘটেছে এবং দক্ষতার সঙ্গে তিনি সেখানে নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন। বনি-মোনা দম্পতির এখন পর্যন্ত বৈধ ডিভোর্স হয়নি। ১৯৯৬ সালে বনি বিযে করেন শ্রীদেবীকে। তাদের জাহ্নবি ও খুশি নামের দুই মেয়ে আছে। এ বছরের মার্চ মাসে বনি কাপুরের প্রথম স্ত্রী মোনা শোরি মারা যান।
আমির খান-কিরন রাও: ১৯৮৬ সালে আমির খান প্রেম করে বিয়ে করেন রিনা দত্তকে। রিনা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত তাক’ চবিতে একটি ছোট্ট রোল প্লে করেছিলেন। রিনা দত্ত আমিরের লগান ছবির প্রোডাকশনেও সহযোগিতা করেছেন। ২০০২ সালে আমির রিনা দত্তের সঙ্গে ১৫ বছরের সংসার জীবনের অবসান ঘটান। তাদের জুনায়েদ ও ইরা নামের দুই সন্তান আছে। ২০০৫ সালে আমির বিয়ে করেন কিরন রাওকে। আশুতোশ গোয়ারিকরের লগান ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন কিরণ রাও। সেখানেই এই জুটির মধ্যে সম্পর্কের শুরু। আমির-কিরণ দম্পতির আজাদ রাও খান নামের একটি ছেলে আছে।
শিল্পা শেঠী-রাজ কুন্দ্রা: ২০০৯ সালে শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রা বিয়ে করেন অভিনেত্রী শিল্পা শেঠীকে। তাদের বিয়ে রুপকথার মতোই হয়ে উঠেছিল। তারপরেও সমালোচনা তাদের পিছু ছাড়েনি। শিল্পার জন্যেই নাকি ভেঙ্গে যায় রাজ কুন্দ্রা ও তার প্রথম স্ত্রী কবিতার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য। রাজ-কবিতা দম্পতির একটি কন্যা সন্তান আছে। এদিকে শিল্পার সঙ্গেও একটি পূত্র সন্তানের গর্বিত জনক হয়েছেন রাজ কুন্দ্রা।
কারিশমা কাপুর-সঞ্জয় কাপুর: ২০০৩ সালে কারিশমা কাপুরের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের এনগেজমেন্ট ভেঙ্গে যায়। দীর্ঘদিন তারা দুজন প্রেম করেছেন। এরপর কারিশমা বিয়ে করেন বাল্যবন্ধু শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরকে। সঞ্জয়ের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের চুক্তিপত্র চলাকালে তারা দুজন বিবাহ বন্ধনে আবদ্দ হন। বিয়ের পর কারিশমা দিল্লিতে স্বামীর সঙ্গে থাকা শুরু করেন এবং বলিউডকে সাময়িক বিদায় জানান। এই দম্পতির দুই সন্তান আছে।
কারিনা-সাইফ আলী খান: সাইফ আলি খান ও কারিনার বিয়ে বলিউডের বহুল আকাঙ্খিত বিয়ের তালিকায় আছে। ১৯৯১ সালে ২১ বছর বয়সী সাইফ বিয়ে করেছিলেন বয়সী ৩৫ বছর অভিনেত্রী অমৃতা সিংকে। এই দম্পতির ইব্রাহীম ও সারা নামের দুই সন্তান আছে। ২০০৪ সালে সাইফ ও অমৃতা তাদের দীর্ঘ ১৩ বছরের বিয়ের বিচ্ছেদ ঘটান। ২০০৭ সাল থেকে সাইফ অভিনেত্রী কারিনার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন। এ বছরের অক্টোবরে এই যুগল বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হবেন।
No comments