মহানগর দায়রা আদালতে আবেদন-৩৩ নেতার জামিনের শুনানি ২৩ মে

হরতালে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষস্থানীয় ৩৩ জন নেতার জামিনের আবেদন করা হয়েছে মহানগর দায়রা জজ আদালতে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের পক্ষে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ফৌজদারি বিবিধ মামলা দায়ের করে প্রত্যেকের জামিন চান।


সানাউল্লাহ মিয়া জানান, মহানগর দায়রা আদালতের বিচারক মো. জহুরুল হক আগামী ২৩ মে জামিনের আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ব্রিগেডিয়ার (অব.) হান্নান শাহ, ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, এলডিপি নেতা অলি আহমেদ, বিজেপি নেতা আন্দালিব রহমান পার্থ, জাগপা নেতা শফিউল আলম প্রধান, পিএনপি নেতা শওকত হোসেন নিলুসহ ১৮ দলীয় জোটের ৩৩ নেতা-কর্মী বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে গেলে তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতালে গত ২৯ এপ্রিল রাত ৯টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে সাত-আটটি সাদা মাইক্রোবাস থেকে নেমে একদল লোক একটি বাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়। ভয়ে বাসে থাকা লোকজন গাড়ি থেকে নেমে যায়। এ সময় এলাকায় এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপিসহ ১৮ দলের ৪৪ নেতা-কর্মীকে আসামি করে তেজগাঁও থানায় দ্রুত বিচার আইনের ৪ ও ৫ ধারায় মামলা করে পুলিশ। একই দিনে সচিবালয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা-কর্মীদের আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা হয়।
পরে পুলিশ তদন্ত করে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গত ১০ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
আসামিরা দুটি মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেন হাইকোর্টে। গত ৭ মে আসামিরা বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের বেঞ্চে হাজির হন। তাঁদের পক্ষে আইনজীবীরা শুনানি করার পর দুই বিচারপতি দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেন।
সিনিয়র বিচারপতি পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। তবে জুনিয়র বিচারপতি সরাসরি জামিন না দিয়ে তাঁদের এক সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। ফলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য আগাম জামিনের আবেদনের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে যায়। প্রধান বিচারপতি পরবর্তী শুনানির জন্য বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল হকের তৃতীয় বেঞ্চে পাঠান।
গত রবিবার তৃতীয় বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি হয়। ওই দিন আদালত আসামিদের আগাম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেককে বুধবারের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন। এক দিন পর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় আসামিদের আগাম জামিন দেন হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ।

No comments

Powered by Blogger.