লাভের গুড় কি পিঁপড়ায় খাবে?-বিমানের দুবাই রুট
কথায় বলে, লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায়। বিমানের লাভজনক দুবাই রুটটির বেলায় সেটিই ঘটতে চলেছে বলে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোর সংবাদে জানা যাচ্ছে, লাভজনক দুবাই রুটটি বিমান কর্তৃপক্ষ চীনা প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ উদ্দেশ্যে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের খরচে চীন সফরেও যাচ্ছেন।
বিশ্বের অল্প কয়েকটি রুটে বাংলাদেশ বিমানের যাত্রী মূলত বাংলাদেশিরাই। সেখানে বিদেশে নতুন রুট চালু করা কিংবা বিদেশি যাত্রী আকর্ষণ করার চেষ্টাই ছিল বিমান কর্তৃপক্ষের স্বাভাবিক দায়িত্ব। কিন্তু উল্টো তারা বিমানের নিজস্ব লাভজনক দুবাই রুট স্বেচ্ছায় হাতছাড়া করছে! কেন? তারা কি বিমানের হয়ে কাজ করছে, না চীনা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে? এ প্রশ্ন এখন খুবই সংগত। এ ব্যাপারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সস্ত্রীক আগ বাড়িয়ে চীনে গিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করার অতি-উৎসাহ সন্দেহজনক। কারণ এ ধরনের ক্ষেত্রে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী চীনা কর্তৃপক্ষের বাংলাদেশে এসে চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে উল্টো ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। এসব কারণেই বাংলাদেশ বিমান দিন দিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে।
ঢাকা-দুবাই রুটটি বাংলাদেশ বিমানের নিশ্চিত আয়ের উৎস। সৌদি আরবের পর এখানেই বেশির ভাগ বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত আছেন। মূলত তাঁদের আসা-যাওয়া অনেকটাই বাংলাদেশ বিমাননির্ভর। এই নির্ভরতার অমর্যাদা করে রুটটি বিদেশি একটি কোম্পানিকে দেওয়া স্পষ্টতই বিমানের এবং দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ।
বাংলাদেশ বিমান ৪২টি দেশে যাত্রার চুক্তিতে আবদ্ধ হলেও, বিমান যায় মাত্র ১৬টি দেশে। একসময় পূর্বে টোকিও আর পশ্চিমে নিউইয়র্ক পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৯টি রুটে বিমানের উড়োজাহাজ চলাচল করত। এ রুটগুলোর বেশির ভাগই এখন অব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পিত দুর্নীতির কারণে হয় বন্ধ, নয়তো লোকসানের শিকার। অথচ অন্যান্য বিদেশি এয়ারলাইনস বিভিন্ন রুটে দিব্যি ব্যবসা করে যাচ্ছে। দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও নিম্নমানের সেবার কারণে আন্তর্জাতিক সূচকেও বিমানের অবস্থান অনেক নিচে।
প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদন বলছে, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের দুবাইয়ে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি নেই। সে কারণে তারা বাংলাদেশের স্লট ব্যবহার করে নিজেদের ব্যবসায়িক সুবিধা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একইভাবে বিমানের অনেক রুটই অবহেলা, অদক্ষতা আর দুর্নীতির কারণে হাতছাড়া হচ্ছে। আমরা আশা করব, মন্ত্রণালয় দুবাই রুটটি বিমানের হাতে বহাল রাখার ব্যবস্থা নেবে এবং অন্য রুটগুলোতেও সেবার মান বাড়ানো এবং দুর্নীতি বন্ধ করার মাধ্যমে বিমানের প্রতীক বলাকাকে উত্তরোত্তর অমর্যাদা ও লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করবে।
ঢাকা-দুবাই রুটটি বাংলাদেশ বিমানের নিশ্চিত আয়ের উৎস। সৌদি আরবের পর এখানেই বেশির ভাগ বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত আছেন। মূলত তাঁদের আসা-যাওয়া অনেকটাই বাংলাদেশ বিমাননির্ভর। এই নির্ভরতার অমর্যাদা করে রুটটি বিদেশি একটি কোম্পানিকে দেওয়া স্পষ্টতই বিমানের এবং দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ।
বাংলাদেশ বিমান ৪২টি দেশে যাত্রার চুক্তিতে আবদ্ধ হলেও, বিমান যায় মাত্র ১৬টি দেশে। একসময় পূর্বে টোকিও আর পশ্চিমে নিউইয়র্ক পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৯টি রুটে বিমানের উড়োজাহাজ চলাচল করত। এ রুটগুলোর বেশির ভাগই এখন অব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পিত দুর্নীতির কারণে হয় বন্ধ, নয়তো লোকসানের শিকার। অথচ অন্যান্য বিদেশি এয়ারলাইনস বিভিন্ন রুটে দিব্যি ব্যবসা করে যাচ্ছে। দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও নিম্নমানের সেবার কারণে আন্তর্জাতিক সূচকেও বিমানের অবস্থান অনেক নিচে।
প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদন বলছে, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের দুবাইয়ে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি নেই। সে কারণে তারা বাংলাদেশের স্লট ব্যবহার করে নিজেদের ব্যবসায়িক সুবিধা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একইভাবে বিমানের অনেক রুটই অবহেলা, অদক্ষতা আর দুর্নীতির কারণে হাতছাড়া হচ্ছে। আমরা আশা করব, মন্ত্রণালয় দুবাই রুটটি বিমানের হাতে বহাল রাখার ব্যবস্থা নেবে এবং অন্য রুটগুলোতেও সেবার মান বাড়ানো এবং দুর্নীতি বন্ধ করার মাধ্যমে বিমানের প্রতীক বলাকাকে উত্তরোত্তর অমর্যাদা ও লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করবে।
No comments