শান্তি কোন পথে? by মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী
আমরা যদি সত্যিকারের শান্তি-সুখ পেতে চাই, সমাজকে সুদ, ঘুষ, ধর্ষণ, দুর্নীতিসহ সব ধরনের অপকর্মমুক্ত করতে চাই তাহলে আমাদের উচিত, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিনের প্রেরিত জীবন বিধানকে মেনে নেওয়া ও রাসূলুল্লাহর (সা.) শিক্ষাকে গ্রহণ করা। হুজুর আকরাম (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুপম আদর্শ।
সাহাবি সম্পর্কে নবী করিম (সা.) বলেছেন, আমার সাহাবিরা তারকাস্বরূপ, তোমরা তাদের থেকে যে কাউকে অনুসরণ করলে হেদায়াত পেয়ে যাবে। কারণ তাদের মন-মানসিকতা সম্পূর্ণভাবে ইসলামের সঙ্গে মিলিত হয়ে গেছে। আল্লাহ্র রাসূলের সংস্পর্শের কারণে বিভিন্ন বিষয় তাদের বুঝতে সহজ হয়ে গিয়েছিল। তারা সোনালি ও আলোকিত মানুষ ছিলেন। তারা ইসলামী আদর্শের অধিকারী ছিলেন। তারা সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত ছিলেন। দীন প্রতিষ্ঠার জন্য তারা নির্যাতিত হয়েছিলেন।
সাহাবাদের জীবনচরিত অধ্যয়ন করলে দেখা যাবে, ইমান ও ভালো আমল করার কারণে দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জন করেছিলেন। বর্তমানে মুসলমানরা ইসলামের এ দুটি বিষয় থেকে দূরে সরে গেছে। ইসলাম আমাদের ধৈর্য-সহনশীলতা শিক্ষা দিয়েছে। শিরক, বিদআত বর্জন করতে জোর তাগিদ করেছে। তাওহিদ হচ্ছে ইসলামের মৌলিক বিষয়। বলা হচ্ছে, যদি তোমরা তা থেকে বঞ্চিত হয়ে যাও তাহলে তোমাদের সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। সবদিকে লাঞ্ছনা ও গঞ্জনা সয়ে যেতে হবে। আমরা তা জানা সত্ত্বেও নিজের মনের চাহিদা অনুযায়ী কালাতিপাত করছি। আল্লাহর ইবাদত হবে আমাদের প্রধান কাজ। কিন্তু তা ছেড়ে কবর পূজা, মনের বাসনা পূরণ, ব্যক্তি পূজা সবকিছু করে যাচ্ছি। আজ আমাদের আকিদা-বিশ্বাস এ ধরনের গর্হিত কাজে লিপ্ত থাকার ফলে আমরা অন্ধকারের অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বাক-স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলছি। দুনিয়ার উন্নতির দ্বার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নীতি-নৈতিকতা, আচার-আচরণ, চারিত্রিক অধঃপতন আমাদের গ্রাস করছে। মুসলিম বিশ্ব যে প্রান্তে হোক না কেন লাঞ্ছিত-অপমানিত হচ্ছে। এ জিনিসগুলো আমাদের আমল-আখলাকের অধঃপতনের কারণে এসেছে। আজ মুসলমান ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছে। ইসলামের হুকুম-আহকাম মানছে না। ইসলামের স্থান শুধু আমাদের মুখে। অন্তরে কোনো স্থান নেই। পাপ-পঙ্কিলতা আমাদের হৃদয়ে ছেঁয়ে গেছে। আমরা ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছি। ইসলাম যে কাজ করতে বলেছে তা আমরা বর্জন করছি। ইসলাম যে কাজ আমাদের বর্জন করতে বলেছে তা আমরা মনেপ্রাণে করছি।
তাই আসুন, আমরা সবাই এ সংকল্প করি, হুজুর আকরাম (সা.) যে কাজ করতে বলেছেন সে কাজ করি। যে কাজ বর্জন করতে বলেছেন তা পরিহার করি। অতীতে যে ভুল-ভ্রান্তি হয়েছে তা থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। সুন্দর ও উন্নত জীবন গঠনের প্রত্যয়ী হই। আল্লাহ আমাদের তওফিক দান করুন। আমিন!
সাহাবাদের জীবনচরিত অধ্যয়ন করলে দেখা যাবে, ইমান ও ভালো আমল করার কারণে দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জন করেছিলেন। বর্তমানে মুসলমানরা ইসলামের এ দুটি বিষয় থেকে দূরে সরে গেছে। ইসলাম আমাদের ধৈর্য-সহনশীলতা শিক্ষা দিয়েছে। শিরক, বিদআত বর্জন করতে জোর তাগিদ করেছে। তাওহিদ হচ্ছে ইসলামের মৌলিক বিষয়। বলা হচ্ছে, যদি তোমরা তা থেকে বঞ্চিত হয়ে যাও তাহলে তোমাদের সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। সবদিকে লাঞ্ছনা ও গঞ্জনা সয়ে যেতে হবে। আমরা তা জানা সত্ত্বেও নিজের মনের চাহিদা অনুযায়ী কালাতিপাত করছি। আল্লাহর ইবাদত হবে আমাদের প্রধান কাজ। কিন্তু তা ছেড়ে কবর পূজা, মনের বাসনা পূরণ, ব্যক্তি পূজা সবকিছু করে যাচ্ছি। আজ আমাদের আকিদা-বিশ্বাস এ ধরনের গর্হিত কাজে লিপ্ত থাকার ফলে আমরা অন্ধকারের অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বাক-স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলছি। দুনিয়ার উন্নতির দ্বার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নীতি-নৈতিকতা, আচার-আচরণ, চারিত্রিক অধঃপতন আমাদের গ্রাস করছে। মুসলিম বিশ্ব যে প্রান্তে হোক না কেন লাঞ্ছিত-অপমানিত হচ্ছে। এ জিনিসগুলো আমাদের আমল-আখলাকের অধঃপতনের কারণে এসেছে। আজ মুসলমান ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছে। ইসলামের হুকুম-আহকাম মানছে না। ইসলামের স্থান শুধু আমাদের মুখে। অন্তরে কোনো স্থান নেই। পাপ-পঙ্কিলতা আমাদের হৃদয়ে ছেঁয়ে গেছে। আমরা ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছি। ইসলাম যে কাজ করতে বলেছে তা আমরা বর্জন করছি। ইসলাম যে কাজ আমাদের বর্জন করতে বলেছে তা আমরা মনেপ্রাণে করছি।
তাই আসুন, আমরা সবাই এ সংকল্প করি, হুজুর আকরাম (সা.) যে কাজ করতে বলেছেন সে কাজ করি। যে কাজ বর্জন করতে বলেছেন তা পরিহার করি। অতীতে যে ভুল-ভ্রান্তি হয়েছে তা থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। সুন্দর ও উন্নত জীবন গঠনের প্রত্যয়ী হই। আল্লাহ আমাদের তওফিক দান করুন। আমিন!
No comments