এমপির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ-স্বচ্ছ তদন্তেই কেবল সত্য বের হতে পারে
ঢাকা-১৪ নির্বাচনী আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আসলামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সরকারি বাঙলা কলেজের জমি রয়েছে তাঁর দখলে। ৫ মে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেলে ৯ মে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ উচ্চ আদালতে জনস্বার্থে একটি রিট করে।
এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রধান ও আইন সচিব মনোনীত আইন মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কমিটিকে তদন্ত শেষে আগামী ১৫ জুন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে আমরা বরাবরই প্রভাবশালী ও বিত্তবান ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি, খাসজমি এবং সমাজে দুর্বল শ্রেণীর জমি দখলের অভিযোগ লক্ষ করে থাকি। এ ধরনের প্রবণতা মোটেই কাম্য নয়। আবার একজন মানুষ, তিনি যে-ই হোন না কেন, যদি সঠিক পথে জমি ক্রয় করে থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপন নিশ্চয়ই অন্যায়। অনেক ক্ষেত্রে যদি প্রমাণও হয় যে তিনি নির্দোষ, তার পরও সমাজে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে একটি বিষয় আমাদের সবার মনে রাখা দরকার, সংবাদপত্র সাধারণত নির্মোহভাবেই সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। এটাই সংবাদপত্রের কাজ। সার্বিক বিবেচনা করার সুযোগ সংবাদপত্রের সর্বদা থাকে না। সংবাদপত্র দৃশ্যমান অসংগতিটাই প্রচার করে থাকে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক যে জমি ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেছেন, সেখানে সিএস রেকর্ড এবং আরএস রেকর্ড অনুযায়ী যার কাছ থেকে কেনা হয়েছে, ওই ব্যক্তির কোনো মালিকানা নেই বলে আদালতকে রিট আবেদনকারীর কৌঁসুলি জানিয়েছেন। এখন সেই জমি তিনি কিভাবে ক্রয় করেছেন, তা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জানার বা তদন্তের বিষয়।
বিষয়টি নিয়ে একটি স্বচ্ছ তদন্তই সবার কাম্য। এ ব্যাপারে তদন্তটি এমনভাবে হওয়া বাঞ্ছনীয়, যাতে সরকার দলের প্রভাবের অভিযোগ না ওঠে। যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া না হয় এবং আদালত এ বিষয়ে রায় না দেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নিশ্চয়ই মনে করি, সংসদ সদস্য দেশের একজন সম্মানিত নাগরিক। দেশের প্রতিটি নাগরিককে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব। আবার এ কথাও মনে রাখা দরকার যে কোনো অনিয়ম বা অন্যায়ের সঙ্গে কেউ জড়িয়ে পড়লে তাঁর প্রতি বিশেষ ছাড় দেওয়াও বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থী কাজ। সুতরাং আইনের মধ্য থেকে আসলামুল হকের বিষয়টির একটি সঠিক সুরাহা হবে বলে আমরা
আশা রাখি।
বাংলাদেশে আমরা বরাবরই প্রভাবশালী ও বিত্তবান ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি, খাসজমি এবং সমাজে দুর্বল শ্রেণীর জমি দখলের অভিযোগ লক্ষ করে থাকি। এ ধরনের প্রবণতা মোটেই কাম্য নয়। আবার একজন মানুষ, তিনি যে-ই হোন না কেন, যদি সঠিক পথে জমি ক্রয় করে থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপন নিশ্চয়ই অন্যায়। অনেক ক্ষেত্রে যদি প্রমাণও হয় যে তিনি নির্দোষ, তার পরও সমাজে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে একটি বিষয় আমাদের সবার মনে রাখা দরকার, সংবাদপত্র সাধারণত নির্মোহভাবেই সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। এটাই সংবাদপত্রের কাজ। সার্বিক বিবেচনা করার সুযোগ সংবাদপত্রের সর্বদা থাকে না। সংবাদপত্র দৃশ্যমান অসংগতিটাই প্রচার করে থাকে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক যে জমি ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেছেন, সেখানে সিএস রেকর্ড এবং আরএস রেকর্ড অনুযায়ী যার কাছ থেকে কেনা হয়েছে, ওই ব্যক্তির কোনো মালিকানা নেই বলে আদালতকে রিট আবেদনকারীর কৌঁসুলি জানিয়েছেন। এখন সেই জমি তিনি কিভাবে ক্রয় করেছেন, তা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জানার বা তদন্তের বিষয়।
বিষয়টি নিয়ে একটি স্বচ্ছ তদন্তই সবার কাম্য। এ ব্যাপারে তদন্তটি এমনভাবে হওয়া বাঞ্ছনীয়, যাতে সরকার দলের প্রভাবের অভিযোগ না ওঠে। যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া না হয় এবং আদালত এ বিষয়ে রায় না দেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নিশ্চয়ই মনে করি, সংসদ সদস্য দেশের একজন সম্মানিত নাগরিক। দেশের প্রতিটি নাগরিককে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব। আবার এ কথাও মনে রাখা দরকার যে কোনো অনিয়ম বা অন্যায়ের সঙ্গে কেউ জড়িয়ে পড়লে তাঁর প্রতি বিশেষ ছাড় দেওয়াও বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থী কাজ। সুতরাং আইনের মধ্য থেকে আসলামুল হকের বিষয়টির একটি সঠিক সুরাহা হবে বলে আমরা
আশা রাখি।
No comments