টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-ফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে যেতেই কি নির্বাচন পেছানো হচ্ছে?

প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার ডিসিসি নির্বাচন পিছিয়ে গেল: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন। মন্তব্যগুলোর কিছু অংশ আজ ছাপা হলো; বাকি অংশ আগামীকাল প্রকাশিত হবে।


তাপস হালদার, শিক্ষার্থী, কালুখালী রাজবাড়ী
ডিসিসির মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় তিন বছর আগে। আমি মনে করি, যত দ্রুত নির্বাচন হবে ততই ভালো। দীর্ঘ সময় নিলে এতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। আবার নির্বাচন কমিশন বলেন, নির্বাচন হতে হলে শীত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না, এটা আসলে সরকার না নির্বাচন কমিশনের জটিলতা।
মো. এনামউদ্দিন এনাম, চাকরিজীবী
খোলামরা, কেরানীগঞ্জ
ডিসিসি নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছেন। আমি মনে করি, নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনারের। বারবার নির্বাচন পেছাতে থাকলে জনগণের আশঙ্কা সৃষ্টি হতে পারে যে নির্বাচনী ফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার তার ক্ষমতাকে কাজে লাগাচ্ছে।
মনি অরণ্য, কৃষক, নবীনগর, সাভার, ঢাকা
নির্বাচন হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পূর্বশর্ত। আর নির্বাচিত সরকারের পূর্বশর্ত হচ্ছে যথাযথ সময়ে নির্বাচন নির্ধারণ করা। এর হেরফের হলে স্থানীয় সরকার অসুস্থ হবে। নানা রকম নাগরিক দুর্ভোগ দেখা দেবে। যথাযথ সময় নির্বাচন দেওয়া একটি সঠিক ভূমিকা। সরকার সমালোচনার ঊর্ধ্বে থাকবে, আমাদের প্রত্যাশা তাই।
মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী
সাবেক ফুটবলার, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা
নির্বাচন কমিশনের সব প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও ডিসিসি নির্বাচন পিছিয়ে গেল। শুধু সরকারের অনিচ্ছার কারণে। খারাপ ছাত্ররাই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে থাকে। তবে পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। ডিসিসি নির্বাচন যেন আর পেছানো না হয়।
মো. নূর হোসেন তালুকদার
ব্যবসায়ী, শেখেরটেক, আদাবর, ঢাকা
ডিসিসি নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় আমার মনে হয়, জনগণ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণের কারণে কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে, আমি ব্যক্তিগতভাবে ডিসিসি নির্বাচনের আশু কামনা করি।
বোরহান উদ্দিন শীতল, শিক্ষার্থী, গাজীপুর
বর্তমানে ঢাকার অবস্থা খুবই খারাপ। একে তো ব্যাপক লোডশেডিং ও গ্যাস সংকট। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি। আমার মনে হয়, বর্তমান সরকার যদি এই অবস্থায় নির্বাচন দেয়, তাহলে সরকারি দলে প্রার্থীদের জয় গোল্লায় যাবে ভেবেই ডিসিসি নির্বাচন পেছাল।
বিশ্বজিৎ সেন, কবি ও গল্পকার, চট্টগ্রাম
সরকারের অনাগ্রহের কারণে ডিসিসি নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারকে কিছু বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে। বিরোধীপক্ষ এই ছুতাটা কাজে লাগাতে চেষ্টা চালাবে। যুদ্ধাপরাধীরাও তিলকে তাল বানিয়ে মাঠ গরম করতে চাইবে। এ মুহূর্তে সরকার কী নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না? বড় কোনো অর্জনের জন্য ক্ষুদ্র কিছু ত্যাগ অবশ্যই গ্রহণযোগ্য বলে মনে করি।
মো. নাজমুল হুদা, শিক্ষার্থী, পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা
আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে, সরকার নির্বাচন কমিশনের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে না। তবে বাস্তবতা ভিন্ন কথাই বলছে। গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য আমরা দ্রুত ডিসিসি নির্বাচন চাই।
রাহিদ হাসান, শিক্ষার্থী, তাঁতিবাজার, ঢাকা
বর্তমানে ঢাকায় পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট চরমে। এ জন্য সরকারের জনপ্রিয়তাও শূন্যের কোঠায়। তাদের দলীয় প্রার্থীদের ভরাডুবির আশঙ্কায় তারা নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে।
সুরাইয়া বেগম, কমিশনার
৭১, ৭২, ৭৩ ওয়ার্ড, তাঁতিবাজার, ঢাকা
নির্বাচন কমিশনসহ সব জনগণ ও আমরা ডিসিসি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। বর্তমানে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংকটের জন্য জনগণ সরকারের প্রতি ক্ষিপ্ত। এ কারণে তারা ডিসিসি নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে।
লিজা, গৃহিণী, চট্টগ্রাম
ক্ষমতাসীন দল সব সময় নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে, এ সরকারও সেই চেষ্টাই করছে।
কামরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, ব্যবসায়ী
রিকাবীবাজার, মুন্সিগঞ্জ
ডিসিসি নির্বাচন পেছানের সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়নি। এতে গণ-মানুষের কাছে সরকারের যেমন ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, তেমনি আইনি জটিলতা আরও ঘনীভূত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সময়ে এমনিতেই সীমানা নির্ধারণ ও অন্যান্য জটিলতায় হয়তো আদালতের নিষেধাজ্ঞা আসত। যা সমাধানে এ বছর পার হয়ে যেত। ফলে এই জটিলতা নিরসন করে আগামী বছর স্বাভাবিক নিয়মেই নির্বাচন হলে সরকারের কাঁধে দোষ চাপত না।
