আন্তর্জাতিক নারী দিবস
'শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমসুযোগ: নারীর জন্য যথোপযুক্ত কাজের ব্যবস্থা চাই।' নারীর জন্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সুবিধাপ্রাপ্তিতে সমানাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এমনই স্লোগান নিয়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১১।
প্রতিবছরই কোনো না কোনো বিষয়কে স্লোগান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় দিবসটি পালনের জন্য। ১৯১১ সালে কোপেনহেগেনে গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে এবং ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। শুরুতে কয়েকটি দেশ এ দিবস উদ্যাপন করলেও আজকে এ দিবসটি বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে বিশেষ গুরুত্বসহ পালিত হয়ে আসছে। শুধু তাই নয় ভিয়েতনাম, চীনের মতো বেশ কিছু দেশে দিবসটি উদ্যাপন করতে গিয়ে সরকারি ছুটিও ঘোষণা করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্বের অনেক দেশ থেকে ভিন্ন। এখানে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তার পরও এখানকার আর্থসামাজিক পরিবেশ নারীর প্রতিকূলে। পুরুষশাসিত সমাজে নারী বারবারই নির্যাতনের শিকার হয়। আর সে ক্ষেত্রে প্রায় সর্বত্রই নারী দুর্বল আর পুরুষ শক্তিশালী_এই মানসিকতা কাজ করে। কিন্তু তার পরও বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় নারীর ক্ষমতায়ন এবং অধিকারের প্রশ্নে আমাদের অর্জনকে একেবারে নগণ্য বলার সুযোগ নেই। রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ যেমন বেড়েছে, তেমনি ক্ষমতায়নেও তাদের অবস্থান আগের চেয়ে অনেক ইতিবাচক। স্বাধীনতা লাভের আগে এ দেশে নারীশিক্ষার বিষয়টি ছিল উপেক্ষিত। কিন্তু হালে তা পরিবর্তন হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যাপকতর হওয়ায় বিশাল সাফল্য এসেছে নারীশিক্ষা ক্ষেত্রে। কিন্তু উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এখনো পুরুষের তুলনায় নারী পিছিয়ে আছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে দেশের সেনাবাহিনীসহ নিরাপত্তা বাহিনীতে নারীর অংশগ্রহণ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকেই চিহ্নিত করে। কিন্তু তার পরও কিছু দিক আমাদের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে এখনো ব্যাপকভাবে বঞ্চিত শ্রেণীতে ফেলে রেখেছে। সামাজিক অবক্ষয়জনিত কারণে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধর্মান্ধতা এবং অশিক্ষার কারণে নারী তার অধিকার ভোগ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নারীশিক্ষা সম্প্রসারণের মাধ্যমে তাদের আলোকিত দুনিয়ায় পেঁৗছানোর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাকে আরো দৃঢ়তর করতে হলে এ মুহূর্তে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে। নারীর অধিকার আদায় করতে হলে পুরুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়কে বাস্তবায়ন করতে হলে বাংলাদেশে নিম্ন ও মাধ্যমিক পর্যায়ে যেভাবে নারীশিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে, তেমনি উচ্চশিক্ষায়ও তা নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রেও যাতে নারীর রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়তে পারে, সেদিকে সরকারকে নজর দিতে হবে। কারণ নারীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অধিকার আমাদের সংবিধানেও নির্দেশিত আছে। নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ সিডও বাস্তবায়িত হয়নি বাংলাদেশে। সিডও বাস্তবায়িত হলে নারীর প্রতি যৌন নির্যাতন থেকে শুরু করে সব ধরনের নির্যাতন অনেকাংশে কমে আসবে। তাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমাদের আবারও ভাবতে হবে_নারীকে অনুকম্পা প্রদর্শন নয়, তার ন্যায্য অধিকার তাকে ভোগ করতে দিতে হবে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্বের অনেক দেশ থেকে ভিন্ন। এখানে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তার পরও এখানকার আর্থসামাজিক পরিবেশ নারীর প্রতিকূলে। পুরুষশাসিত সমাজে নারী বারবারই নির্যাতনের শিকার হয়। আর সে ক্ষেত্রে প্রায় সর্বত্রই নারী দুর্বল আর পুরুষ শক্তিশালী_এই মানসিকতা কাজ করে। কিন্তু তার পরও বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় নারীর ক্ষমতায়ন এবং অধিকারের প্রশ্নে আমাদের অর্জনকে একেবারে নগণ্য বলার সুযোগ নেই। রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ যেমন বেড়েছে, তেমনি ক্ষমতায়নেও তাদের অবস্থান আগের চেয়ে অনেক ইতিবাচক। স্বাধীনতা লাভের আগে এ দেশে নারীশিক্ষার বিষয়টি ছিল উপেক্ষিত। কিন্তু হালে তা পরিবর্তন হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যাপকতর হওয়ায় বিশাল সাফল্য এসেছে নারীশিক্ষা ক্ষেত্রে। কিন্তু উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এখনো পুরুষের তুলনায় নারী পিছিয়ে আছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে দেশের সেনাবাহিনীসহ নিরাপত্তা বাহিনীতে নারীর অংশগ্রহণ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকেই চিহ্নিত করে। কিন্তু তার পরও কিছু দিক আমাদের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে এখনো ব্যাপকভাবে বঞ্চিত শ্রেণীতে ফেলে রেখেছে। সামাজিক অবক্ষয়জনিত কারণে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধর্মান্ধতা এবং অশিক্ষার কারণে নারী তার অধিকার ভোগ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নারীশিক্ষা সম্প্রসারণের মাধ্যমে তাদের আলোকিত দুনিয়ায় পেঁৗছানোর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাকে আরো দৃঢ়তর করতে হলে এ মুহূর্তে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে। নারীর অধিকার আদায় করতে হলে পুরুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়কে বাস্তবায়ন করতে হলে বাংলাদেশে নিম্ন ও মাধ্যমিক পর্যায়ে যেভাবে নারীশিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে, তেমনি উচ্চশিক্ষায়ও তা নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রেও যাতে নারীর রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়তে পারে, সেদিকে সরকারকে নজর দিতে হবে। কারণ নারীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অধিকার আমাদের সংবিধানেও নির্দেশিত আছে। নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ সিডও বাস্তবায়িত হয়নি বাংলাদেশে। সিডও বাস্তবায়িত হলে নারীর প্রতি যৌন নির্যাতন থেকে শুরু করে সব ধরনের নির্যাতন অনেকাংশে কমে আসবে। তাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমাদের আবারও ভাবতে হবে_নারীকে অনুকম্পা প্রদর্শন নয়, তার ন্যায্য অধিকার তাকে ভোগ করতে দিতে হবে।
No comments