যত শিগগির সম্ভব ডিসিসি নির্বাচন হোক-স্থানীয় সরকার নির্বাচন
ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাগুলোর মেয়াদ পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই, কিন্তু সেগুলোর নির্বাচন হয়নি, কবে হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। সর্বশেষ ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) নির্বাচনও পিছিয়ে দেওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকার ও নির্বাচন কমিশন উভয় তরফেই আগ্রহের অভাব রয়েছে। এটা হতাশাব্যঞ্জক।
দেশের চার হাজার ৯৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল; কারণ এগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে ২০০৮ সালের জুনে। ৩১৯টি পৌরসভার মধ্যে ২৪৮টির নির্বাচন করাও জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এসব নির্বাচন হতে পারেনি সংশ্লিষ্ট আইনের অভাবে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসংক্রান্ত যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, বর্তমান নির্বাচিত সরকার তা সংসদে উপস্থাপন না করায় অধ্যাদেশটি বাতিলের খাতায় চলে যায়। ফলে এ ক্ষেত্রে একটা শূন্যতা দেখা দেয়। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে বর্তমান সরকারের ঘোষিত অঙ্গীকার পূরণের কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যায় না; বরং আইনের অভাবে বিষয়টি অবহেলিত রয়ে যায়। গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাসংক্রান্ত যে আইন সংসদে পাস হয়, তাতে ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত নতুন বিধান সংযোজনের কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে কালক্ষেপণের পর জানা গেল, আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং মন্ত্রিসভার গত সোমবারের বৈঠকে সেই সংশোধিত আইনটির খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। সংসদের আগামী অধিবেশনে তা পাসের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
এসব প্রক্রিয়ায় কালক্ষেপণ ছাড়া কিছুই ঘটছে না। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসংক্রান্ত আইনটি যদি আগামী বাজেট অধিবেশনে পাস হয়, তবে তার পরও নির্বাচন অনুষ্ঠানে কিছু সময়ের প্রয়োজন হবে, কারণ এ-সংক্রান্ত বিধিমালা তৈরির কাজটি তখন করতে হবে। স্থানীয় সরকার কমিশন সক্রিয় থাকতে কেন স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনের ব্যাপারে এ রকম হ-য-ব-র-ল অবস্থা সৃষ্টি হয় তা ভেবে দেখার বিষয়।
এই মুহূর্তে বড় প্রশ্ন হচ্ছে ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে। প্রায় তিন বছর আগে ২০০৭ সালের জুনে ডিসিসির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এর নির্বাচন কেন পিছিয়ে দেওয়া হলো, যখন সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা প্রস্তুত রয়েছে? গত শীতেই তো এ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব ছিল। প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরের ভাষ্য অনুযায়ী, গত শীতকালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ সম্পন্ন হয়নি বলে নির্বাচন করা হয়নি—এমন কথা বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। ২০০৭ সালের জুনের পরই যে নির্বাচন করা উচিত ছিল, আড়াই বছর পরও সে নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ না-থাকা কোনো কাজের কথা নয়। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা একটি নিরবচ্ছিন্নভাবে চলমান প্রক্রিয়া হওয়া উচিত। এর জন্য কোনো নির্বাচন আটকে থাকবে, এটা খুব ভালো যুক্তি নয়।
এখন যখন আইন ও বিধিমালা রয়েছে, ডিসিসির নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোনো সমস্যা বা বাধা আছে বলে মনে হয় না। যত শিগগির সম্ভব ডিসিসির নির্বাচন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হোক। এ ব্যাপারে সরকারের উচিত নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।
এসব প্রক্রিয়ায় কালক্ষেপণ ছাড়া কিছুই ঘটছে না। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসংক্রান্ত আইনটি যদি আগামী বাজেট অধিবেশনে পাস হয়, তবে তার পরও নির্বাচন অনুষ্ঠানে কিছু সময়ের প্রয়োজন হবে, কারণ এ-সংক্রান্ত বিধিমালা তৈরির কাজটি তখন করতে হবে। স্থানীয় সরকার কমিশন সক্রিয় থাকতে কেন স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনের ব্যাপারে এ রকম হ-য-ব-র-ল অবস্থা সৃষ্টি হয় তা ভেবে দেখার বিষয়।
এই মুহূর্তে বড় প্রশ্ন হচ্ছে ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে। প্রায় তিন বছর আগে ২০০৭ সালের জুনে ডিসিসির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এর নির্বাচন কেন পিছিয়ে দেওয়া হলো, যখন সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা প্রস্তুত রয়েছে? গত শীতেই তো এ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব ছিল। প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরের ভাষ্য অনুযায়ী, গত শীতকালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ সম্পন্ন হয়নি বলে নির্বাচন করা হয়নি—এমন কথা বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। ২০০৭ সালের জুনের পরই যে নির্বাচন করা উচিত ছিল, আড়াই বছর পরও সে নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ না-থাকা কোনো কাজের কথা নয়। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা একটি নিরবচ্ছিন্নভাবে চলমান প্রক্রিয়া হওয়া উচিত। এর জন্য কোনো নির্বাচন আটকে থাকবে, এটা খুব ভালো যুক্তি নয়।
এখন যখন আইন ও বিধিমালা রয়েছে, ডিসিসির নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোনো সমস্যা বা বাধা আছে বলে মনে হয় না। যত শিগগির সম্ভব ডিসিসির নির্বাচন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হোক। এ ব্যাপারে সরকারের উচিত নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।
No comments