মুহাম্মদ জিন্নাহ ভূইয়া, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা চূড়ান্ত না হওয়া ও অপ্রস্তুতির কারণে প্রায় আড়াই বছর আগে মেয়াদ শেষ হওয়া ডিসিসি নির্বাচন এতদিন অনুষ্ঠিত হয়নি। নির্বাচন কমিশন যখন প্রস্তুত, শুধু সরকারের অনাগ্রহের কারণে তা পিছিয়ে গেল। সময়মতো নির্বাচন না হলে কখনই শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ গঠন করা সম্ভব নয়।
অভিষেক চক্রবর্তী, শিক্ষার্থী
সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে ইসি সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল। কিন্তু সরকারের অনাগ্রের কারণে এই নির্বাচন পিছিয়ে বছরের শেষ নাগাদ করার চিন্তাভাবনা চলছে। ইসি যখন প্রস্তুত ছিল, তখন সরকারকেও সাড়া দেওয়া উচিত ছিল বলে আমি মনে করি। দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা উচিত ছিল।
মাহবুব, শিক্ষার্থী, তাজমহল রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নিজেদের মত কাজ করতে পারছে না, তার প্রমাণ হলো এই ডিসিসি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া।
জাহাঙ্গীর মুহাম্মদ, ব্যবসায়ী, কাঁটাবান, ঢাকা
ডিসিসি নির্বাচন পেছানোর বিপক্ষে আমার অবস্থান। ডিসিসির কর্মকাণ্ডে গতি আনতে হলে অবশ্যই নির্বাচন দ্রুত হওয়া উচিত।
শোয়েব মেজবাহ উদ্দিন, চাকরিজীবী
লালমোহন, ভোলা
যেকোনো নির্বাচনই সময়মতো করা উচিত। একবার নির্বাচন পিছিয়ে গেলে সে নির্বাচন যথাসময়ে আর হয় না। ডিসিসি নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত বলে আমি মনে করি।
মো. কামাল শেখ, শিক্ষার্থী, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ
ডিসিসি নির্বাচন পিছিয়ে গেছে জেনে আমি আশাহত হয়েছি। আশা ছিল মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন হবে কিন্তু এটা নিয়ে এখন অনেক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
মো. জিয়াউল হক সরকার
উপজেলা চেয়ারম্যান, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন না দেওয়ার অর্থ হলো গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা এবং দেশকে অস্থিশীল করে তোলা। এটা দেশের জন্য ক্ষতিকর।
এ কে এম আজীমুন হাই, ব্যবসায়ী
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা
সরকারের অনাগ্রহের কারণে যে নির্বাচন পিছিয়ে গেছে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমার মনে হয়, মূলত বিদ্যুৎ সংকটের কারণে সরকার নির্বাচনের ঝুকি নিতে চায়নি। ফলে সরকারের উচিত বিদ্যুৎ সংকটের দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া।
মো. আল-ইমরান হুসাইন, শিক্ষার্থী
ঢাকা কলেজ, ঢাকা
আমি মনে করি, ইসির এটি দুর্বলতা। নির্বাচন না হওয়ার কারণে ঢাকা সিটির উন্নয়ন বিঘ্নিত হচ্ছে, জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই ঢাকা সিটির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য এ মুহূর্তে নির্বাচন জরুরি।
আহমেদ সজল, শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ডিসিসিকে নতুন জনপ্রতিনিধির হাতে তুলে দিতে হবে। আর নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ওপর অবৈধ হস্তক্ষেপ কারও কাম্য নয়।
মিরাজ উল ইসলাম, শিক্ষার্থী, মীরকাদিম, মুন্সিগঞ্জ
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি ছিল নির্বাচন করার। সেখানে সরকারের অনাগ্রহ প্রকাশ করা উচিত হয়নি। এটি গণতন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
শাহীন, চাকরিজীবী, বাড্ডা, ঢাকা
বর্তমান পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের যে সংকট—তাতে সরকারদলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনে পরাজয় হবে বলে এই নির্বাচন পেছানো। সরকার আইনশৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাই তারা ডিসিসি নির্বাচন সম্পর্কে অনাগ্রহী।
কে এম মাহমুদুল হাসান, শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা
ঢাকাসহ সারা দেশ এখন চরম সংকটে। বিশেষত ঢাকায় পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জলাবদ্ধতা সংকট চরমে। এই মুহূর্তে ডিসিসি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়াটা আরও স্থবির হয়ে গেছে ঢাকার উন্নয়নের জন্য। কোন দলের জয় নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া উচিত নয়।
কামরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ
সরকার নিশ্চিত পরাজয়ের কথা চিন্তা করেই এই নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সংকট। আর এই সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে বলে আমার মনে হয় না। এই সমস্যাগুলো নির্বাচনের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি।
এ এস এম নজিবুদৌলা খান
ব্যবসায়ী, মুক্তিযোদ্ধা, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া
নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারই দায়ী। তাদের জনপ্রিয়তা নিয়ে তারা শঙ্কিত। এই নির্বাচন হলে তাদের জনপ্রিয়তা কোন স্তরে নেমে গেছে, তা প্রমাণিত হয়ে যাবে।

No comments

Powered by Blogger.